কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৪৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’

মাতৃত্বকালীন ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে ইউএসএআইডির ‘মামনি প্রকল্প’

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) অর্থায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় পাঁচ বছর মেয়াদি মামনি মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের (এমএনসিএসপি) সমাপ্তি উপলক্ষে সেভ দ্য চিলড্রেন গত সোমবার (৩ জুলাই) এক অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সেভ দ্য চিলড্রেন ও সহযোগী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম কর্তৃক বাস্তবায়িত ইউএসএআইডির মামনি প্রকল্পটি বাংলাদেশের ১৭টি জেলায় মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য উন্নয়নে কাজ করেছে। প্রকল্পের দীর্ঘ পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা বিশদভাবে তুলে ধরা হয় সমাপনী অনুষ্ঠানে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় মামনি এমএনসিএসপি মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা জোরদার এবং বাংলাদেশের মানুষের অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও সরঞ্জামের উন্নয়ন এবং মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে কমিউনিটি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার কার্যক্রম পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি প্রতিরোধযোগ্য মাতৃ ও নবজাতকের মৃত্যু রোধে বাংলাদেশ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।

নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) উপসচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘প্রকল্পটি গর্ভবতী নারী, মা ও নবজাতকের জন্য জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্য সহযোগিতার সহজলভ্যতা বৃদ্ধি করেছে এবং প্রায় ৩৫ দশমিক ৫ মিলিয়ন জনসংখ্যার কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইউএসআইডি’র মামনি এমএনসিএসপি সিভিল সার্জন, হেলথ ফ্যাসিলিটি ম্যানেজার এবং সেবা প্রদানকারীসহ সম্প্রতি গ্র্যাজুয়েট মিডওয়াইফদের সাথে কাজের মাধ্যমে, বিশেষ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ে প্রধান মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী হিসেবে তাদের অর্পিত দায়িত্ব গ্রহণে সক্ষম করেছে।’

মামনি এমএনসিএস প্রকল্পের কার্যক্রম ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেলেও এর বেশিরভাগ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

প্রকল্প সমর্থিত জেলাগুলো ছাড়াও বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় জীবন রক্ষাকারী এই কার্যক্রম প্রসারিত করতে সরকারকে দাতাদের সাথে কাজ চালিয়ে নেওয়ার সুপারিশ করা হয় অনুষ্ঠানে।

অনুষ্ঠানে ইউএসএআইডি বাংলাদেশের ইনফেকশাসাস ডিজিস টিম লিডার ডা. সামিনা চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস-এর সভাপতি ও নবজাতক স্বাস্থ্যবিষয়ক জাতীয় কারিগরি ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ; অবস্টেট্রিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি) এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ফেরদৌসী বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাতৃস্বাস্থ্য কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. আজিজুল আলীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, ডিমলার বন্যা রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে

০৬ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

তিস্তার পানির তোড়ে ভেঙে যেতে পারে ফ্লাইড বাইপাস সড়কটি

বজ্রপাতে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

দুই বাংলাদেশি যুবককে ফেরত দিল বিএসএফ

বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মী জনগণের পাশে রয়েছে : নীরব

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা আজ

ছক্কার ঝড় তুলে ম্যাচসেরা সাইফের মুখে আত্মবিশ্বাসের কথা

আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করে তৃপ্ত জাকের

আবারও ভারতের কাছে কুপোকাত পাকিস্তান

১০

সাবেক যুবদল নেতার উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার 

১১

আজ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা

১২

কাশিয়ানীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

১৩

দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও বস্তিবাসীরা

১৪

নির্বাচনের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি : লায়ন ফারুক 

১৫

সাইফ ঝড়ে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

১৬

আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

১৭

বৃষ্টিসহ আগামী ৫ দিনের পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

১৮

প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ও কার্টিন ইউনিভার্সিটির চুক্তি স্বাক্ষর

১৯

স্মার্ট কার্ডের সংকট কাটাতে আসছে ‘ব্ল্যাংক কার্ড’

২০
X