আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৭ এএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার। ছবি : কালবেলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী হত্যার ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার। ছবি : কালবেলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মর্জিনা বেগম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বুধবার (২৬ নভেম্বর) এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিনজনকে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আখাউড়া পৌর শহরের কাঁচাবাজারের দারোয়ান শহিদুল ইসলাম এবং তার দুই সহযোগী মো. রোমান মিয়া ও হোসেন মিয়া।

পিবিআই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মর্জিনা বেগম বাজারে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর কাজের পাশাপাশি সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করতেন। মঙ্গলবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য মাঠে নামে পিবিআই।

তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রযুক্তিগত তথ্য ও মাঠপর্যায়ের অনুসন্ধানে জানা যায়, কাঁচাবাজারের দারোয়ান শহিদুল ইসলাম (৪৩) নিজের মোবাইল ফোন থেকে ‘মালের গাড়ি এসেছে’ বলে মর্জিনাকে ফোন দিয়ে ডেকে নেন। ফোন করার মাত্র ১৪ মিনিট পর রাত ৩টা ১৮ মিনিটে তাকে কাঁচাবাজার এলাকায় যেতে দেখা যায়।

পিবিআই জানায়, ঘটনাস্থলে শহিদুল প্রথমে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। পরে তার সহযোগী হোসেন ওরফে শফিক (৪০) এবং রুমান মিয়া (২৪) ধর্ষণের চেষ্টা করলে মর্জিনা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনজন মিলে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। হোসেন ভুক্তভোগীর গলা চেপে ধরে, শহিদুল দুই হাত চেপে রাখে এবং রুমান দুই পায়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর তারা মরদেহ ফেলে দ্রুত সরে যায়।

আরও পড়ুন : প্রেমিক যুগলকে জিম্মি করে চাঁদা আদায়, অতঃপর...

পিবিআই সূত্রে জানা যায়, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে আখাউড়া সড়ক বাজারের কাঁচাবাজার এলাকা থেকে শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে আখাউড়ার মসজিদপাড়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে হোসেন ও রুমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং স্বেচ্ছায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পিবিআই জানায়, মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে।

মামলার বাদী নিহতের মেয়ে রহিমা আক্তার জানান, তার মা মর্জিনা বেগম (৪৫) আখাউড়া সড়কবাজারে শ্রমিক ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি করতেন। অন্ধ স্বামীকে নিয়ে তিনি দেবগ্রামের নয়াবাজার এলাকায় বাস করতেন।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) ভোররাত ৩টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হন মর্জিনা বেগম। পরদিন সকালেও তিনি বাসায় না ফেরায় সন্ধ্যায় সবজি আড়ত থেকে খবর পান পৌরসভার পুরোনো ভবনের পাশে এক নারীর মরদেহ পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মায়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন ও শরীরে ময়লার দাগ ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আইপিএলে দল পেলেন না অজি অধিনায়ক

ভুলেও সয়াবিন খাবেন না যে ৫ ধরনের ব্যক্তি 

গাজা নিয়ে ‘ভয়ংকর অভিযোগ’, অ্যামনেস্টির সতর্কবার্তা

জামায়াত নেতৃত্বাধীন ৮ দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ ১ ডিসেম্বর

নির্বাচিত হলে সমৃদ্ধ হবে দাগনভূঞা ও সোনাগাজী : আব্দুল আউয়াল মিন্টু 

নির্বাচিত হলে খাল দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা দূর করব : কাজী আলাউদ্দিন

বিএনপি থেকে ‘সুখবর’ পেলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল

বাউলদের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে : প্রেস সচিব

ধবলধোলাই হওয়ার পরও কোনো পদক্ষেপ নিবে না বিসিসিআই

যুবদলের এক নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

১০

লিভারের জন্য বিপজ্জনক যে ৫ খাবার

১১

কপোতাক্ষের পাড় কেটে মাটি উত্তোলন, ৪ জনের কারাদণ্ড 

১২

নতুন কুঁড়ির সেরা দশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে স্বাধিকা

১৩

টানা ৩০ দিন প্রতি রাতে গুড় ভেজানো পানি খেলে কী হয়?

১৪

সরকারের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই নির্বাচন করবেন : আসিফ মাহমুদ

১৫

রুশ যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করছে ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র, ভিডিও ভাইরাল

১৬

কুবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি কালবেলার আবু শামা

১৭

ভারতে নতুন আতঙ্ক, বাঁচতে অদ্ভুত কাণ্ড

১৮

নির্বাচনের আগে হাজার হাজার মানুষকে ক্ষমা জান্তার

১৯

ট্র্যাভিস জীবনের সবচেয়ে বড় চমক : টেইলর সুইফট

২০
X