কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৮ পিএম
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:১৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

করোনার দুই ডোজ টিকা নিলেও আক্রান্তের শঙ্কা রয়েছে : বিএসএসএমইউ

করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের প্রতীকী ছবি।

করোনাভাইরাসের দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলেও ভাইরাসটির নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থেকে যায় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএসএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক শরফুদ্দিন আহমেদ।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) করোনার সর্বশেষ জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফলাফল জানানোর সময় তিনি এ তথ্য জানান।

অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, গবেষণায় যাদের শরীরে কোভিডের নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে তাদের ক্ষেত্রে তেমন প্রকট লক্ষণ দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছরের শুরুতে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের কথা জানিয়েছে। বিএসএমএমইউ গত জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত ৪৮ রোগীর নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। গবেষণায় তিনজনের নমুনায় সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত করা হয়েছে।

এই তিনজনের মধ্যে একজন সম্প্রতি দেশের বাইরে গিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অধ্যাপক শরফুদ্দিন বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ করোনার অন্যান্য ধরনের মতোই। তাদের অবশ্য জ্বর, ঠান্ডা, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং হালকা কাশির হালকা উপসর্গ ছিল। তবে এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব জানতে গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই।

গবেষণার প্রধান পৃষ্ঠপোষক (সুপারভাইজার) অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, করোনার নতুন উপধরন জেএন-ওয়ান বাংলাদেশে শনাক্ত হয়েছে। দুই ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও যে কেউ এটিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

জেএন-ওয়ান অতটা ক্ষতিকর না হলেও এটি দ্রুত ছড়ায় জানিয়ে তিনি বলেন, এই উপধরনে আক্রান্ত হলে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয়। তবে এতে সংক্রমণের মাত্রা বেশি হওয়ায় জ্বর, ঠান্ডা হলেই করোনা পরীক্ষা করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নতুন এই উপধরনে আক্রান্ত রোগীর লক্ষণের তীব্রতা কম। সব জেএন.ওয়ান উপধরনে আক্রান্ত রোগীর কমপক্ষে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া ছিল। তৃতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়েছেন এরকম রোগীর মধ্যেও এই ধরন পাওয়া গেছে। মৃদু উপসর্গের কারণে এটি দ্রুত ছড়ায়।

বিএসএমএমইউ ২০২১ সালের ২৯ জুন থেকে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের ওপর গবেষণা চালাচ্ছে। গবেষণায় প্রায় এক হাজার ৫০০ কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

‘আবরারের স্মৃতিস্তম্ভ নিয়ে অনেকের গাত্রদাহ দেখেছি’

সৌন্দর্যবর্ধনে সাভার উপজেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ

ছেলের দায়ের করা মামলায় বাবাসহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে কোরআন অবমাননা, সিএমপির জরুরি সতর্কবার্তা

জাতীয়করণ নিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি তারেক রহমানের বার্তা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

খেলা শেষ হতেই রেফারির ওপর হামলা

জোর করে পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের জন্য সুখবর

আদালতের ‘ন্যায়কুঞ্জে’ খাবার হোটেল, প্রধান বিচারপতির নির্দেশে উচ্ছেদ

অ্যানথ্রাক্স ছড়াচ্ছে উত্তরাঞ্চলে, রংপুর-গাইবান্ধায় সরেজমিনে তদন্ত শুরু

১০

চীন থেকে যুদ্ধবিমান কেনা প্রসঙ্গে অর্থ উপদেষ্টা / জানলে যে সব বলে দিতে হবে সেটা তো না

১১

শেখ হাসিনা ও কামালের নির্বাচনী যোগ্যতা নিয়ে যা জানা গেল

১২

ছাত্রদলকে সমর্থন জানিয়ে চাকসু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন দুই প্রার্থী

১৩

খুন করে আল্লাহর ভয়ে নামাজ পড়ে ক্ষমা চান হত্যাকারীরা

১৪

ইংলিশদের বিপক্ষে মারুফাদের লড়াই করে হার

১৫

পিআর নিয়ে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়ব : চরমোনাই পীর

১৬

ফুটবলকে বিদায় বললেন মেসির আরও এক সতীর্থ

১৭

প্রথমবারের মতো ইউনেস্কোর সভাপতি বাংলাদেশ

১৮

ভারতীয়দের জন্য সংকুচিত হচ্ছে মার্কিন দরজা

১৯

‘সোলজার’র প্রথম ঝলকে কী বার্তা দিলেন শাকিব খান?

২০
X