বিশ্বব্যাপী আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবস। এই দিবসটির উদ্দেশ্য হলো মাসিক সম্পর্কিত সামাজিক লজ্জা ও কুসংস্কার দূর করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং নিরাপদ ও সম্মানজনক মাসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।
২০১৪ সালে প্রথম চালু হওয়া এই দিবসটি প্রতি বছর ২৮ মে পালিত হয়। ২৮ মে নির্বাচন করা হয়েছে কারণ মাসিক চক্র সাধারণত ২৮ দিনে ঘটে এবং মাসিক সাধারণত ৫ দিন স্থায়ী হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিভিন্ন গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি নারী ও কিশোরী নিরাপদ মাসিক স্বাস্থ্যসেবার অভাবে ভোগেন। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশে এই সমস্যা বেশি প্রবল। মাসিক নিয়ে সামাজিক কুসংস্কার ও তথ্যের ঘাটতির কারণে মেয়েরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণেও বাধার সম্মুখীন হন।
বাংলাদেশেও এই দিবস উপলক্ষে নানা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তরে মাসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে আলোচনা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি চলছে।
বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্য দিবসের এই বছর (২০২৫) প্রতিপাদ্য : ‘Making menstruation a normal fact of life by 2030’। এর মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মাসিককে স্বাভাবিক ও সম্মানজনক একটি বিষয় হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
পিরিয়ডের সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, মানসিক সাপোর্ট এবং সামাজিক স্বীকৃতি- এই তিন বিষয় সবচেয়ে জরুরি। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, যৌথ সচেতনতাই পারে সহনশীল ও স্বাস্থ্যবান সমাজ গঠন করতে।
এ বিষয়ে প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শারমিন সিদ্দিকা ইসলাম বলেন, টয়লেটের সময় টয়লেট পেপার ব্যবহার করছি, সেটা যদি স্বাভাবিক হয়; তাহলে পিরিয়ডের সময় একজন নারী ন্যাপকিন ব্যবহার করবে, এটাও স্বাভাবিক। এখন সবাই অনেক সচেতন, শুধু বিষয়টিকে সহজভাবে নিলেই হয়। মেয়েরা যেন নিরাপদ, সুস্থ ও সম্মানের সঙ্গে বেড়ে উঠতে পারে, সেই দৃষ্টিভঙ্গি গড়াই এখন সময়ের দাবি বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন