কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে। ভ্রমণের জায়গা খোঁজা, গবেষণা, স্কুলের হোমওয়ার্ক কিংবা একাকিত্ব দূর করার সঙ্গী হিসেবে—সব ক্ষেত্রেই অনেকেই এআইয়ের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এবার জানা গেল, ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এআই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
সম্প্রতি এক তরুণী জানিয়েছেন, এআইয়ের সাহায্যে মাত্র দুই মাসে তিনি ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন! ইনস্টাগ্রামে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে ওই তরুণী জানান, চ্যাটজিপিটির তৈরি করে দেওয়া ডায়েট মেনেই তিনি এই সাফল্য পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, ডায়েট থেকে নিজের প্রিয় আইসক্রিম খাওয়ার সুযোগও পেয়েছেন তিনি।
ইনস্টাগ্রাম প্রভাবী সিমরন ভালেশা এআই-নির্ভর ওজন কমানোর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে এআই অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনো মানুষই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তবে তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধাপ মেনে চলতে হবে—
১. প্রথমেই এআইকে নিজের উচ্চতা, ওজন ও বয়স জানাতে হয়।
২. কত দিনে কত কেজি ওজন কমাতে চান, সেটিও উল্লেখ করতে হয়।
৩. দৈনন্দিন রুটিনে কতটা কাজ করা হয়, কতটা হাঁটা হয়, দিনে কয়বার খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে, শরীরচর্চা করা হয় কি না—এসব বিস্তারিত জানাতে হয়।
৪. দিনে কয়বার ভারী ও হালকা খাবার খান, সেটিও জানাতে হয়। যেমন সিমরন লিখেছিলেন, তিনি দিনে দুবার ভারী আর তিনবার হালকা খাবার খান।
৫. কোন ধরনের খাবার পছন্দ করেন, সেটি উল্লেখ করলে স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য উপাদান দিয়েই এআই খাদ্যতালিকা সাজায়।
৬. ডায়েট মেনে চলতে গিয়ে যদি হঠাৎ আইসক্রিম বা ব্রাউনি খেতে ইচ্ছে করে, তখন কী করবেন—সে উপদেশও পাওয়া যায়।
৭. রেস্তোরাঁয় গেলে কোন খাবার খাওয়া যাবে আর কোনটি এড়িয়ে চলতে হবে, সেটিও জানায় এআই।
৮. মানসিক চাপের কারণে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা হলে কীভাবে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সে দিকনির্দেশনাও এআই দেয়।
সিমরনের দাবি, এআইকে সঠিক তথ্য দিলে ব্যক্তিগতভাবে মানানসই ডায়েট প্ল্যান তৈরি করা সম্ভব। আর সেই ডায়েট ঠিকভাবে মেনে চললেই ওজন কমানো কঠিন নয়।
সূত্র : আনন্দবাজার অনলাইন
মন্তব্য করুন