দুর্গাপূজা আসতে আর মাত্র ক’দিন বাকি। প্রতি বছরের মতো এবারও সবাই চেষ্টা করছে ঘরবাড়ি পরিষ্কার করে, মন থেকে ভালোবাসা দিয়ে দেবী দুর্গাকে বরণ করে নিতে। তবে জানেন কি, পূজা শুরু হওয়ার আগে আপনার বাসা থেকে কয়েকটি জিনিস সরিয়ে ফেলা খুব দরকার? না হলে মা দুর্গা অখুশি হতে পারেন।
দেবীপক্ষ কবে থেকে শুরু?
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের প্রথম দিন থেকেই দেবীপক্ষ শুরু হয়। অর্থাৎ ২০২৫ সালে দেবীপক্ষ শুরু হচ্ছে ২২ সেপ্টেম্বর, সোমবার থেকে। আর ২৯ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর দিন থেকে শুরু হবে মূল দুর্গাপূজা।
এই সময়টাতে অনেকেই মনে করেন, দেবী দুর্গা এই পৃথিবীতে আগমন করেন, তাই তার সন্তুষ্টি অর্জন করার জন্য শুধু ভক্তি নয়, কিছু নিয়মও মানা দরকার। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাড়িতে থাকা কিছু জিনিস মায়ের আগমনের আগে সরিয়ে ফেললে ঘর থেকে দূর হয় অশুভ শক্তি এবং বাড়ে শুভ শক্তি।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, দুর্গাপূজার আগে বাড়ি থেকে কোন ৪টি জিনিস সরিয়ে ফেলা উচিত।
বাসায় যদি কোনও দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি থাকে, তাহলে এখনই সেটা সরিয়ে ফেলুন। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ভাঙা মূর্তি ঘরে রাখা খুবই অশুভ। এটি ঘরে দুশ্চিন্তা, অশান্তি এবং দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। যদি কোন মূর্তি ভেঙে যায়, তাহলে সেটি ভালোভাবে নদী বা পুকুরে ভাসিয়ে দিন — তবে অবশ্যই যত্রতত্র ফেলে দেবেন না।
বাড়িতে যদি কোনো ঘড়ি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে, সেটা খুলে ফেলুন বা ঠিক করিয়ে নিন। জ্যোতিষ মতে, বন্ধ ঘড়ি মানে থেমে যাওয়া সময় — যা জীবনে অগ্রগতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। দুর্গাপূজার আগে এ ধরনের জিনিস ঘড়িঘরে রাখা একেবারেই উচিত নয়।
নবরাত্রির সময় অনেকেই নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করেন। বাস্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সময় পেঁয়াজ, রসুন এবং অন্যান্য আমিষ খাদ্য এড়িয়ে চলাই ভালো। এতে ঘরে পবিত্রতা বজায় থাকে এবং ইতিবাচক শক্তির প্রবাহ বাড়ে। তাই পূজার সময় পুরোপুরি নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করুন, অন্তত এই ক’দিন।
যে জুতো বা স্যান্ডেল আপনি আর ব্যবহার করেন না, তা ঘরে জমিয়ে রাখবেন না। পুরনো বা ছেঁড়া জুতো ঘরে রাখলে তা বাস্তু অনুযায়ী নেতিবাচক শক্তি তৈরি করে, যা জীবনে দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। যদি এগুলো কাউকে দেওয়ার উপযোগী হয়, তাহলে দান করে দিন।
দুর্গাপূজা শুধু উৎসবই নয়, এটা মন ও ঘর পরিষ্কার করার একটা সময়। আপনার বাসা থেকে যদি ওপরের জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলেন, তাহলে ঘরে আসবে শান্তি, ইতিবাচক শক্তি আর আশীর্বাদ। দেবী দুর্গাও নিশ্চয়ই খুশি হবেন।
সূত্র : এই সময় অনলাইন
মন্তব্য করুন