

সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন দারুণ জনপ্রিয় একটা খেলা চলছে— অপটিক্যাল ইলিউশন বা দৃষ্টিভ্রমের ধাঁধা। এই ছবিগুলো যেমন মজার, তেমনই আমাদের মস্তিষ্কের জন্য দারুণ এক ব্যায়ামও বটে। কারণ, চোখ যা দেখে, মস্তিষ্ক সেটিকে অনেক সময় অন্যভাবে বোঝে— আর এই বিভ্রান্তির মধ্যেই তৈরি হয় অপটিক্যাল ইলিউশন।
সহজভাবে বলতে গেলে, অপটিক্যাল ইলিউশন এমন এক ভিজ্যুয়াল কৌশল, যেখানে চোখে দেখা আর মস্তিষ্কের বোঝার মধ্যে পার্থক্য তৈরি হয়। ফলে যা আমরা দেখি, সেটাই আসলে বাস্তব নয়!
উদাহরণ
- স্থির কোনো ছবি নড়ছে বলে মনে হওয়া
- দুটি সমান বস্তু ভিন্ন আকারের মনে হওয়া
- অথবা এক ছবির মধ্যে লুকিয়ে থাকা মুখ বা অন্য কোনো আকৃতি দেখতে পাওয়া।
এমন দৃষ্টিভ্রমের ছবিগুলো আমাদের মনোযোগ ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা যাচাই করার মজার এক উপায়।
এখন চ্যালেঞ্জ : খুঁজে বের করুন সেই আলাদা সিংহটিকে!
একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে অনেকগুলো রঙিন সিংহ— কেউ লাল, কেউ নীল, কেউ হলুদ। বাইরে থেকে সবাই একই রকম মনে হলেও, তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে একটি ‘দুষ্টু’ সিংহ, যে একটু অন্যরকম কিছু করছে।
আপনার কাজ হলো— মাত্র ৫ সেকেন্ডের মধ্যে সেই ভিন্ন সিংহটিকে খুঁজে বের করা।
যদি খুঁজে পান, অভিনন্দন! আপনার চোখ ও মন দুটোই দারুণ তীক্ষ্ণ। আর যদি এখনো না পান, ছবিটা আবার ভালো করে দেখুন— উত্তরটা কিন্তু একদম সামনেই আছে!
বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে এই ধাঁধা শেয়ার করুন, দেখুন কে সবার আগে খুঁজে পায় সেই আলাদা সিংহটিকে।
অপটিক্যাল ইলিউশনের তিন ধরন
বিশেষজ্ঞদের মতে, দৃষ্টিভ্রম সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
লিটারাল ইলিউশন : এখানে মস্তিষ্ক ছবির উপাদানগুলোকে একত্র করে এমন কিছু তৈরি করে, যা বাস্তবে নেই। যেমন— একই ছবিতে কখনো দুটি মুখ, কখনো একটি ফুলদানি দেখা যায়।
ফিজিওলজিক্যাল ইলিউশন : আলো, রং বা গতির অতিরিক্ত প্রভাবে চোখ ও মস্তিষ্ক বিভ্রান্ত হয়ে যায়। ফলে স্থির ছবিও নড়ছে বলে মনে হয়।
কগনিটিভ ইলিউশন : এখানে মস্তিষ্ক নিজেই ভুল ব্যাখ্যা দেয়। যেমন— মুলার-লায়ার ইলিউশনে দুটি সমান দৈর্ঘ্যের রেখা একটির চেয়ে অন্যটি বড় মনে হয়।
চোখের নয়, মস্তিষ্কের খেলা
অপটিক্যাল ইলিউশন শুধু চোখের ধাঁধা নয়। এটি আমাদের মস্তিষ্কের দারুণ এক মানসিক খেলা। তাই পরের বার এমন কোনো ছবি দেখলে, একটু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে দেখুন। কে জানে, হয়তো আপনি নিজেই বুঝে ফেলবেন আপনার পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা কতটা তীক্ষ্ণ!
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
মন্তব্য করুন