কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দাদাভাই অনুভব করেছিলেন একটি শিশু সংগঠনের : হাশেম খান

হাশেম খানের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা
হাশেম খানের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা। ছবি : কালবেলা

দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তোমরা কি জানো কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক প্রখ্যাত শিশু সংগঠক, শিশু সাহিত্যিক সাংবাদিক রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই ছিলেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রথম প্রস্তাবক। দাদাভাই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন একটি শিশু সংগঠনের।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির আয়োজনে রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই মিলনায়তনে দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী হাশেম খানের ৮৪তম জন্মদিন উপলক্ষে ‌‌‘রংতুলিতে বাংলাদেশ’ শীর্ষক একক বক্তৃতায় শিশুদের প্রিয় চিত্রশিল্পী হাশেম খান রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের শিশুদের প্রতি ভালোবাসার কথা এভাবে তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশে প্রতিটি শিশুর অধিকার রয়েছে স্কুলে পড়ার। তবে স্কুল পরীক্ষার ঘোর বিরোধী আমি। প্রত্যেককেই নিজস্ব সংস্কৃতিতে মন দিতে হবে।

হাশেম খান শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিশু একাডেমির আজকের এই অনুষ্ঠানে আমি এসেছি শুধু তোমাদের জন্য। তোমাদের সঙ্গে গল্প করতে। আমাদের সময় ছোটদের এত উৎসাহ দেওয়া হত না। আমি অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে, পরিবার সমাজের সঙ্গে লড়াই করে চারুকলায় পড়তে এসেছি। এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তোমাদের লড়াই করতে হচ্ছে না। কিন্তু ওই ইতিহাসও তোমাদের জানতে হবে।

তিনি বলেন, তোমাদের বইয়ে আমি ছবি আঁকি কারণ তোমরা যখন পাঠের পাশাপাশি একটা ছবি দেখো তাহলে সেটা আরও বেশি বেশি তোমাদের মনে থাকবে। শুধু এ কারণেই আমি পাঠ্যবইয়ে ছবি এঁকেছি। বইয়ের এই ছবি অলংকরণ, বই সাজসজ্জা বলা হয়। আসলে এটি সাজসজ্জা নয় এটি বই নকশা। এটিও একটি শিক্ষণীয় বিষয়।

তিনি শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শিশুদের প্রশ্নের উত্তর দেন। শিশুদের আঁকা ছবি নিয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত দ্বিতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন চিত্রশিল্পী হাশেম খান। শিশুদের আঁকা ছবির প্রশংসা করেন এবং তিনি এই আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ছড়াকার সুজন বড়ুয়া, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক প্রধান শিল্প নির্দেশক শিল্পী জাহিদ মোস্তফা, শিশু সাহিত্যিক স. ম. শামসুল আলম, কথা সাহিত্যিক মণি হায়দার, ছড়াকার আসলাম সানী, শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরী, লায়লা আঞ্জুমান্দ, জাহিদুর রহমান খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোসাস্মৎ নাসরীন আক্তার। শিশুদের মধ্যে বক্তব্য দেয় জাপান থেকে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় পুরস্কার প্রাপ্ত মাইশা জামান, জায়ান শামস ইসলাম, মেহজাবীন এশা, অরণ্য নীল।

আনজীর লিটন বলেন, হাশেম খানের হাতেই আমরা বাংলাদেশ দেখেছি। পাখি কেমন হয়, ফুল কেমন হয় তা আমরা হাশেম খানের ছবি দেখে জেনেছি। হাশেম খান তার আঁকা ছবির মাধ্যমে আমাদের দেখিয়েছেন কীভাবে বাংলাদেশকে রংতুলির মাধ্যমে তুলে ধরা যায়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেপ্টেম্বরে বিশ্ব খাদ্যমূল্য সূচক কমেছে : এফএও

টিভিতে আজকের যত খেলা

‘বিদেশি নম্বর’ থেকে ফোন করে ওসিকে হত্যার হুমকি

ইসরায়েলকে বোমাবর্ষণ থামাতে ট্রাম্পের আহ্বান

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

৪ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

১০

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

১১

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

১২

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

১৩

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

১৪

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

১৫

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

১৬

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১৭

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১৮

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১৯

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

২০
X