কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘আর যেন রক্তপাত না হয়’

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। ছবি ভিডিও থেকে
অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। ছবি ভিডিও থেকে

অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেছেন, দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে সবার চিন্তা করা উচিত, যাতে আর কোনো রক্তপাত না হয়।

দেশের বিদ্যমান অবস্থায় সংকট নিরসনে করণীয় প্রসঙ্গে রোববার (৪ আগস্ট) রাজধানীর রাওয়া ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সাবেক এ মেজর বলেন, বর্তমান এই পরিস্থিতি আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। দেশে আন্দোলন হয়েছে, দু-একজনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে আন্দোলন যে এই পর্যায়ে পৌঁছবে, এটা আমি কখনো ভাবিনি। আমাদের দেশের সরকার যেটা আছে, একটা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার এবং তাদের সবকিছু মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। দেশে যে ঘটনা ঘটে গেল এবং যে পরিস্থিতি চলমান আছে; সরকার এখন সবকিছু মেনে নিতে চাচ্ছে, এটা যদি আগে করত তাহলে এ পরিস্থিতির উদ্ভব হয় না। এখন ওরা যা বলছে, সরকার তাই-ই মেনে নিচ্ছে। কিন্তু প্রথম আমরা কি করলাম? তাদের সঙ্গে কি ব্যবহার করলাম? কেমন করে আমাদের লোকদের উসকে দিলাম?

মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, আমি যখন টেলিভিশন দেখি, তখন ছাত্রদের বলা হয় দুষ্কৃতকারী। টেলিভিশনে একজনের চেহারাও আমি দুষ্কৃতকারী দেখিনি। যারা কতগুলো স্থাপনা পুড়িয়েছে। এগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, পুড়িয়ে দিতে সাহায্য করেছে। কেপিআই স্থাপনাগুলো বিশেষ নিরাপত্তায় রাখা হয় কিন্তু আপনারা যদি ওই সময়কার ভিডিও ফুটেজগুলো দেখেন, দেখবেন কোনো নিরাপত্তা ছিল না। তাহলে কি মনে করার সুযোগ আছে, যা করছে তা করতে থাকুক। গুলি কেন তখন হয়নি? পরবর্তীতে আমাদের যে মূল্যবান প্রাণ চলে গেল, এগুলো তো আর ফিরে পাব না। এখন যেন আল্লার ওয়াস্তে আমরা এ জায়গাতে থামি।

তিনি বলেন, যেহেতু সব দাবিই মোটামুটিভাবে মেনে নেওয়া হয়েছে, যদিও এখন ৯ দফা থেকে এখন একদফায় পরিণত হয়েছে। এটা রাজনৈতিক ব্যাপার, এ বিষয়ে আমি কথা বলব না। তবে এখন সবার চিন্তা করা উচিত, যাতে আর রক্তপাত না হয়।

তিনি আরও বলেন, আজ ২৫ বছর হয়েছে আমি অবসরে গিয়েছি। কিন্তু একবারও মনে হয়নি আমি সেনাবাহিনীতে নেই। থাকিও সেনাবাহিনীর আশপাশে। প্রতিটি মুহূর্তে আমার মনে হতো আমি সেনাবাহিনীর সদস্য এবং এখনো মনে হয়। কিন্তু গত কদিন থেকে আমার পরিচিত বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন যেসব কথা বলেন, আমার সত্যিই খুব খারাপ লাগে। এই জিনিসগুলো সেনাবাহিনীর প্রাপ্য না। এই সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ দেখেছি, কিভাবে কি হয়। কিন্তু আজকে বলতে বাধ্য হচ্ছি, সে প্রশিক্ষণের কোনো চিহ্ন আমি পাইনি, দেখিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমরণ অনশনে বসলেন এনসিপি নেতা জাহাঙ্গীর

ডা. জাহিদের বক্তব্য ছাড়া খালেদা জিয়ার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

ডিজিটাল কমার্স অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেল দারাজ বাংলাদেশ

যুবলীগ নেতার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করল দুদক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত

মেট্রোরেল-এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর

আগুনে পুড়ে যাওয়া কড়াইলবাসীর পাশে দাঁড়াল দেশবন্ধু গ্রুপ

যে ৪ ধরনের মানুষের জন্য চিয়া সিড বিপজ্জনক

বিদ্যুৎ উৎপাদনে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের রেকর্ড

১০

শরীয়তপুরে প্রথম নারী পুলিশ সুপার রওনক জাহান

১১

বাবা বেঁচে আছে কিনা জানি না, ইমরান খানের ছেলে

১২

যারা ভোট দিতে পারবেন না, জানালেন ইসি সচিব

১৩

মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনে আগুন

১৪

চকবাজারে আবাসিক ভবনে আগুন

১৫

খালেদা জিয়ার জন্য দোয়ার আহ্বান জামায়াতের

১৬

গোসল করতে নেমে প্রাণ গেল তামিমের

১৭

চলন্ত যানবাহনে নামাজ আদায় করার সঠিক নিয়ম

১৮

খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় এভারকেয়ারে চীনের মেডিকেল টিম

১৯

মার্কিন হুমকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক জোটের দ্বারস্থ ভেনেজুয়েলা

২০
X