কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৫ পিএম
আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৮ দিনের রিমান্ডে সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

উল্লেখ্য, বৈষম্য ও কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলী (২৪) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। তার উপস্থিতিতে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাতুল রাকিবের আদালতে এ রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে তাকে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালক (ডিজি) থাকাকালীন জিয়াউল আহসানকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ মামলায় বুধবার (১৪ আগস্ট) সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতপরিচয়।

আয়শা বেগম এ মামলার অভিযোগে বলেন, নিউমার্কেট থানার মিরপুর রোডের বলাকা সিনেমা হলের গলির মুখে পাপোশের দোকানে কাজ করত আমার ছেলে শাহজাহান আলী । ১৬ জুলাই সকাল ৯টার দিকে সে দোকানে কাজ করার জন্য যায়। শাহজাহান খুব অসুস্থ অবস্থায় ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ওইদিন সন্ধ্যায় অচেনা এক ব্যক্তি আমার ছেলের মোবাইল ফোন নম্বর থেকে আমার মোবাইল ফোনে কল করে জানায়। তখন আমি সংবাদ পেয়ে ওেই হাসপাতালে গেলে জানতে পারি, উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার ছেলেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তখনই আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই এবং আমার ছেলের মরদেহ মর্গে গিয়ে শনাক্ত করি।

বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে তখন জানতে পারি, গত ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) অচেনা কোটাবিরোধীদের দ্বারা গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়ে নিউমার্কেট থানাধীন মিরপুর রোডের টিটি কলেজের বিপরীত পাশে কাদের আর্কেড মার্কেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর রক্তাক্ত জখম হয়ে আমার ছেলে রাস্তায় পড়ে থাকে। এছাড়াও মামলার অভিযোগে বলা হয়, আমার ছেলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা এলোপাতাড়ি আঘাত করে; যে জন্য রক্তাক্ত জখম হয়ে আমার ছেলে রাস্তায় পড়ে থাকে। তাকে চিকিৎসার জন্য উপস্থিত পথচারীরা দ্রুত ধানমন্ডির পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

মামলার বাদী আরও বলেন, আমার ছেলেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টা ৫ মিনিটের দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপ-সহকারীর ভরসায় চলছে ২০ শয্যার হাসপাতাল

মার্কিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক 

নদীর স্রোতে তলিয়ে গেল ৩ বোন

‘ভারতের মানচিত্রও মুছে যাবে’, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হুঁশিয়ারি

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : আনোয়ারুজ্জামান

প্রধান উপদেষ্টা ও ওসিকে হত্যার হুমকি যুবলীগ নেতার

অ্যানথ্রাক্সে মরছে গরু, আতঙ্কে কমেছে মাংস বিক্রি

নিখোঁজ ৫ জেলের সন্ধান মেলেনি সাত দিনেও

দক্ষ এমডির চরম সংকটে ব্যাংকিং খাত : গভর্নর 

তারেক রহমানের পক্ষে শতাধিক কোরআন বিতরণ

১০

বিশ্ব রোবটিক্স প্রতিযোগিতা / জিহাদের উদ্ভাবিত রোবট ‘হেক্সাগার্ড রোভার’ পেল স্বর্ণপদক

১১

‘অসৎ মানুষের কাজে নয়, সমাজ ধ্বংস হয় সৎ মানুষের নীরবতায়’

১২

গাজা অভিমুখে শহিদুল আলম, তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্ট

১৩

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডলারের মালিক হলেন ইলন মাস্ক

১৪

বিনা অস্ত্রোপচারে ৮ নবজাতকের জন্ম

১৫

রেকর্ড গড়ে স্বর্ণের নতুন দাম ২ লাখ ছুঁইছুঁই

১৬

যদি বেঁচে থাকি, ভবিষ্যতে তাদের গলায়ও গামছা পরাব : নুর

১৭

যেখানে ইতিহাস আর ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার

১৮

সাংবাদিকদের দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটির দাবি 

১৯

কর্ণফুলী টানেলে মিনিবাস উল্টে আহত ৪

২০
X