ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। ঘটনা দুটি নিয়ে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
এবার আলোচিত এসব ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি।
ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ লিখেন, মব কিলিংকে কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সঠিক তথ্যসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান থাকবে। একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হামলাকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই। আরও লিখেন, যাদের হাতে রক্ত লেগে আছে, তারাই আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসে এসে বসার সুযোগ পেতে পারে না।
এর আগে এসব ঘটনা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলমসহ অনেকেই।
প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অন্যতম কারিগর ৩৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়াও বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে আটক করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। ওই ব্যক্তিকে কয়েক দফায় মারধরের পর রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের নাম তোফাজ্জল (৩০)। তার বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলি ইউনিয়নে। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা দায়ের করেছে। প্রশাসনের পক্ষে এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ শাহবাগ থানায় এজাহার দায়ের করেন।
এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম সাহাবুদ্দিন শাহীন।
মন্তব্য করুন