কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
আপডেট : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউনিয়ন ব্যাংকের প্রতিবাদ 

গ্রাফিক্স : কালবেলা।
গ্রাফিক্স : কালবেলা।

২৯ সেপ্টেম্বর একটি বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত 'ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সরিয়েছেন এস আলম' শীর্ষক সংবাদ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইউনিয়ন ব্যাংক মনে করে, প্রকাশিত সংবাদের অনেক তথ্যই অতিরঞ্জিত, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রীতিনীতি মেনেই ইউনিয়ন ব্যাংকের ঋণ (বিনিয়োগ) বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী সম্পর্কে যেসব তথ্য লেখা হয়েছে সেগুলোও মনগড়া ও ভিত্তিহীন। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এ ধরনের মিথ্যা প্রপাগান্ডার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গত ২৭ আগস্ট ইউনিয়ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ গঠন করে দেওয়া হয়।

ইউনিয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শুরু থেকেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সব পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে। একই সঙ্গে নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নিরীক্ষাদলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। কিন্তু প্রকাশিত সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বলা হয়, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এস আলমের ঋণ ও আমানতের বিষয়ে তথ্য চেয়ে ঠিকমতো পাচ্ছেন না। ফলে ব্যাংকটির প্রকৃত চিত্র বের করতে পারছেন না'। প্রতিবেদনে উল্লেখিত এ বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে মোকাম্মেল হক চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর। তিনিও চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও এস আলম পরিবারের আত্মীয়।' প্রতিবেদনে উল্লেখিত এ বক্তব্যেরও কোনো ভিত্তি নেই। এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল শর্ত পূরণ করেই ইউনিয়ন ব্যাংকের এমডি হয়েছেন এবং এস আলম পরিবারের সঙ্গে তার কোনো আত্মীয়তার সম্পর্কও নেই। ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের শীর্ষ ব্যক্তি হিসেবে যতটুকু দায়িত্ব পালন করা দরকার, ব্যাংকের স্বার্থে তিনি ততটুকুই করেছেন।

প্রতিবেদনে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বলা হয়, 'ব্যাংক দখল, অর্থ লুটপাট ও অর্থ পাচারে সাইফুল আলমের সহযোগী হিসেবে পরিচিত মোকাম্মেল হক চৌধুরী বিদায়ী সরকারেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন।' প্রতিবেদনে উল্লিখিত এ অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী কখনোই কোনো ব্যাংক দখল করতে যাননি। অর্থ লুটপাট ও অর্থ পাচারে কারো সহযোগী হওয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রতিবেদনে ইউনিয়ন ব্যাংকের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার (যদিও নাম উদ্ধৃত করা হয়নি) বরাতে ভিত্তিহীন বিভিন্ন তথ্য লেখা হয়েছে যা মোটেও সত্য নয়। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে, ব্যাংকের অভ্যন্তরে যদি কোনো অনিয়ম ঘটে থাকে, তার দায়-দায়িত্ব কোনো জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাই এড়াতে পারেন না। আমরা দৃঢ়ভাবে জানাতে চাই, দেশের ব্যাংক খাতের স্বার্থে যে সংস্কার কার্যক্রম চলছে, তার প্রতি ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হল ছাড়ছেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা, আন্দোলনের ঘোষণা একাংশের

ভিসা নিয়ে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের কঠোর বার্তা

গোলের বদলে ডিম! পাখির কারণে মাঠছাড়া ফুটবলাররা

আফগানিস্তানে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, নিহত বেড়ে ২৫০

নিজেদের অজান্তেই গাজায় বড় সফলতা পেল ইসরায়েল

সিইসির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক দুপুরে

ইন্দোনেশিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারমুখী অবস্থান, আন্দোলনে নতুন মোড়

প্রিন্স মামুনের সেলুন কেনা নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দুপুরের মধ্যে ঢাকায় বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস 

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১০

আফগানিস্তানে কেন বারবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানছে

১১

সাদাপাথরে যে সৌন্দর্য ফিরবে না আর

১২

আগস্টের ৩০ দিনে রেমিট্যান্স আসেনি ৯ ব্যাংকে

১৩

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে ঢাকা

১৪

মাথায় টাক পড়ছে? ৫ অসুখের লক্ষণ হতে পারে চুল পড়া

১৫

৪৭তম ট্রফি জেতা হলো না মেসির, ফাইনালে মায়ামির লজ্জার হার

১৬

১৩০ বছরের ‘জিয়া বাড়ি’ আজও অবহেলিত

১৭

ফের আলোচনায় ভারতের সুপার স্পাই অজিত দোভাল

১৮

বিবিসি নাকি ভাই ভাই চ্যানেল, নারী সংবাদিক ভাইরাল

১৯

সুস্থ থাকতে রাতে ভাত খাবেন, না রুটি? যা বলছেন পুষ্টিবিদ

২০
X