দেশে গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ শিশুর মৃত্যু হয়েছে ২০২২ সালে। এ সময়ে প্রতি হাজারে ১ থেকে ৪ বছর বয়সের শিশু মৃত্যুহার ১ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২২ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুহারও বেড়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ভবনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (চলতি দায়িত্ব) মহাপরিচালক পরিমল চন্দ্র বসু।
বিবিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে ৩১ শিশু মারা গেছে। এর আগের তিন বছরে মারা গেছিল ২৮ শিশু। ২০১৮ সালে ছিল ২৯ জন। প্রতি হাজার জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে মৃত্যুর দিক থেকে এগিয়ে আছে পুরুষ শিশু। ২০২২ সালে প্রতি হাজারে ৩৩ জন পুরুষ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নারী শিশুর মৃত্যু হয়েছে ২৯ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৫ বছরের কম বয়সী শিশু মৃত্যুর হার শহরের তুলনা গ্রামে বেশি। ২০২২ সালে শহরে যেখানে প্রতি হাজারে ২৯ শিশুর মৃত্যু হয়েছে, সেখানে গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৩২ শিশুর।
তবে কমেছে মাতৃমৃত্যুর হার। ২০২২ সালে জীবিত জন্ম নেওয়া শিশুর বিপরীতে প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের, যা ২০২১ সালে ছিল ১৬৮ জন।
মন্তব্য করুন