বেসরকারি খাতে পেনশনের নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। আগামী দিনে বেসরকারি চাকরি থেকে অবসরে গিয়েও পেনশন সুবিধা ভোগ করা যাবে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্বকর্মে নিয়োজিত ও স্বল্প-আয়ের নাগরিক ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা এতে অংশ নিতে পারবেন। সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর প্রথম দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত অন্তত ৬ হাজার ১০০ জন নিবন্ধন করেছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৪৬৩ জন প্রথম কিস্তির চাঁদা জমা দিয়েছেন।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, 'আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।'
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বহুলপ্রত্যাশিত এই ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি’ উদ্বোধন করেন। এ জন্য সরকার পৃথক একটি ওয়েবসাইট চালু করেছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকরা www.upension.gov.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে এই প্রকল্পের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
ইউনিপেনশন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে কয়েকটি ধাপে নিবন্ধন করতে হবে। আবেদনকারীকে বিভিন্ন ধাপে পিতা-মাতার নাম, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, জন্ম তারিখ, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং নমিনির তথ্য দিতে হবে। পরে এসএমএস বা ই-মেইলের মাধ্যমে আবেদনকারী একটি ওটিপি পাবেন। যার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে হবে।
এর আগে, গত রোববার (১৩ আগস্ট) সর্বজনীন পেনশন বিধিমালা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ (২০১৩ সনের ৪ নম্বর আইন)-এর ধারা ২৯-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নতুন এ বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা, ২০২৩ নামে অভিহিত হবে।
মন্তব্য করুন