কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশ বিমান ভেঙে নতুন এয়ারলাইনস তৈরির সুপারিশ

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলন। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমান ভাঙার সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক বিষয়ক টাস্কফোর্স। এটিকে একটি অথর্ব প্রতিষ্ঠান বলেও মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এটিকে কী উপায়ে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান এবং আধুনিকায়ন করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে বিদেশ থেকে কোনো এক্সপার্টকে এনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) করতে হবে।

তিনি বলেন, লোকসান কমাতে বিমানকে দুই ভাগ করে এক ভাগ বিদেশি সংস্থাকে দিয়ে পরিচালনা করা হবে এবং অন্যভাগ বিমানের মাধ্যমে পরিচালনা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে টাস্কফোর্স কমিটির প্রতিবেদনে। সমান সুযোগ-সুবিধা পাবে দুই সংস্থাই। এরপর দেখব কোন সংস্থা ভালো করেছে।

এ সময় টাস্কফোর্সের সভাপতি কেএএস মুর্শিদসহ অন্য সদস্যরা বক্তব্য দেন।

টাস্কফোর্সের সুপারিশে বাংলাদেশ বিমান পুনর্গঠন নিয়ে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একটি নতুন এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে হবে। নতুন এই এয়ারলাইনসটির সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘বাংলাদেশ এয়ারওয়েজ’। এটির পরিচালনা করা হবে একটি স্বাধীন, বিশ্বমানের ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এটি বিমানের বিদ্যমান সম্পদের একটি অংশ ব্যবহার করবে এবং উভয় সংস্থা আলাদা বাজার ও রুট টার্গেট করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেবার মান বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে অপসারণের পরিকল্পনাও রয়েছে।

এ ছাড়া ঢাকা শহরতলীতে একটি ‘গ্লোবাল এক্সেলেন্স সেন্টার’ স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং গণিত (এসটিইএম) বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণার জন্য কাজ করবে। পাশাপাশি পরিবেশ বিজ্ঞান, পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি এবং জৈবপ্রযুক্তি বিষয়েও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করবে। ভারতের আইআইটিসহ আন্তর্জাতিক মডেলের ওপর ভিত্তি করে এটি গবেষণা ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করবে।

সামাজিক ও আচরণগত পরিবর্তন নিয়ে গবেষণার জন্য ‘সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ কমিউনিকেশন অ্যান্ড রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে। এটি সমাজের বিভিন্ন স্তরে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য গবেষণায় মনোযোগ দেবে।

এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের গবেষণা, শিক্ষা এবং পরিবহন খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমরা একনেকে যেসব প্রকল্প পাস করি। এখন থেকে জ্বালানি সক্ষমতা বাড়াতে প্রতিটি সভাতেই প্রকল্প রাখা হচ্ছে। এতদিন বলা হতো- বাপেক্সের সক্ষমতা নেই। আমরা এটার সক্ষমতা বাড়াব। প্রয়োজনে মালয়েশিয়ার মতো অন্য দেশের সংস্থার সহায়তা নেব, তবে আমদানিতে না গিয়ে বাপেক্সে সক্ষম করব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুই সপ্তাহে সোনার দাম সর্বনিম্ন

ইউরোপা লিগ জিতলেও রক্ষা নেই ইউনাইটেডের

এপ্রিলে রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান / সবচেয়ে বেশি অপতথ্য প্রচারের শিকার যে রাজনৈতিক দল

জামায়াতকে হুমকি, সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ

পাকিস্তানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ কত?

নিরুদ্দেশ ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মা

শ্রমিকদলের সমাবেশে নারায়ণগঞ্জসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর ব্যাপক অংশগ্রহণ

রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধান / ড. ইউনূসকে নিয়ে সর্বোচ্চ ভুল তথ্য প্রচার এপ্রিলে

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও বিশেষ সহকারীকে স্মারকলিপি দিয়েছে এবি পার্টি

পাঁচ বছরের শিশু ধর্ষণ, অভিযুক্ত তামিম গ্রেপ্তার

১০

মে দিবসের র‍্যালিতে শ্রমিকদের দুগ্রুপের মারামারি

১১

এএসপি পদে বিবাহিতদের নিয়োগ না করার প্রস্তাব

১২

কোন প্ল্যাটফর্মে বেশি ভুল তথ্য ছড়িয়েছে, জানাল রিউমর স্ক্যানার

১৩

উপজেলা সম্মেলনে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০

১৪

ধান আনতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু

১৫

টঙ্গীতে বজ্রপাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

১৬

শেখ হাসিনা লাদেনের খালাতো বোন : রিজভী

১৭

দেড় হাজার প্রাক-প্রাথমিক স্কুলের জন্য সুখবর, তবে…

১৮

রাবি উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও ছাত্রশিবিরের

১৯

ফিলিস্তিনিদের জন্য মালয়েশিয়াস্থ চট্টগ্রাম সমিতির অনুদান হস্তান্তর

২০
X