কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১ পিএম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ
আল জাজিরাকে প্রধান উপদেষ্টা

শেখ হাসিনাকে চুপ রাখতে বললেন ড. ইউনূস, মোদি বললেন, ‘পারবেন না’

ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি। ছবি : সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সঙ্গে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এ সময় জুলাই বিপ্লব, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) আল জাজিরায় প্রধান উপদেষ্টার এই ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকারটি নেন আল জাজিরার সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার। তিনি প্রধান উপদেষ্টার কাছে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন রাখেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু জবাবে মোদি বলেছিলেন তিনি এটি পারবেন না। কারণ ভারতে সবাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। এটি সবার জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

‘শেখ হাসিনা দাবি করেন তিনি এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ভারত থেকে এসব বিবৃতি দিচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকার ভারতে তার অবস্থানকে কীভাবে দেখে?’

আল জাজিরার সাংবাদিকের এই প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, ‘ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ বিমসটেকভুক্ত দেশের সব সরকারপ্রধান এসেছিলেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয় এবং আমি তাকে স্পষ্ট করি, ঠিক আছে, যদি শেখ হাসিনাকে আপনি রাখতে চান, তাহলে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমি কিছু করতে পারব না। কিন্তু অবশ্যই তিনি যখন সেখানে থাকবেন, তার কথা বলা উচিত হবে না। কারণ তার বক্তব্য আমাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে। তিনি বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে উত্তেজিত করেন। এতে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার তখন জিজ্ঞেস করেন, ‘মোদি কী বলেছিলেন?’

ড. ইউনূস বলেন, ‘তিনি বলেছিলেন, ভারত হলো এমন দেশ, যেখানে সামাজিক মাধ্যম সবার জন্য উন্মুক্ত। আমি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না।’

সাংবাদিক প্রশ্ন রাখেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষে আপনি কেমন নেতা দেখতে চান, যিনি দেশকে এগিয়ে নিতে পারবেন?

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা পুরনো ফ্যাসিবাদী শাসনে ফেরত যেতে চাই না। আমরা অর্থপাচারে ফিরে যেতে চাই না। আপনি নেতাকে নিশ্চয়তা দিতে পারবেন না। কিন্তু আপনি সিস্টেমকে নিশ্চয়তা দিতে পারবেন।

এ সময় আগামী ডিসেম্বরে অথবা পরের বছরের জুনে নির্বাচন দেওয়ার নিশ্চয়তা নিয়ে জানতে চান সাংবাদিক নিয়েভ বার্কার।

জবাবে প্রধান উপেদেষ্টা বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ‘সংক্ষিপ্ত সংস্কার প্যাকেজ’ নিয়ে একমত হলে জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। তবে ‘বৃহৎ সংস্কার প্যাকেজ’ চাইলে নির্বাচন আগামী বছরের জুনে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, আমরা একটি সেরা নির্বাচন উপহার দিতে যাচ্ছি, যা এর আগে কেউ দেখেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

স্পেনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

কারাগারে সন্তান জন্ম দিলেন হত্যা মামলার আসামি

সিলেটের সাদাপাথর লুটের ঘটনায় সিআইডির অনুসন্ধান শুরু

হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন ৬ সেপ্টেম্বর

ডাকসুর ভিপি প্রার্থী জালালের বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

ডাকসু নির্বাচন / ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার দায়ে বাদ জুলিয়াস সিজার

ধর্ষণসহ হত্যায় ফুফাতো ভাইয়ের যাবজ্জীবন

কাজী নজরুলের কবিতা দেশের মুক্তিকামী মানুষকে সাহস যুগিয়েছে : তারেক রহমান

‘রোহিতকে সরানোর জন্যই ব্রঙ্কো টেস্ট এনেছে বিসিসিআই’

অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যা, প্রেমিক রাফির বিচার শুরু

১০

ভারতে প্রয়াত ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা পাবে অনুদান

১১

রাজধানীতে একক ব্যবস্থায় বাস চলবে : প্রেস উইং

১২

ভিনিকে বিক্রি করে দিতে বললেন রিয়াল কিংবদন্তি

১৩

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে সংখ্যালঘু নেই, ঐক্য পরিষদের ক্ষোভ

১৪

বিসিবির হাতে বিপিএলের স্পট ফিক্সিং তদন্ত প্রতিবেদন

১৫

ফেসবুকের বিরুদ্ধে জিডি করেছেন মাওলানা মামুনুল হক

১৬

চুল পড়া রোধ করবে যে জিনিস

১৭

ডাকসু নির্বাচনে সাত সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন

১৮

সাদাপাথরকাণ্ডে এবার পুলিশে বড় রদবদল

১৯

৪৫ বছর ধরে ঝুপড়ি ঘরে থাকা সেই দম্পতির পাশে ইউএনও

২০
X