গত ১৩ জুন লন্ডনে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আলোচিত বৈঠকটি নিয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে তথা ভার্চুয়াল জগতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আলোচিত ওই বৈঠকটি কে কিভাবে দেখছেন তা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড পলিসি ফোরাম (এসপিএফ)।
প্রতিষ্ঠানটির এক গবেষণা অনুযায়ী শুক্রবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠককে ৯২ ভাগ নেটিজেন ইতিবাচক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন। বাকি ৪.১ ভাগ নেতিবাচক এবং ৩.৯ ভাগ নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এসপিএফ সোমবার (১৬ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে গবেষণার বিষয়ে জানায় যে, দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক নিয়ে ১৭৭টি সংবাদ প্রতিবেদন এবং ৫০৬টি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এসব কন্টেন্ট বিশ্লেষণ করে এই উপসংহারে পৌঁছেছে এসপিএফ।
প্রতিষ্ঠানের গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক মাহবুব নাহিদ বলেন, ওই বৈঠকের মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে। ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং তারেক রহমানের রাজনৈতিক গুরুত্ব- এই দুটি প্রভাব একসঙ্গে সাধারণ মানুষের মনে আশা ও আলোচনা তৈরি করেছে। এই রকম বৈঠকগুলো সমাজে গণতান্ত্রিক সংলাপের পরিসর বাড়ায়।
এসপিএফের প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আসিফ হোসেন রচি বলেন, আমরা গবেষণায় ডেটা মাইনিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি যা ‘ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং’ ও ‘সেন্টিমেন্ট অ্যানালাইসিস’-এর মাধ্যমে জনমত পর্যালোচনা করে। এটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়, নিরপেক্ষ ও গাণিতিকভাবে যাচাইকৃত বিশ্লেষণ। নেটিজেনদের এমন ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া থেকে প্রমাণিত হয়, রাজনৈতিক পরিসরে নতুন সমঝোতা ও ইতিবাচক আলোচনা কতটা জরুরি।
উল্লেখ্য যে, এই গবেষণায় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যুগান্তর, নিউজ ২৪, এনটিভি, সময়, একাত্তর, চ্যানেল ২৪, দীপ্ত, ইনডিপেনডেন্ট, যমুনা টিভি, ঢাকা পোস্ট, দেশ চিন্তা ইত্যাদি।
প্রসঙ্গত, চার দিনের সরকারি সফরে গত ৯ জুন সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরদিন বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টার দিকে তিনি হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছোন। সরকার পক্ষের আগ্রহেই গত শুক্রবার তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় (বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা) বৈঠকটি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৩টা) বৈঠক শেষ হয়।
এই বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
মন্তব্য করুন