রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর)।
বুধবার (২৩ জুলাই) আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামি উদ দৌলা চৌধুরীর প্রেরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনেকেই না বুঝে এসব গুজবে বিশ্বাস করছেন। সন্তানদের বিষয়ে কোনো তথ্য গোপন করার ইচ্ছা বা প্রয়াস আমাদের নেই। যে কেউ এ বিষয়ে তদন্ত করতে চাইলে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে। কোনো ধরনের তথ্য যাচাই ছাড়া এ ধরনের গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
আইএসপিআরের পরিচালক বলেন, যে কোনো গণমাধ্যম চাইলে বিষয়টি তদন্ত করতে পারে। গণমাধ্যম সেনাবাহিনীসহ যে কারো সাক্ষাৎকার নিতে পারে। এছাড়া তারা যে কোনো স্থান পরিদর্শন করতে পারে। এ বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
আইএসপিআরের তালিকা অনুযায়ী এ ঘটনায় মোট আহত হয়েছেন ১৬৫ জন। তাদের মধ্যে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ৮, বার্ন ইনস্টিটিউটে ৪৬, ঢাকা মেডিকেলে ৩, সিএমএইচে ২৮, লুবনা জেনারেল হাসপাতালে ১৩, উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৬০, উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে ১, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১, ইউনাইটেড হাসপাতালে ২ এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩ জন চিকিৎসাধীন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুর ১টা ১৮ মিনিটের দিকে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর এফটি-৭ বিজিআই মডেলের একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়। আছড়ে পড়ার পরপরই বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। বিমানটি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকীর একাই উড়াচ্ছিলেন।
আইএসপিআর জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল এবং মাত্র ১২ মিনিট পর এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মাইলস্টোন ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়।
মন্তব্য করুন