নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে ১০৬ জন নোবেলজয়ীসহ ১৭৫ জন বিশ্বনেতারা বিবৃতি দেওয়ায় নেতৃস্থানীয় ২০০ জন বাংলাদেশি আমেরিকান নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। তারা বলেন, আমরা নিম্নস্বাক্ষরিত বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক বাংলাদেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেওয়া বিবৃতিতে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই বিবৃতিটি কোনো সঠিক তথ্য না জেনেই দেওয়া হয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আক্রমণ করেছে- স্বাধীনতা ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। বাংলাদেশে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, কর ফাঁকি, শ্রম অধিকারের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এইসব অভিযোগের মামলা এখনো বিচারাধীন এবং কোনো রায় এখনো হয়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে স্বাক্ষরকারীরা, যাদের অনেকেই আইনের শাসন নিয়ে কথা বলেন, তারাই বাংলদেশে ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন অভিযোগগুলো নিয়ে কোনোকিছু না জেনেই। আমরা, নিম্নস্বাক্ষরিত বাংলাদেশি আমেরিকানরা অনেক বছর ধরে ড. ইউনূসের অসদাচরণ পর্যবেক্ষণ করে আসছি। জনসংযোগ এবং প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে ড. ইউনূসের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কেও আমরা সচেতন। আমরা মার্কিন নাগরিক হিসেবে, এসব নিয়ে আগে কখনও অভিযোগ করিনি। আমরা বিশ্বাস করি বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা ড. ইউনূসের মিত্যাচার ও প্রতারণার শিকার। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা শুধু ড. ইউনূসের পক্ষে ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার আহ্বান জানিয়ে থামেনি তারা বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া, আইনের শাসন এবং অন্যান্য বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেছে যেগুলো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। বিবৃতির কিছু অংশে বলা হয়েছে: ‘... আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচন কমিশন দেশের সব বড় দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। আগের দুটি জাতীয় নির্বাচনের বৈধতা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ ‘এই ধরনের বিবৃতি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অতীতে, তথাকথিত ‘প্রধান দলগুলো’ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি ছিল অশ্রদ্ধাশীল। এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট, স্বাক্ষরকারীরা একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অকারণে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের সুনামকে ক্ষুণ্ন করেছেন। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে তাদের দাবি পুরো বিচারব্যস্থাকে অসম্মান করা এবং একটি সার্বভৌম জাতির মাননীয় বিচারকদের অমর্যাদার করার সামিল। বাংলাদেশে উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার গত পনেরো-বিশ বছরের তুলনায় অনেক এগিয়ে। লাখ লাখ প্রান্তিক নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমরা স্বাক্ষরকারীদের দলগতভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে তাদের দেওয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করে ১৭০ মিলিয়ন বাংলাদেশির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। স্বাক্ষরকারী : ১. ড. নুরন নবী, কাউন্সিলম্যান, নিউজার্সি ২. এ বি এম নাসির, অধ্যাপক, নর্থ ক্যারোলিনা ৩. আবু আহমেদ মুসা, কাউন্সিলম্যান, মিশিগান ৪. রানা হাসান মাহমুদ, প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়া ৫. ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক, পেনসিলভেনিয়া ৬. স্বীকৃতি বড়ুয়া, আইটি প্রকৌশলী, নিউইয়র্ক ৭. আবুল খান, স্টেট রেপ্রেজেন্টেটিভ, নিউ হেম্পসায়ার ৮. মাহবুবুল তয়ুব আলম, মেয়র, মেলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়া ৯. মো. নুরুল হাসান, কাউন্সিলম্যান, মেলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়া ১০. ড. সুফিয়ান এ খন্দকার, বিজ্ঞানী ১১. ড. আশরাফ আহমেদ, বিজ্ঞানী ও লেখক ১২. ড. জোতি প্রকাশ দত্ত, লেখক, ফ্লোরিডা ১৩. প্রফেসর আবু নাসের রাজিব, ক্যালিফোর্নিয়া ১৪. মোরশেদ আলম, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক ১৫. আহাদ আহমেদ, প্রকৌশলী, মিশিগান ১৬. ড. বামন দাস বসু, বিজ্ঞানী, মাসাচুসেটস ১৭. সাফেদা বসু, এক্টিভিস্ট, মাসাচুসেটস ১৮. ড. খন্দকার মনসুর, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক ১৯. ড. মহসিন পাটোয়ারি, অধ্যাপক, নিউইয়র্ক ২০. জামাল উদ্দিন হোসেন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আলাবামা ২১. ড. মহসিন আলী, লেখক, নিউইয়র্ক ২২. দস্তগীর জাহাঙ্গীর, সাংবাদিক, ভার্জিনিয়া ২৩. ফাহিম রেজা নূর, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক ২৪. ড. জিনাত নবী, বিজ্ঞানী, নিউজার্সি ২৫. হাসান ফেরদৌস, লেখক, নিউইয়র্ক ২৬. মেজর (অব.) মঞ্জুর আহমেদ, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক ২৭. ড. প্রদীপ কর, বিজ্ঞানী, নিউইয়র্ক ২৮. ডা. প্রতাপ দাস, চিকিৎসক, নিউইয়র্ক ২৯. কৌশিক আহমেদ, সম্পাদক, নিউইয়র্ক ৩০. লাভলু আনসার, সাংবাদিক, নিউইয়র্ক ৩১. রাফায়েত চৌধুরী, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক ৩২. আবু তাহের, এক্টিভিস্ট, পেনসিলভেনিয়া ৩৩. সউদ চৌধুরী, এক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক ৩৪. ড. মিজান আর মিয়া, অধ্যাপক, ইলিনয় ৩৫. ড. জামিল তালুকদার, অধ্যাপক, উইসকনসিন ৩৬. ড. শাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক, নিউইয়র্ক ৩৭. ড. হাসান মাহমুদ, অধ্যাপক, নিউজার্সি ৩৮. ড. খন্দকার মনসুর, বিজ্ঞানী, মেরিল্যান্ড ৩৯. ড. সৈয়দ আবু হাসনাত, শিক্ষক, মাসাচুসেটস ৪০. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী, জর্জিয়া ৪১. তাজুল ইমাম, শিল্পী, নিউইয়র্ক ৪২. আব্দুর রহিম বাদশা, ব্যবসায়ী, নিউইয়র্ক ৪৩. ড. মিজানুর রহমান, বিজ্ঞানী ৪৪. আব্দুল কাদের মিয়া, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক ৪৫. জাকারিয়া চৌধুরী, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক ৪৬. বেদারুল ইসলাম বাবলা, কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক ৪৭. মিন্টু রহমান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়া ৪৮. নাদিরা রহমান, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়া ৪৯. আরেফিন বাবুল, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়া ৫০. ড. শাহাব সিদ্দিক, বিজ্ঞানী, জর্জিয়া ৫১. মোহাম্মদ আলী বাবুল, আইনজ্ঞ, নিউইয়র্ক ৫২. মোহাম্মদ মাওলা, কমিউনিটি লিডার, জর্জিয়া ৫৩. ঝর্ণা চৌধুরী, থিয়েটার শিল্পী, নিউইয়র্ক ৫৪. লুতফুন নাহার লতা, অভিনয় শিল্পী, নিউইয়র্ক ৫৫. ডা. ফারুক আজম, চিকিৎসক, নিউজার্সি ৫৬. মিয়ান হেলাল, ব্যবসায়ী, নিউজার্সি ৫৭. শামসুন নাহার হেলেন, প্রযুক্তিবিদ, নিউজার্সি ৫৮. ইকবাল ইউসুফ, কমিউন
মন্তব্য করুন