মানিকগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলায় চারটি করে সংসদীয় আসনের দাবি জানিয়েছেন জেলার প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নির্বাচন ভবনে সংসদীয় আসনের শুনানিতে এ দাবি জানান তারা।
চারটি করে সংসদীয় আসনের দাবিতে মানিকগঞ্জের প্রতিনিধি ব্যারিস্টার খাইরুল আলম চৌধুরী বলেন, ২০০১ সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলায় চারটি সংসদীয় আসন ছিল। ২০০৮ সালে মানিকগঞ্জে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়। এতে সংসদে মানিকগঞ্জের জনগণের প্রতিনিধিত্ব কমেছে। চারটি আসন থাকায় মানিকগঞ্জে যে বরাদ্দ ছিল তা কমে গেছে। আমরা চারটি আসনের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছি।
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা গণমাধ্যমে বলেন, আমি এখানে এসেছি মানিকগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে। ২০০১ সালের মতো মানিকগঞ্জে চারটি আসনের দাবি মানিকগঞ্জের সব স্তরের মানুষের।
অন্যদিকে একই দাবি জানিয়ে মুন্সীগঞ্জের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, মুন্সীগঞ্জে এখন তিনটি আসন রয়েছে। এ আসন বাড়িয়ে ২০০১ সালের মতো চারটি আসন করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি। সেই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরেছি।
এর আগে গত ৩০ জুলাই ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ৩৯টি সংসদীয় আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন এনে নতুন সীমানার খসড়া প্রকাশ করে ইসি। এর মধ্যে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়। অন্যদিকে, কমানো হয়েছে বাগেরহাটের একটি আসন। নতুন প্রস্তাবে বাগেরহাটের আসন কমে তিনটি এবং গাজীপুরের আসন বেড়ে ছয়টি হবে। পরিবর্তনের মধ্যে রাখা হয়েছে রাজধানী ঢাকার ছয়টি আসনও। সীমানার পুনর্বিন্যাসের এ খসড়া প্রকাশের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লাসের পাশাপাশি ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখা দিয়েছে।
এদিকে খসড়া প্রকাশের পর প্রস্তাবিত ৩০০ আসন নিয়ে গত ১০ আগস্টের মধ্যে দাবি-আপত্তি জানানোর সুযোগ রাখা হয়। এতে ৮৩টি আসনে মোট ১ হাজার ৭৬০টি দাবি-আপত্তির আবেদন পড়ে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল থেকে এ দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি শুরু হলে সেখানে মারামারি ও হাতাহাতিতে জড়ান দুই পক্ষের লোকজন।
মন্তব্য করুন