বাংলাদেশ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি-জামাত সমর্থিত ঢাবি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানায় সাদা দল। এ সময় নেতারা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রায় এক মাস ধরে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ এবং অবিলম্বে তাকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অসামান্য কৃতিত্ব ছাড়াও তিনি বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। চার দশকের বেশি সময় ধরে এ দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় আপোষহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন। একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তার আপোষহীন সংগ্রামী রাজনৈতিক ভূমিকার কথা সকলের কাছে সুবিদিত। বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনসহ দেশের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা, আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক তথা সামগ্রিক উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রায় অসামান্য সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিএনপি এবং জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও অপচেষ্টার অংশ হিসেবেই তাকে কথিত দুর্নীতির মামলায় প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে কারাদন্ড প্রদান করে রাজনীতিতে থেকে বিযুক্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ৭৮ বছর বয়সী প্রবীণ নারী রাজনীতিবিদ খালেদা জিয়াকে উন্নত ও সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে ক্রমান্বয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধানের সূত্রে আমরা তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার যে বিবরণ পেয়েছি, তা খুবই উদ্বেগজনক। চিকিৎসকদের সূত্রেই আমরা জানতে পেরেছি যে, তিনি এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণের মতো অবস্থানে চলে গেছেন। খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষা করতে হলে বিদেশে অ্যাডভানস সেন্টারে নিয়ে তার চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
নেতারা বলেন, উপর্যুক্ত পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার অবনতিশীল শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে তার প্রতি মানবিক ও সহানুভূতিশীল আচরণ করার এবং তার জীবন রক্ষার্থে আদালতের মাধ্যমে তাকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য আমরা সরকার প্রতি জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন