কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আত্মহত্যা প্রতিরোধের প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে পরিবার থেকে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের মনোচিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম। পরিবারের সদস্যদের মত প্রকাশের অধিকার, একে অন্যের প্রতি সম্মান এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি খুব আত্মহত্যা প্রতিরোধে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে অভিমত এই মনোচিকিৎসকের।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।

১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে সচেতনতা, মাদকনির্ভরশীল ব্যাক্তি এবং আত্মহত্যার উচ্চ ঝুঁকি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনের মুল আলোচক কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রের মনোচিকিৎসক বিশেষজ্ঞ ডা. মো. রাহেনুল ইসলাম আত্মহত্যা কারনগুলোর মধ্যে মাদকাসক্তি, ডিসফাংশনাল ফ্যামিলি এবং মোবাইল আসক্তির উপর খুব গুরত্ব দিয়েছেন। তার মতে, আত্মহত্যা প্রতিরোধে প্রথম পদক্ষেপ পরিবার থেকে শুরু করতে হবে, পরিবারের সদস্যদের মোট প্রকাশের অধিকার, একে অন্যের প্রতি সম্মান এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি খুব গুরত্বপূর্ন। শিশুরাও যে আত্মহত্যার ঝুঁকির বাহিরে নয় এই তথ্যটিও তিনি উপস্থাপন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সিলর মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস মজুমদার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ২০২১ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে আসা সেবাগ্রহণকারী নারীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করেছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেবাগ্রহণকারী নারীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ৩২২ জন সেবাগ্রহণকারী নারীদের মধ্যে ১৭৭ জনের আত্মহত্যার ভাবনা ছিল। ৯৮ জন কখনো না কখনোও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে এবং ৫ জন চিকিৎসা নেয়ার পরও শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার মাধ্যমে তাদের জীবনের পরিসমাপ্তি টেনেছে। ১৭৭ জন আত্মহত্যাপ্রবণ রোগীদের মধ্যে ১২২ জন মাদকাসক্ত ছিলো। তাদের মধ্যে ১৬৩ জনের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে এবং ৭৪ জন আত্মহত্যাপ্রবণ ব্যাক্তির কমপক্ষে ১ টি মানসিক রোগ ছিলো।

প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সাইক্লোজিস্ট রাখী গাঙ্গুলী বলেন, আত্মহত্যা কখনোই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, এর জন্য পূর্ব ঘটিত অনেক কারন জড়িত। সমাজিক মাধ্যম গুলোকে এ বিষয়ে ব্যপক প্রচারনার মাধ্যমে আত্মহত্যা প্রতিরোধে সোচ্চার ভূমিকা রাখতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য এবং ওয়শ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ একটি জনস্বাস্থ্য অগ্রাধিকার এবং আত্মহত্যার মৃত্যুর হার কমানো নিশ্চিত করার জন্য জরুরী পদক্ষেপ প্রয়োজন। তিনি আরোও বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে আহ্ছানিয়া মিশনের মাদকাসক্তি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি উৎযাপন করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ভারতের অনুমতি মিলল দুদিন পর, ভুটানের পথে ট্রানশিপমেন্ট

মোংলা বন্দরের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন

বরিশালে ৮ দলের বিভাগীয় সমাবেশ মঙ্গলবার

টঙ্গীতে জোড় ইজতেমায় আরও এক মুসল্লির মৃত্যু

দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি : বাবুল

পরবর্তী সরকারের প্রতি আসিফ নজরুলের আহ্বান

পাসপোর্ট অফিস থেকে রোহিঙ্গা যুবক আটক

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য খালেদা জিয়ার সুস্থতা প্রয়োজন : মান্নান

এভারকেয়ারে নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশের ব্যারিকেড

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে কয়েদির মৃত্যু

১০

খালেদা জিয়া কাঁদলে বাংলাদেশ কাঁদে : আমান

১১

ছাত্র অধিকার পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

১২

গভীর রাতে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে গেলেন মির্জা ফখরুল

১৩

বাংলাদেশ-মালদ্বীপ কৃষি সহযোগিতায় নতুন অঙ্গীকার

১৪

সরকার কড়াইলের বাসিন্দাদের নাগরিক অধিকারের তোয়াক্কা করছে না : সাকি

১৫

কক্সবাজারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত

১৬

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে তথ্য দিলেন সালাহউদ্দিন

১৭

পরিবারকল্যাণ কর্মীদের ১০ দিনের কর্মবিরতি ঘোষণা

১৮

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও সদকায়ে জারিয়া

১৯

শেবাচিম হাসপাতালে চালু হলো মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা

২০
X