পাবনার রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।
সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) এ নিয়ে মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
খন্দকার মো. আহসানুল হক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম), রাজশাহী গণপূর্ত সার্কেলে কর্মরত থাকা অবস্থায় রূপপুর গ্রিনসিটি প্রকল্পের (২০১৯ সালে নির্মাণাধীন) ২০ ও ১৬ তলা ভবনের আসবাবপত্র ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় এবং ভবনে উঠানোর কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি ওই সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই বিষয়ে ২০১৯ সালের ৫ মে গণপূর্ত অধিদপ্তর এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত পৃথক তদন্ত কমিটি কর্তৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদনে প্রকল্পের কাজে অস্বাভাবিক ব্যয়ের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। পরে বিভাগীয় তদন্তেও ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সুপারিশ মোতাবেক অস্বাভাবিক ব্যয়ের প্রাক্কলন প্রস্তুতের সাথে সরাসরি জড়িত থেকে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ উপবিধি (খ) অনুযায়ী অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য খন্দকার মো. আহসানুল হককে ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ মোতাবেক সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৪ এর উপবিধি ৩ এর (খ)অনুযায়ী তাকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) খন্দকার মো. আহসানুল হকের বিরুদ্ধে রুজুকৃত বিভাগীয় মামলার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ গ্রহণপূর্বক এবং রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সোমবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা পৃথক আদেশের মাধ্যমে গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন