শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই দেশে নির্বাচন ও সংস্কার কাজে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সংখ্যালঘু কমিশন গঠন এবং আসন্ন দুর্গাপূজায় পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর রমনা কালী মন্দিরে ‘আমরণ অনশনরত অবস্থায়’ এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের মুখপাত্র সুস্মিতা কর এ দাবি জানান।
৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন, জাতীয় সংসদসহ সকল প্রতিনিধিত্বমূলক পর্যায়ে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রতিনিধি নিশ্চিত করা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত শুক্রবার থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ‘আমরণ গণঅনশন’ কর্মসূচি পালন করছেন সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুস্মিতা কর বলেন, ৮ দফা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনার পরেও অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে না দেখে আমরা হতাশ। অথচ ৮ দফা বাস্তবায়ন না হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এ দেশে নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারবে না। যার কারণে আমাদেরকে আমরণ অনশনের পথ বেছে নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যদি রাজপথভিত্তিক কর্মসূচি ঘোষণা করি, আমাদের বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। এই কর্মসূচি (আমরণ গণঅনশন) আমাদের পক্ষ থেকে একটি অহিংস প্রতিবাদ। আমরা চেয়েছি আমাদের অধিকার, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য না। ইতোমধ্যে গাজীপুর, নাটোর, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিমা ভাঙচুরের তথ্য এসেছে। এসব তথ্য আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়েও আমাদের চিন্তিত করে তুলছে। আমরা দেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল চাই, যা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকবে সংখ্যালঘু কমিশনের ওপর।
সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলনের এই মুখপাত্র বলেন, আমরা এখান থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে শুধু না, জেলায় জেলায় আমরণ গণঅনশনের ডাক দিচ্ছি। শুধু তাই নয়, মিথ্যা মামলার শিকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কারাগারে অনশন করবে। আবার বলছি, মিথ্যা মামলার শিকার যারা- তদন্ত সাপেক্ষে তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
মন্তব্য করুন