

সিলেট-৪ আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী হচ্ছেন আরিফুল হক চৌধুরী। বুধবার (৫ নভেম্বর) বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) কেন্দ্রের জরুরি তলবে তিনি ঢাকায় যান। সেখানে তাকে নিয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়। সর্বশেষ বুধবার রাত ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসন তাকে ডেকে পাঠান এবং এ সিদ্ধান্ত দেন।
সিলেট সিটির সাবেক এই মেয়র সিলেট-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু গত সোমবার এই আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরকে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এদিকে প্রার্থী ঘোষণার দিন সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে সিলেট-৪ ও সিলেট-৫ আসন খালি রাখা হয়। এ নিয়ে সিলেটে বেশ জল্পনা কল্পনা চলছিল। সিলেট-৫ আসনে শরিক দলের জন্য ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন থাকলেও সিলেট-৪ আসনে কে মনোনয়ন পাচ্ছেন এ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল। এ অবস্থায় সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে এই আসনে আরিফুলকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবনে চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে চেয়ারপারসনের নির্দেশে তিনি সিলেট চার আসনে নির্বাচন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের মুরুব্বী। তার নির্দেশে আমি সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করতে সম্মত হয়েছি। দল আমাকে মনোনয়ন দিয়েছে। সিলেট-৪ আসনের মানুষের ভালোবাসা নিয়েই আমি নির্বাচনী মাঠে নামব। দলের প্রয়োজনে আমি বারবার নির্দেশ পালন করে আসছি। আজকের সিলেট-৪ আসনে নির্বাচন করার আদেশ মাথা পেতে নিয়েছি।
২০১৪ সালে আরিফুল হককে শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিভিন্ন আদেশের মাধ্যমে তিনি আবার দায়িত্বে ফিরে আসেন।
২০১৮ সালে তিনি পুন নির্বাচনে জয়লাভ করেন, যেখানে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানকে ৬ হাজার ১৯৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
মেয়র হিসেবে তার কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- নগরীর সড়ক ও জলবায়ু অবকাঠামো উন্নয়ন, পানির সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন, এবং বিভিন্ন নাগরিক সুবিধা প্রকল্প বাস্তবায়ন। তিনি স্থানীয় সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সমন্বয় করে সিলেটের জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের চেষ্টা চালান।
ব্যক্তিগত জীবনে তার পরিবারে স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সক্রিয় সদস্য এবং দলের জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটের সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
মন্তব্য করুন