দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ছানির কারণে চোখের আলো হারিয়ে ফেলেন। অর্থের অভাবে অনেকে চিকিৎসা পর্যন্ত করতে পারেন না। এ ধরনের এক লাখ মানুষের ছানি অপারেশনের করে চোখের আলো ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উন্নয়ন সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ও চোখ নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পিকেএসএফ ভবনে এক অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে জানানো হয়। দুই সংস্থার ‘কমপ্রিহেনসিভ ক্যাটারাক্ট সার্ভিসেস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই বছরে এক লাখ ছানি অপারেশন সম্পন্ন করা হবে।
অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মুনীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের ৩০ বছরের বেশি বয়সী প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষ বর্তমানে দৃষ্টিহীন, যাদের প্রায় ৭০ শতাংশ ছানিজনিত কারণে অন্ধ। এর মধ্যে বড় অংশ কর্মক্ষম বয়সী জনগোষ্ঠী, যা জাতীয় উৎপাদনশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।’ পিকেএসএফ সহযোগী সংগঠনের সহায়তায় ১০ লাখ রোগীর স্ক্রিনিং করা হবে। চক্ষু হাসপাতালের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০-এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে চোখের সেবাবিষয়ক বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ৫০টি জেলায় সরকার পরিচালিত ২০০টি কমিউনিটি আই সেন্টার ও বেসরকারি হাসপাতাল পরিচালিত একশর বেশি ভিশন সেন্টার কাজ করবে। প্রকল্পের আওতায় ২৫টি বেসরকারি হাসপাতাল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর রোগীকে অস্ত্রোপচার সেবা দেবে।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব সাইদুর রহমান বলেন, ‘নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ এবং নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আমরা যেখানে পৌঁছাতে পারি না, তারা সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে। কাজের জায়গাগুলো একত্রিত করতে হবে, সমন্বিত করতে হবে। এই লাখ মানুষের ছানি অপারেশন করলে তারা চোখের আলো ফিরে পাবেন। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন।’
অনুষ্ঠানে পিকেএসএফের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবু জাফর, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের ফাউন্ডেশনস অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক ক্রিস্টি হাবার্ড, পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুল কাদের, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান খালেদ প্রমুখ।
মন্তব্য করুন