কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২২ পিএম
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সংসদে বিল পাস

কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করা যাবে না

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষিজমি থেকে বালু বা মাটি তুলে বিক্রি করা যাবে না। তবে কোনো ব্যক্তি তার বসতবাড়ি নির্মাণ বা নিজ প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে সীমিত পরিসরে বালু বা মাটি উত্তোলন করতে পারবেন। এমন বিধান রেখে ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের সংশোধনী আনা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল-২০২৩’ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

বিলে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তুলতে পারবেন না যদি তা উর্বর কৃষিজমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয় বা কৃষিজমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে বা পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয় বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয় যাতে এই জমিসহ পার্শ্ববর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।

বিলের আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, চাঁদপুরের হাইমচরের সেলিম চেয়ারম্যান বালু তোলা নিয়ে ২০১৫ সালে একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালে তার রায় হয়। তিনি বালু তোলার অনুমতি পান। গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় বাতিল করেন। এটা যদি হয় বালু ব্যবস্থাপনার অবস্থা- সেলিম চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে কত বালু তুলেছেন- মন্ত্রী তা জানেন কিনা, জানাবেন।

গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, তড়িঘড়ি করে সংসদে ভূমির তিনটি আইন আনা হয়েছে। এই বিলগুলো নিয়ে সংসদ সদস্যরা পর্যালোচনারও সুযোগ পাননি। সরকার ইচ্ছা করে জনগণ থেকে আড়াল করে আইন করছে। বিভিন্ন পত্রিকার খবর তুলে ধরে তিনি বলেন, অনেক জায়গায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবস্থা না নিয়ে প্রশাসন মাসোহারা নিচ্ছে। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদেরও দায়-দায়িত্ব আছে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, জনস্বার্থে কাজ করছি। এই আইন কঠোরহস্তে প্রয়োগ করার উদ্দেশ্যে। বালু নিয়ে অনেক সমস্যা। সে কারণে এই আইন ফাঁকফোকর ছিল। প্রশাসন চাইলেও অনেক সময় ব্যবস্থা নিতে পারত না। এই ফাঁকফোকর বন্ধ করা হয়েছে। মাঠ প্রশাসন কঠোর হাতে মাটি বালু উত্তোলনের বিষয়ে কাজ করতে পারবে। উদ্দেশ্য কৃষিজমির সুরক্ষা। ইটভাটা টপ সয়েল নষ্ট করে দিচ্ছে। এই আইন হলে মহৎ উদ্দেশ্য সফল হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা

রান্নায় মরিচ বেশি হলে যা করবেন

আজ ঢাকার আবহাওয়া যেমন থাকবে

নেইমারকে পেছনে ফেলে মেসির বিশ্বরেকর্ড

জবাব দিলেন সোনাক্ষী

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারকে এক লাখ করে টাকা দেবে বিএনপি

চাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু, ১০ মিনিটে দিতে হবে ৪০ ভোট

ইস্টার্ন ব্যাংকে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ

অর্ধশতাধিক রাজনীতিকের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র

ঘুম থেকে উঠে আগে পানি খাবেন, না ব্রাশ করবেন—জানালেন চিকিৎসক

১০

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

১১

ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশে ইন্টার্ন করার সুযোগ

১২

পুয়ের্তো রিকোকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আর্জেন্টিনার জয়

১৩

চীনকে ঠেকাতে অভিনব উদ্যোগ ভারতের

১৪

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৫

১৫ অক্টোবর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৬

৩৫ বছর পর আজ চাকসুর ভোট

১৭

আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বড় নিয়োগ

১৮

রাজস্থানে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, বাসে আগুনে পুড়ে ২০ জনের মৃত্যু

১৯

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক স্টাফ কলেজ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

২০
X