কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘মন্ত্রীর প্রভাবে মেঘনা নদী দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না’

নদী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী : সংজ্ঞা ও সংখ্যা’-বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : কালবেলা
নদী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী : সংজ্ঞা ও সংখ্যা’-বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি : কালবেলা

চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রীর প্রভাবের কারণে মেঘনা নদী দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। জাতীয় নদী দিবসের এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ইলিশ উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মেঘনা থেকে ইলিশ গবেষককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে চিংড়ি গবেষণায়। এভাবে যারাই যেখানে নদী উদ্ধারে বা দূষণ দূর করতে কাজ করছেন তাদেরই নানাভাবে ঠেকিয়ে রাখা হচ্ছে।

আজ রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর তোপখানা সড়কের সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের নদ নদী : সংজ্ঞা ও সংখ্যা’-বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় রক্ষা কমিশন। নদীর সংজ্ঞা নির্ধারণের পাশাপাশি নদ-নদীর সংখ্যার তালিকা প্রকাশ করা হয় সেমিনারে।

মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা প্রতিবছর অনুষ্ঠান করছি কিন্তু কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। হামলা থেকে নদীকে বাঁচাতে পারছি না। নদীর ওপর হায়েনার মতো আক্রমণ চলছে। নদীর অবস্থা ভালো নাই। দেশে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২টি নদীর ওপর হামলা হচ্ছে। দূষণ, দখল, বালু তোলার মাধ্যমে এই হামলা হচ্ছে।

বাংলাদেশের নদ-নদীর অভিভাবক হিসেবে সহয়ায়ত্ব প্রকাশ করে তিনি বলেন, নদী কমিশন ‘লোন শেরপা’র মতো কাজ করছে। আমাদের আশপাশে কেউ নাই। এমনকি টাকা-পয়সাও দেয় না আমাদের। নদী কমিশন মাত্র পাঁচ কোটিরও কম টাকায় চলে। নানা সময় নানা কিছু চেয়েও পাচ্ছি না সরকারের কাছ থেকে। বিশজন ম্যাজিস্ট্রেট চেয়েও পাইনি।

নদী রক্ষায় কাজ করতে যেয়ে নদী কমিশন ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নদী রক্ষা কমিশনকে বলা হয় নখদন্তহীন। আসলে আমাদের হাত-পাও কেটে ফেলা হয়েছে। টাকা না থাকায় এই যে নদী তালিকা প্রকাশ করলাম তা পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েও জানাতে পারছি না। পর্যাপ্ত ফান্ড থাকলে এগুলো সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া যেত। তার ওপর আমাদের দক্ষ কর্মকর্তাদের বদলি করে বা পদন্নোতি না দিয়ে নির্জীব করে দেওয়া হয়। ফলে আমরা কিছুই করতে পারছি না।

ঢাকার চারপাশের চারটি নদীসহ, পদ্মা, মেঘনা ও কর্ণফুলীর মতো দেশের প্রধান প্রধান নদী প্রভাবশালীদের জন্য দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না উল্লেখ করেন তিনি। মনজুর চৌধুরী বলেন, পদ্মা তিনটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তৎপর যাদের দৌরাত্ম্যে নদীর অবৈধ খনন ঠেকানো যাচ্ছে না। কর্ণফুলীর মতো অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদীকে লিজের নামে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ঢাকার চারপাশের নদীর সীমানা নির্ধারণ করা হলেও দূষণ রোধে তারা ব্যর্থ। ফলে নদীর তীরবর্তী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর এতেও কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙছে না। নদী দখলকারীদের কোনোভাবেই ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব: নীরব

‘হামজা আমার দলে হলে বেঞ্চেই বসে থাকত’

লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়রের সঙ্গে বাসস চেয়ারম্যানের মতবিনিময়

আফগানদের কাছে হারার পর যা বললেন মিরাজ

অল্প পুঁজি নিয়ে আফগানদের সাথে পারল না বাংলাদেশ

‘দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে’

রাবেতাতুল ওয়ায়েজীনের সঙ্গে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদের মতবিনিময়

ডিএনসিসি এলাকায় টাইফয়েডের টিকা পাবে ১৩ লাখ শিশু

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৯ কোটি ডলার

৭ বছর পর শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত করলেন খালেদা জিয়া

১০

ফার্মগেটে ককটেল বিস্ফোরণ

১১

কালবেলার সংবাদের পর স্বপ্নের রঙিন ঘরে শাহারবানু

১২

আখিরাতের কল্যাণ নিশ্চিতে কাজ করছে জামায়াত : মুজিবুর রহমান

১৩

রাজধানীতে তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের রেকর্ডেড ভিডিও প্রদর্শন

১৪

জবাব দিতে পিএসসিকে আলটিমেটাম

১৫

অসদাচরণের অভিযোগে বদলি চিকিৎসক দম্পতি

১৬

সড়কের পাশে ময়লার ভাগাড়, দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ মানুষ

১৭

শহীদ জিয়ার মাজারে দোয়া করলেন খালেদা জিয়া

১৮

নোয়াখালী বিভাগ চাইলেন ‘কাবিলা’

১৯

বেথ মুনির রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত জয়

২০
X