বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এর আওতায় কারা পড়েছেন তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। যেখানে সবার প্রশ্ন একই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় কারা আছেন এবং কতজন রয়েছেন।
এ ছাড়াও আরও কিছু প্রশ্ন রয়েছে, যা জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশ্নগুলো হলো- যিনি ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন তিনি কীভাবে জানবেন। তার পরিবারের সদস্যরা যদি যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ ভিসা নিয়ে বসবাস করেন তাহলে তাদের ওপর কী এই ভিসানীতি প্রয়োগ হবে কি না। আর যদি নিষেধাজ্ঞায় থাকা ব্যক্তির পরিবার যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হয়, সেক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে?
এসব প্রশ্নের উত্তর ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের কাছে জানতে চাওয়া হলে দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, যাদের ভিসা বাতিল বা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাদের জানিয়ে দেওয়া আমাদের রীতি রয়েছে। যাদের এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নেই, তাদের এ বিষয়ে কোনো তথ্য থাকবে না। তবে ভিসা আবেদনের পর তারা জানতে পারবেন। এ ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এদিকে ভিসানীতির আওতায় পড়াদের নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তালিকা সয়লাব হয়ে গেছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাবেক ও বর্তমান আমলা, নির্বাচন কমিশনার, বিচারপতি, সরকার, বিরোধীদল, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের নাম থাকা এসব তালিকা নিয়ে কিছু দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা হচ্ছে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্যের সত্যতা যাচাইকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান এসব তালিকাকে ভুয়া চিহ্নিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রও বলছে, নীতিমালা অনুসারে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকা তারা প্রকাশ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপ করা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতির অধীনে যারা নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন, তাদের নাম প্রকাশ করা হবে না।
মন্তব্য করুন