বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে পর্যটন বিকাশ লাভ সম্ভব। হাওরের পরিবেশ, জলবায়ু ও চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরি।
সোমবার (২০ নভেম্বর) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর সেমিনার কক্ষে কিশোরগঞ্জ সাংবাদিকদের নিয়ে তিন দিনব্যাপী হাওরবিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মো. আখতারুজ্জামান বলেন, দেশের ৩৭টি উপজেলায় ছোট-বড় ৩৭৩টি হাওর রয়েছে। এসব হাওরে ফ্লাইওভারের মতো সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে পর্যটনের মতো একটি খাতের দ্বার উন্মোচিত হতে পারে। একই সঙ্গে হাওরের পরিবেশ-পরিস্থিতি বুঝে মৎস্য, কৃষি সম্প্রসারণ সম্ভব। এতে একদিকে পরিবেশ অক্ষুণ্ন থাকবে, অপরদিকে দেশের মোট জিডিপিতে সংযোজিত হবে ।
মহাপরিচালক বলেন, হাওরের পানিতে প্রায় এক বিলিয়ন টন সেডিমেন্ট আসায় তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। সেটা রোধ করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাটি কেটে হাওরের নাব্য বৃদ্ধি সম্ভব। একই সাথে হাওরের চতুর্দিকে দিয়ে টেকসই বাঁধ দিয়ে ভাঙন রোধ করা সম্ভব। মরুকরণ প্রক্রিয়া প্রতিহত করে নাব্য অক্ষুণ্ন রেখে হাওরে মাছ চাষের মাধ্যমে প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হাওর অঞ্চলের সাংবাদিকদের কাজের পরিধি একটু বেশিই। এখানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, ফিচার প্রতিবেদন, নিত্যনৈমত্তিক ঘটনাসহ সবধরনের প্রতিবেদন করার সুযোগ থাকে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পিআইবির পরিচালক (অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ) চলতি দায়িত্ব শেখ মজলিশ ফুয়াদ, পিআইবির প্রতিবেদক এম এম নাজমুল হাসানসহ ২৮ জন সাংবাদিক।
মন্তব্য করুন