কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, মহান বিজয় দিবসে আমাদের স্মরণ করতে হবে বাংলাদেশের রক্তাক্ত ইতিহাস, এ দেশের মানুষের সংগ্রামী ইতিহাস; যা আমাদের অনিবার্য বিজয়ের পথে ধাবিত করেছে। বিজয়কে সমুন্নত রাখতে হলে বাংলাদেশকে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজয়ী করতে হবে।
বাংলা একাডেমি মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে (১৭ ডিসেম্বর) রোববার বেলা ৩টায় একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক মফিদুল হক। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা একাডেমির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. হাসান কবীর।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, বিজয়ের বায়ান্ন বছরে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনায় এগিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের পর আমরা গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতায় অর্থনৈতিক মুক্তি, সামাজিক সমৃদ্ধি এবং জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
মফিদুল হক বলেন, ৯ মাসের অনেক বেদনার সাক্ষী হয়ে রক্তসমুদ্র পেরিয়ে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। আমাদের এই বিজয়ের সঙ্গে বেদনাও অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৪ ডিসেম্বর এ দেশের সোনার সন্তানদের হত্যা করে। তারপরও বাঙালির চূড়ান্ত বিজয় এবং পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণের খবরে মানুষ রাজপথে নেমে এসেছিল। অনেক শোষণ-বঞ্চনার ইতিহাস পেরিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে একটি ভাষাভিত্তিক নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভূখণ্ড হিসেবে, যেখানে সম্প্রীতির অনুপম আদর্শ বিরাজমান।
ড. মো. হাসান কবীর বলেন, মহান বিজয় দিবস আমাদের আনন্দ এবং অঙ্গীকারের দিন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মহান মুক্তিযুদ্ধের পর কাঙিক্ষত বিজয় এসেছে, সেই বিজয়ের সুফল এ দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই হোক মহান বিজয় দিবসের অঙ্গীকার।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী আশরাফুল আলম এবং ডালিয়া আহমেদ। সংগীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী তিমির নন্দী এবং শাহীন সামাদ।
মন্তব্য করুন