কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩২ পিএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুঁজিবাদীরা ব্যাংকিং খাতকে ব্যবহার করছে : সিপিডি

শনিবার প্রেস ব্রিফিং করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ছবি : কালবেলা
শনিবার প্রেস ব্রিফিং করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ছবি : কালবেলা

পুঁজিবাদীরা ব্যাংকিং খাতকে ব্যবহার করছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। সংস্কার পদক্ষেপের মাধ্যমে অর্থনীতিতে ‍সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সহজ কাজ হবে না। কেননা কায়েমি স্বার্থগোষ্ঠী শক্তিশালী এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বিশেষ গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২৩-২৪ : চলমান সংকট ও করণীয়’ শিরোনামে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এমন মত দিয়েছে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময় সিপিডির ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনীতি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যা কমে যাওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, এমনকি নির্বাচনের পরেও না। নীতিনির্ধারকদের প্রধান কাজ হওয়া উচিত বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করা।

সিপিডি বলেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা খেয়ে ফেলছে। বাজার কারসাজি এবং সিন্ডিকেট পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে। অর্থনীতি এখন বহুবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে এবং সত্যিকার অর্থে একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। একমাত্র আশা, নীতিনির্ধারকরা এটি বুঝবেন এবং স্বীকার করবেন যে, গতানুগতিক পন্থায় কাজ হবে না। কেবল নিঃস্বার্থ শক্তিশালী রাজনৈতিক নেতৃত্ব সংস্কারের কঠিন পথে যেতে পারে এবং অর্থনীতিকে উদ্ধার করতে পারে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের উচ্চপর্যায় থেকে পদক্ষেপ দরকার। উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন, যাতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিয়ম অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।

ফাহমিদা খাতুন আরও বলেন, শ্রম ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর বিধিনিষেধের শঙ্কা দূর করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

সিপিডির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৪টি ঋণ কেলেঙ্কারির মাধ্যেম ব্যাংকিং খাত থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাংকিং খাত বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত পুঁজিবাদের (ক্রনি ক্যাপিটালিজম) দখলে চলে গেছে। এ ধরনের পুঁজিবাদীরা তাদের আর্থিক অভিজাততন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ব্যাংকিং খাতকে ব্যবহার করছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

১০

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

১১

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

১২

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১৩

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১৪

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১৫

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৬

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৭

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৮

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৯

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

২০
X