কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৫ পিএম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমকে ভূমিকা রাখার আহ্বান

‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে’ গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ছবি : কালবেলা
‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে’ গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। ছবি : কালবেলা

কৃষি অর্থনীতিবদি ও সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ৬টি স্থানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্যাঞ্চল ও নগর এলাকাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আগামী ১০০ বছরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে সরকারের পাশাপাশি গণমাধ্যমকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও মনে করেন এই কৃষি অর্থনীতিবিদ।

বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানী দারুস সালামে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ বাস্তবায়নে’ গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।

ড. শামসুল আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শত বছরের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ হচ্ছে ১০০ বছরে বাংলাদেশ কোন পর্যায়ে যাবে সেই পরিকল্পনা। ব-দ্বীপ পরিকল্পনায় বন্যা, নদীভাঙন, নদীশাসন, নদী ব্যবস্থাপনা, নগর ও গ্রামে পানি সরবরাহ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, নগর বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘমেয়াদি কৌশল নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধান অতিথির তার বক্তব্যে ব-দ্বীপ পরিকল্পনা নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। পরে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।

তার বক্তব্যে বাজার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটি, সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য, জলবায়ু মোকাবেলায় দেশে দক্ষ লোকের অভাব, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের দুর্বলতা ইত্যাদি বিষয় উঠে এসেছে।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের পরিচালক মো. নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে সেমিনারে আলোচনা করেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সুফি জাকির হোসেন, পরিচালক এ কে এম আজিজুল হক, পরিচালক ড. মো. মারুফ নাওয়াজ, বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টাস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার খায়রুজ্জামান কামাল এবং দৈনিক কালবেলার সিনিয়র রিপোর্টার ইউসুফ আরেফিন। সেমিনারটির পরিচালক হিসেবে ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক নুসরাত জাবিন লোপা এবং সমন্বয়ক হিসেবে সহকারী পরিচালক সাইফুন্নাহার ও সহকারী গ্রন্থাগারিক কাজী ওমর খৈয়াম দায়িত্ব পালন করেন। সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার ৬৫ জন গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন : ড. রেজা কিবরিয়া

২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘খোলা তালাক’ কাকে বলে, এর হুকুম কী 

‘বিএআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ এর জন্য প্রতিবেদন আহ্বান

কুড়িয়ে পাওয়া পাথর থেকে ঘড়ি, বিক্রি হলো ৫ হাজার টাকায়

শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে আর্সেনাল

আরব আমিরাতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেল সাড়ে ৬ হাজার বন্দি

ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

আইসিসি থেকে বড় সুখবর পেলেন ৩ টাইগার ক্রিকেটার

বিচ্ছেদের পথে অঙ্কিতা-প্রান্তিক 

১০

সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের

১১

স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন বিক্রান্ত ম্যাসি

১২

দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি থাকলেই মোবাইল ফোন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে প্রবাসীদের

১৩

মেক্সিকোর পার্লামেন্টে খালেদা জিয়াকে স্মরণ

১৪

বাসে আগুন

১৫

ট্যাক্স ছাড়া প্রবাসীরা কয়টি মোবাইল আনতে পারবেন, জানাল সরকার

১৬

অন্তর্বর্তী সরকার গঠন ও শপথ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বৃহস্পতিবার

১৭

কৃষকের মারধরে ‘দাঁত’ ভাঙল কৃষি কর্মকর্তার

১৮

রাশিয়ার গ্যাস আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপ

১৯

অবৈধ হ্যান্ডসেটের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিল সরকার

২০
X