কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তাকে সশরীর হাজির না হয়ে ভার্চুয়ালি শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ফলে পরবর্তী শুনানিতে তাদের সশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়া বাধ্যতামূলক হবে।

বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এদিন আসামিপক্ষের হয়ে শুনানি করেন আইনজীবী তোবারক হোসেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল আবেদনটি খারিজ করে দেন। এ আবেদন ২৩ নভেম্বর দায়ের করা হয়েছিল। এরপর ট্রাইব্যুনাল আজকের দিনটি শুনানির জন্য নির্ধারণ করেছিলেন।

ওইদিন ট্রাইব্যুনাল বলেন, বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি জেলে রয়েছেন। তিনি সশরীরে হাজির হচ্ছেন। সাবেক কয়েকজন মন্ত্রী নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। আইন সবার জন্য সমান।

এ মামলায় গ্রেপ্তার ১০ সেনা কর্মকর্তা হচ্ছেন- র‍্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, কর্নেল কেএম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসরকালীন ছুটিতে), র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

পলাতক আসামিরা হচ্ছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ এবং র‌্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মো. খায়রুল ইসলাম।

এর আগে, গত ২২ অক্টোবর সেনা হেফাজতে থাকা ১০ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে পলাতক আসামিদের হাজির করার জন্য সাত দিনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময়ে হাজির না হওয়ায় তাদের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, ৮ অক্টোবর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দেশ ও বিশ্বকে বদলে দেওয়ার স্বপ্ন ময়মনসিংহের তরুণদের

ব্র্যাক ব্যাংকে আগুন

বেগম জিয়া বাংলাদেশের প্রাণ, জাতির গণতন্ত্র সংগ্রামের প্রতীক : মান্নান

খালেদা জিয়ার জানের সদকা হিসেবে ১৬টি ছাগল দান

কখন আসবেন তারেক রহমান

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল চূড়ান্ত, কারা থাকছেন

আমার বাবার হত্যাকারীদের শেখ হাসিনা রক্ষা করেছেন : ড. রেজা কিবরিয়া

২৮ ডিসেম্বর থেকে খুলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

‘খোলা তালাক’ কাকে বলে, এর হুকুম কী 

‘বিএআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২৫’ এর জন্য প্রতিবেদন আহ্বান

১০

কুড়িয়ে পাওয়া পাথর থেকে ঘড়ি, বিক্রি হলো ৫ হাজার টাকায়

১১

শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে আর্সেনাল

১২

আরব আমিরাতের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি পেল সাড়ে ৬ হাজার বন্দি

১৩

ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট

১৪

আইসিসি থেকে বড় সুখবর পেলেন ৩ টাইগার ক্রিকেটার

১৫

বিচ্ছেদের পথে অঙ্কিতা-প্রান্তিক 

১৬

সশরীরেই ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে সেনা কর্মকর্তাদের

১৭

স্ত্রীকে নিয়ে যা বললেন বিক্রান্ত ম্যাসি

১৮

প্রবাসীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে ৬০ দিনের ছাড়

১৯

মেক্সিকোর পার্লামেন্টে খালেদা জিয়াকে স্মরণ

২০
X