ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান বলেছেন মাঠপর্যায়ে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনসহ অন্যান্য ভূমিবিষয়ক আইনসমূহ কার্যকরভাবে প্রয়োগে সহযোগিতা বাড়াতে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগ একযোগে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অটোমেটেড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ALAMS) প্রোগ্রামের আওতায় আইন ও বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য স্মার্ট ভূমিসেবাবিষয়ক কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে ভূমি সচিব এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার।
ভূমি সচিব এসময় জানান দেশের নাগরিকদের স্মার্ট ভূমিসেবায় সম্পৃক্তকরণের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ভূমিসেবাবিষয়ক ৪৫ লক্ষাধিক অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে। প্রতিমাসে ভূমিসেবা সম্পর্কিত ফিডব্যাক গ্রহণসহ অন্যান্য তথ্যের জন্য ৬ লক্ষ নাগরিককে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট কল করছে।
তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে নলেজ শেয়ারিং এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে স্মার্ট ভূমি সেবা বিষয়ে কারিকুলাম অন্তর্ভুক্তিকরণের জন্য দুই মন্ত্রণালয়ের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয় বাস্তবায়নে সমঝোতা-স্মারক-স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, ১৭টি উপজেলায় জমি ক্রয়-পরবর্তী ভূমি নিবন্ধনের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে নামজারি সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে ‘রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ’-এর মাধ্যমে, যা আগামী বছর নাগাদ দেশব্যাপী বিস্তৃত করা হবে। ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণের ডিজিটাল ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে এই ব্যবস্থায়।
ভূমি সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনায় আইন ও বিচার বিভাগের আওতায় ভূমি নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও ক্যাডাস্ট্রাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতায়। স্বচ্ছ, দক্ষ, আধুনিক ও টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ভূমিসংক্রান্ত জনবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য এই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে কাজের নিরবচ্ছিন্ন সমন্বয়সাধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী শুরু থেকেই গুরুত্ব দিয়েছেন।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়, আইন ও বিচার বিভাগ এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ মার্চ ২০২৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ১৭টি উপজেলায় ই-রেজিস্ট্রেশন ও ই-মিউটেশনের পাইলটিং কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন যা এখন উপজেলাগুলোতে পুরোদমে চলমান।
মন্তব্য করুন