পশ্চিমাকাশে সূর্যাস্তের সঙ্গে বিদায় নিয়েছে পৌষ; অপর দিকে সূর্যোদ্বয়ের মধ্য দিয়ে দেখা মিলবে মাঘের প্রথম সকাল। প্রবাদ আছে ‘মাঘের শীতে বাঘ পালায়’; আবহমানকালের এ প্রবাদের সত্যতাও দৃশ্যমান প্রকৃতিতে। পৌষের শেষার্ধে চার জেলায় শৈত্যপ্রবাহের সঙ্গে হিম হাওয়ায় কাঁপছে দেশের বিস্তীর্ণ জনপদ। আর সূর্য মামা তো মুখ গোমড়া করে রেখেছে বেশ কয়েক দিন। এরই মধ্যে বৃষ্টিরও আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এই দুঃসংবাদের মধ্যেও সুখবর এই- সোমবার কোথাও কোথাও রোদের দেখা মিলতে পারে। এর ফলে তাপমাত্রারও উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে আজ রোববারও (১৪ জানুয়ারি) দেখা মেলেনি সূর্যের; ঘনকুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা রাজধানীসহ যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের উত্তরাঞ্চল। আবহাওয়া অফিস বলছে, চলমান শীতের তীব্রতা আগামীকাল সোমবারও (১৫ জানুয়ারি) থাকতে পারে। তবে, রাজাধানীসহ দেশের কিছু কিছু এলাকায় সোমবার রোদের দেখা মিলতে পারে। সেজন্য দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ রোববার (১৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে, দুয়েক স্থানে রোদ দেখা দিতে পারে। রাজধানীতে মঙ্গলবার কিছুটা রোদ উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে বুধবার থেকে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির পর কুয়াশা অনেকটা কেটে যাবে। শীতও কমতে শুরু করতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুকের মতে, সোমবারই রাজধানীর আকাশে কুয়াশা কাটতে শুরু করতে পারে। দেখা মিলতে পারে সূর্যের।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে, ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকালও দিনাজপুরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই হিসাবে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমেছে ২৪ ঘণ্টায়।
দেশের অন্তত ১১ জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সেটা আজও চলতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে এ মাসে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
মন্তব্য করুন