কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২৬ এএম
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪৩ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশে কারাবন্দি রাজনৈতিক নেতাদের ইস্যু জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ছবি : সংগৃহীত
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশে রাজনৈতিক কারণে কারাগারে থাকা বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি ফের আলোচনায় এসেছে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি, স্থানীয় সময়) জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কারণে কারাগারে প্রেরণ, এটা হতে পারে না বলে আমরা নীতিগতভাবে বিশ্বাস করি।

ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ এবং কারাগারে আটক বিরোধীদলগুলোর হাজার হাজার নেতাকর্মীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাংবাদিক জানতে চান, ‘বাংলাদেশে বিভিন্ন মামলায় কিংবা মামলা ব্যতীত আটক সব রাজনৈতিক দলের কর্মীদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা যে আহ্বান জানিয়েছেন সেই আহ্বানের সঙ্গে মহাসচিব কি একমত?

এ বিষয়ে ডুজারিক বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের জন্য মানুষকে কখনই জেলে যাওয়া উচিত নয় এবং তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত, বিশেষ করে যদি অভিযুক্ত না হয়। আমরা অনতিবিলম্বে আটককৃতদের মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি।

এর আগে ৯ জানুয়ারি জাতিসংঘের প্রেস ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যু। সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলেন।

স্টিফেন ডুজারিকের কাছে সাংবাদিক জানতে চান- নির্বাচনের নামে শাসকগোষ্ঠীর বেপরোয়া দমনপীড়নের শিকার হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এর শিকার, নিষ্পেষিত এবং ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব, যেখানে আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সপ্তাহান্তে বাংলাদেশে সব বড় রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন, ভোট জালিয়াতি, ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একপক্ষীয় ডামি নির্বাচন হয়েছে।

তার এ প্রশ্নের জবাবে স্টিফেন ডুজাররিক বলেন, আগেই আমি বলেছি মহাসচিব একেবারে প্রকাশ্যে সব দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সব রকম সহিংসতা বন্ধ করতে এবং প্রতিটি মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করতে। একই সঙ্গে প্রতিটি মানুষের আইনি সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ শ্রদ্ধা নিশ্চিত করতে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এটা অত্যাবশ্যক। আমরা যেসব সহিংসতা দেখেছি তাতে অবশ্যই উদ্বিগ্ন মহাসচিব।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাত ১টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় হতে পারে ঝড়

‘শহীদ জিয়ার নামে বিমানবন্দরের নামকরণ করতে হবে’

মোবাইল উদ্ধার নিয়ে গড়িমসি, তদন্ত কর্মকর্তা বললেন, ‘পারব না’  

স্ত্রীসহ আতিক মোর্শেদকে ডেকেছে দুদক

সৈনিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল বিশেষ চিরকুট

বাংলাদেশ নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহের ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্য

মে মাসে ছড়ানো ৩৫১ ভুল তথ্য শনাক্ত

কলেজ নয়, সরাসরি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ

বাজেট উপস্থাপনের সময় পরিবর্তন

নগদে আতিক মোর্শেদের স্ত্রীর নিয়োগে অনিয়ম পাওয়া গেছে

১০

ঈদের আগে সুখবর পাচ্ছেন পৌনে চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী 

১১

চতুর্থ বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫ এর পর্দা নামল

১২

আরও ৫টি দৃষ্টিনন্দন প্রাথমিক স্কুল পেল রাজধানীবাসী

১৩

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের গোলাম কুদ্দুসসহ ৮ জনের ১৪১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

১৪

আসন্ন বাজেটে আয়করের নিম্নসীমা ৫ লাখ টাকা করা হোক

১৫

সাবেক মন্ত্রীর পালানোর বর্ণনা দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার স্ট্যাটাস

১৬

স্ত্রী-ভাইসহ সাবেক এমপি ইকবাল হোসেনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

১৭

চট্টগ্রামে নারীকে লাথি মারা সেই জামায়াত কর্মী গ্রেপ্তার

১৮

‘সমবেত কণ্ঠে চির বিদ্রোহী নজরুল’

১৯

প্রেমিকের ৪০ কোটি টাকা নিয়ে অন্যজনের সঙ্গে পালালেন প্রেমিকা

২০
X