ইদুল ফিতর উপলক্ষে গত ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশে রেলওয়ে। এরমধ্যে প্রথম ছয় দিনে গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) ওয়েবসাইট ও অ্যাপে সর্বোচ্চ হিট করেছেন টিকিট প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, এ দিন ঢাকা থেকে ৩৩ হাজার ৫০০টি অগ্রিম টিকিট বিক্রি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই অনলাইন ও অ্যাপে টিকিটের জন্য ২ কোটি ৭২ লাখ বার হিট করেছেন গ্রাহকরা। আর সারাদিনে চার কোটি ছাড়িয়েছে। এতে গ্রাহকদের ৪০ থেকে ৮০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
এ দিন গ্রাহকদের টিকিটিপ্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা খরচ হয়েছে। তবে এ খরচের পরও টিকিট পাননি ৯৯ শতাংশ গ্রাহক। সে হিসাবে দিনটিতে টিকিটি কাটতে গ্রাহকদের অন্তত ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। তবে গ্রাহকদের দাবি, তাদের প্রতিবার টিকিট কাটার চেষ্টার জন্য ২০ টাকা করে দিতে হয়েছে। এতে করে কেবল রেলের টিকিটের ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার পকেটেই ঢুকেছে ৮০ কোটি টাকা।
হিসাব অনুসারে, টিকিটের মূল্য গড়ে ৫০০ টাকা ধরলে এ দিন রেলওয়ের আয় হয়েছে মাত্র এক কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এছাড়া ৩৩ হাজার টিকিট যেসব গ্রাহক পেয়েছেন তাদের সার্ভিস চার্জ বাবাদ আরও অতিরিক্তি ২০ টাকা করে খরচ করতে হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় পশ্চিমাঞ্চলের ১৫ হাজার ৮৯০টি টিকিট ছাড়া হয়। এর মাত্র ৩০ মিনিটের মাথায় ৯৫ শতাংশ টিকিট শেষ হয়ে যায়। এছাড়া এদিন দুপুর ২টায় ইদ স্পেশাল ট্রেনের টিকিটসহ মোট ১৬ হাজার ৬৯৬টি টিকিট ছাড়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে। তবে তখনও ৩০ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। এরপরও লাখো মানুষ অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য হিট করতে থাকেন।
বিশেষজ্ঞরা জনগণের টাকা লোকসান ও সরকারি আয় কমার কারণ হিসেবে টিকিট বিক্রির পুরো বিষয়টি বেসরকারি খাতে দেওয়াকে দুষছেন। তারা বলছেন, রেলওয়ের সক্ষমতা থাকা সত্বেও টিকিটি বিক্রির প্রক্রিয়াকে বেসরকারি খাতে দেওয়া হয়েছে। এতে করে রাজস্ব আয় ব্যক্তির পকেটে যাচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকেরও লোকসান হচ্ছে।
মন্তব্য করুন