বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন সব ক্ষেত্রে নারীদের সমঅধিকার ও সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। দেশে চলমান সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মান্ধতা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ সব প্রকার বৈষম্য নিরসন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তারা।
সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অঙ্গসংগঠন বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতিত্রয়ের অন্যতম সভাপতি অ্যাড. গ্লোরিয়া ঝরনা সরকার।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ঐক্য পরিষদের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ। বক্তব্য রাখেন সংগঠনের অন্যতম সভাপতি সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য, মধুমিতা বড়ুয়া, গীতা বিশ্বাস, মহানগর উত্তরের সভাপতি শ্যামলী মুখার্জী।
সভায় সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুত এবং ঐক্য পরিষদের দীর্ঘদিনের দাবি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন, দেবোত্তর সম্পত্তি সুরক্ষা আইন, বৈষম্য বিলোপ আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার তাগিদ দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কনক বিশ্বাস, জয়ন্তী বর্মণ, প্রজ্ঞা পারমিতা রায়, শমিষ্ঠা দেব, মিনতি সরকার, নীলু বিশ্বাস, রমা রাণী কর্মকার, শিউলী রাণী কর, সীমা রাণী দে, রেবেকা সিংহ, অপর্ণা বিশ্বাস, প্রার্থনা রাণী ভৌমিক, শীলা রাণী সাহা, হ্যাপী দাশ, উদ্ধৃতি দাশ, উদিতা প্রাপ্তি বকশী, কানন রাণী সরকার, মৌসুমী চক্রবর্তী, মলি বেপারি, বিভা মজুমদার, কল্পনা দাস, অনিতা দাস, হৈমন্তি দাস, মাধুরী দাস, আরতী রাণী দাস, রুনু দাস ও ডা. শেফালী পাল প্রমুখ।
মন্তব্য করুন