ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের শেষ দেখে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। ওই আসনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। ভোটে অনিয়ম ও জাল ভোটের ফুটেজ তার কাছে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়ে রোববার (২৩ জুলাই) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ঢাকা-১৭ আসনে জাল ভোট পড়েছে। সেই ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে রয়েছে। তাই স্পিকার স্যারকে বলব, আরাফাত ভাইকে যেন শপথবাক্য না পড়ান।
আরও পড়ুন : হিরো আলমের ওপর হামলার তদন্তে নামছে ডিবি
নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়ে ইসিকে দেওয়া চিঠিতে হিরো আলম বলেন, গত সোমবার (১৭ জুলাই) অনুষ্ঠিত ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচনে আমি আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম) নির্বাচনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। নির্বাচনের দিন ইমেইলের মাধ্যমে আপনাকে অবহিত করেছিলাম, ভোটগ্রহণ শুরুর ১ ঘণ্টার মধ্যে আমার তালিকাভুক্ত মনোনীত প্রায় ৮৮ জন এজেন্টকে ১৯টি ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে ব্যাপক জাল ভোট দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বনানী বিদ্যানিকেতন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সরকারদলীয় লোকজন আমার ওপর শারীরিকভাবে হামলা চালায়। এ ঘটনা দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষ সংবাদমাধ্যমে দেখেছে। আমার প্রতিপক্ষকে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচনের ফল বাতিল করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
গত সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ভোট চলাকালে বনানী এলাকায় মারধরের শিকার হন হিরো আলম। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় হামলাকারীরা হিরো আলমকে ধাওয়া দিয়ে মারতে মারতে সেখান থেকে কিছুদূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে একটি গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান হিরো আলম। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জনকে আসামি করে বনানী থানায় মামলা করেন হিরো আলমের ব্যক্তিগত সহকারী মো. সুজন রহমান শুভ। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ব্যক্তির গোপনীয়তায় হস্তক্ষেপ মানবাধিকার লঙ্ঘন: মির্জা ফখরুল
মন্তব্য করুন