অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ
প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:১৩ পিএম
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০২:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সাক্ষাৎকার

সুষ্ঠু নির্বাচন দেশের মানুষের অধিকার

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি : সৌজন্য
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি : সৌজন্য

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী শোষণ, বৈষম্য, নিপীড়ন ও আধিপত্য বিরোধী তত্ত্বচর্চ‍া ও লড়াইয়ে সক্রিয় অংশ নেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ যে কোন প্রকার নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য সচিব। বাংলাদেশে মার্কসীয় অর্থনীতি ও রাজনৈতিক অর্থনীতি সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি সবচেয়ে পরিচিত লেখক। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সাংঘর্ষিক পরিস্থিতি এবং এর থেকে উত্তোরণের উপায় সহ আগামী নির্বাচনের বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম -

কালবেলা: রাজনৈতিক সহিংসতা আবারো দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনের সময় এলেই এমন প্রবণতাকে আপনি কীভাবে দেখেন?

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ: একটি দেশের সরকারের ক্ষমতাগ্রহণ যদি সুষ্ঠুভাবে হয়, দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান যদি ঠিকমতো কাজ করে তাহলে সেখানে দ্বন্দ্ব-সংঘাত হওয়ার কিছু নেই। একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর নির্বাচন হবে। স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন হবে। মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দেবে। ভোটের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসবে তারা দেশ চালাবে। আবার একটি নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন হবে এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। দেশে এই ধারাবাহিকতা থাকলে সংঘাতের কোনো প্রশ্ন আসবে না। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমস্যাটি হচ্ছে, নির্বাচন এবং ক্ষমতা হস্তান্তরের এই ধারাবাহিকতাটি বা এই প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়াটা অকার্যকর হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট সময় পরপর একটি নির্বাচনের নিশ্চিত ব্যবস্থা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়া কাজ না করার কারণে অবিশ্বাস, অনাস্থা, দ্বন্দ্ব-সংঘাত প্রভৃতির সৃষ্টি হয় যা থেকে শেষ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও সাধারণ মানুষ।

এই সংঘর্ষিক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব সরকারের। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠান সরকারের হাতে এবং আইনগত এখতিয়ারও বেশি সরকারের। এ ছাড়া মিডিয়ার ওপরেও সরকারের যথেষ্ট প্রভাব। সুতরাং এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের ভূমিকাই প্রধান।

আসলে বর্তমানে উদ্ভূত সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সরকারের অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় দখল করে রাখার কারণে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা তৈরির দাবিতে সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তায় নেমেছে, যেখানে ব্যাপকভাবে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ রয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন যে কোনো দেশের মানুষের অধিকার। সরকার এই অধিকার হরণ করে তাকে দমন করার চেষ্টা করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে ২০০৮ সালে নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য ছিল। বিপুল ভোটে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু এরপর দুবারের কোনোবারই তারা গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তাই এখন তারা ‘মেয়াদোত্তীর্ণ’।

সুতরাং সংকট সমাধানের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়া দরকার। একটি মেরুদণ্ডসম্পন্ন নির্বাচন কমিশন হওয়া দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি বাহিনী না হয়ে রাষ্ট্রীয় বাহিনী হওয়া দরকার। আমলাতন্ত্র এবং রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের প্রতিষ্ঠান না হয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা দরকার। সংবিধানের গণতান্ত্রিকীকরণ দরকার। এসব পরিবর্তনগুলো আনা দরকার এবং তার জন্য সর্বজনের আস্থাশীল একটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসতে হবে।

কালবেলা: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের জন্য কেন জরুরি?

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ: একটি দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তাদের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে এমন কোনো দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশে কখনোই একটি দলীয় সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হয়নি। একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত সরকার দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা। আমাদের দেশে যে এখনও তা হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখি নির্বাচনের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসছে, দেখা গেছে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। যার ফলে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি ধারণা এসেছিল। বিভিন্ন সময়ে এর বিভিন্ন ধরন তৈরি হয়েছে। ৯১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একভাবে এসেছিল, এরপর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৯৬ সালে সাংবিধানিকভাবে এসেছে।

বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এই ব্যবস্থাটা বাতিল করে দিয়েছে। তাদের মতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দরকার নেই এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানবিরোধী। সরকার নিজেই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দিয়ে নিজেই সংবিধানের দোহাই দিয়ে বলছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানবিরোধী। কিন্তু বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক হবে এবং সবাই ভোট দিতে পারবে এ রকম কোনো দৃষ্টান্ত এই সরকার স্থাপন করতে পারেনি।

২০১৪ সালে একদলীয় নির্বাচন হয়েছে এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনকে কোনো নির্বাচনই বলা যায় না। সুতরাং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর কেউ ভরসা করবে, সেই পরিস্থিতি নেই। বর্তমান সংকটের পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে জাতীয় নির্বাচন করার জন্য সংবিধান সংশোধন করা। সংবিধানে কোনো না কোনোভাবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধরন নিয়ে আসতে হবে। আইন বা নিয়মটা এমন হতে হবে যেন, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো যারা ক্ষমতায় আসবে বা ক্ষমতায় আসার আশা রাখে তারা, একবার ক্ষমতায় গেলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত করার চেষ্টা করবে না।

এই সবকিছুই বর্তমান সরকারের হাতে। ভবিষ্যতে যাতে সংঘাত বৃদ্ধি না পায়—যাতে আরও বেশি অনিশ্চয়তার পরিস্থিতি তৈরি না হয়, দেশ যেন আরও বেশি বিপদে না পড়ে; তার জন্য সরকারেরই প্রধান দায়িত্ব তার অবস্থানগত পরিবর্তন করা। আর এগুলো যদি তারা না মানে, তাহলে জনগণই তাদের বিচার করবে।

কালবেলা: সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে রাজি হলেও সেখানেও সমস্যা থাকবে। সরকার চাইবে নিজের পছন্দের কাউকে দিতে, আবার বিরোধীরা চাইবে তাদের পছন্দের কাউকে?

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ: ক্ষমতাসীন সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে তো সমস্যা হবেই। ২০০৬ সালে বিএনপি যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছিল সেটা কেউ মেনে নেয়নি। সেটা মেনে নেওয়ার মতোও ছিল না। তারা এমন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করল যেটা বোঝাই গেল এটা বিএনপির পক্ষ হয়ে কাজ করবে। যার ফলে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের মতো একটি ভয়ংকর সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলো। কাজেই এ রকম তত্ত্বাবধায়ক সরকার করলে হবে না। সবার ভোটাধিকার নিশ্চিত করে একটি শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করবার মতো সরকার গঠন করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করার সদিচ্ছা এবং সাহস থাকলে এটা সম্ভব। কোনো সরকার যদি জনগণের ওপর ভরসা করে, যদি তারা মনে করে জনগণ তাদের পছন্দ করে, তাহলে জনগণের মুখোমুখি হতে তার ভয় কেন! বর্তমান সরকার সব সময় বলছে, ‘জনগণ আমাদের ভালোবাসে, আমরা উন্নয়ন করেছি ইত্যাদি।’ তারা যদি আসলেই এটা মনে করে তবে জনগণের কাছে যেতে তাদের ভয় কীসের? আজ না হোক কাল জনগণের মুখোমুখি হতেই হবে। জনগণই সবকিছু নির্ধারণ করবে। নির্বাচন করে যদি এই সরকারই ক্ষমতায় আসে, আসুক। কিন্তু নির্বাচন সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য হতে হবে, সবার অবাধ ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে, প্রতিষ্ঠান কার্যকর হতে হবে।

কালবেলা: আওয়ামী লীগ এবং বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলো যেভাবে তাদের অবস্থানে অনড়, তাতে কি আগামী নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চিত পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে?

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ: সরকার যদি অনড় অবস্থায় থাকে তাহলে এই সংঘাত আরও বৃদ্ধি পাবে। অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে। সরকার যদি আবারও ২০১৪ বা ১৮ এর মতো নির্বাচন করতে যায়, সেটা দেশে অস্থিতিশীলতার বিপদ বাড়বে। এ ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কোনো সরকার ক্ষমতায় গেলে তারা সবসময় একধরনের নিরাপত্তাহীনতায় থাকে। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি থাকে না। তাই তারা বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল থাকে।

বর্তমান সরকার দেশের মধ্যে বিভিন্ন গোষ্ঠীর ওপর নির্ভরশীল। এসব গোষ্ঠীকে খুশি রাখার জন্য সরকার তাদের নানা ধরনের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। বড় ধনিকগোষ্ঠী, পুলিশ, আমলা; এদের ওপর নির্ভরশীল সরকার। বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ও তাই। যে সরকার জনগণের ওপর নির্ভর করে তাদের এই নির্ভরশীলতা থাকে না।

কালবেলা: বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা কি বলতে পারি, সরকার আসলে কোন পথে হাঁটছে?

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ: সরকার হয়তো ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। তবে সরকার এটা পারবে কিনা সেটা অনেক কিছুর ওপর নির্ভর করে। সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান সরকারের সঙ্গে থাকবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সরকার দেশের বিভিন্ন জবরদস্তির প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সব শক্তির চাহিদা পূরণ করে দমনপীড়ন জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে চেষ্টা করতেই পারে। তবে এটা পুরো দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য ভয়াবহ নেতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি করবে। জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীকে বাড়তি সুবিধা দিয়ে দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনা আমরা দেখতে চাই না। দেশ আরও ভয়াবহ নৈরাজ্যিক, লুণ্ঠনমূলক ও নিপীড়নমূলক ব্যবস্থার দিকে যাবে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের এ রকম চেহারা হোক, সেটা আমরা কোনোভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওসি জাহাঙ্গীরের চাঁদার টাকা রফাদফার ভিডিও ভাইরাল

ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো মিডিয়া সামিট 

কানাডা ও জাপান সফরে গেলেন গণপূর্তমন্ত্রী

ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে ভয়ংকর তথ্য

মহাসড়কে অভিযান / বগুড়ায় ১৪ গাড়ি থেকে হাইড্রোলিক হর্ন খুলে নিল পুলিশ

স্কুল ব্যাগে মিলল ৫২০০ পিস ইয়াবা, যুবক গ্রেপ্তার

ডিবিতে মামুনুল হক

পার্লামেন্টে এমপিদের মধ্যে তুমুল মারামারি

ঢাবি জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ অধিবেশন ৩০ মে শুরু

নোয়াখালীতে পাওয়ার টিলারের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত

১০

বিএনপি একটা জালিয়াত রাজনৈতিক দল : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১১

ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে সরে দাঁড়ালেন ২ প্রার্থী

১২

শতভাগ ফেল করা চার মাদ্রাসাকে শোকজ

১৩

এক্সিকিউটিভ পদে বসুন্ধরা গ্রুপে নিয়োগ, কর্মস্থল ঢাকা

১৪

হুটার-হাইড্রোলিক হর্ন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

১৫

গোয়াল ঘরে ঝুলছিল বৃদ্ধের মরদেহ

১৬

লোকসভা নির্বাচনে কোন দলের নারী প্রার্থী কত?

১৭

‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে আরএমপি

১৮

যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত পুলিশ : আইজিপি

১৯

প্লে-অফে যেতে কোহলিদের বাধা বৃষ্টি  

২০
X