আবুল কালাম আজাদ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা একশন এইডের এনার্জি ট্রানজিশন বিভাগের ম্যানেজার। সদ্য শেষ হওয়া কপ-২৮ সম্মেলন, জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি রূপান্তর, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড, জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশের অবস্থান বিষয়ে কালবেলার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মুজাহিদুল ইসলাম।
কালবেলা : এবারের জলবায়ু সম্মেলন কেমন দেখলেন? জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর বিষয়টি কতটুকু গুরুত্ব পেয়েছে?
আবুল কালাম আজাদ : এবারের জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। আমাদের সকলের জন্য খুবই আনন্দের খবর হলো, এবারের সম্মেলনের প্রথম দিনেই লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডটি গৃহীত হয়েছে। এবারের জলবায়ু সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করতে গেলে মূলত কপ-২৭ থেকে শুরু করতে হবে। কপ-২৭ অর্থাৎ গতবারের জলবায়ু সম্মেলনে সুশীল সমাজের দাবি ছিল জ্বালানি হিসেবে বিশ্বব্যাপী কয়লার ব্যবহার কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ। কিন্তু কপ-২৭ এ সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি। ফলে আমাদের সকলের আকাঙ্ক্ষা ছিল আমরা কপ-২৮ এ জ্বালানি হিসেবে কয়লা বা জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর সেই সিদ্ধান্তটি দেখতে পাব।
যেসব বিষয়ে আমরা আলোচনা আশা করেছিলাম তার অনেক কিছুই দেখতে না পেলেও জ্বালানি সেক্টর নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে সেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ২০২৫ সাল নাগাদ, ২০৩০ সাল নাগাদ বা ২০৫০ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কতটুকু কমাতে পারব তার একটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আমরা এখন জ্বালানির চাহিদা পূরণে যতটুকু নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করছি তার থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ আমরা তিনগুণ বেশি নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার করব এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০৫০ সাল নাগাদ আমরা নিট জিরো টার্গেটে পৌঁছাতে পারব অর্থাৎ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সর্বোচ্চো পরিমাণ কমাতে পারব। এই সিদ্ধান্তগুলো এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লিখিত আকারে গৃহীত হয়েছে।
কালবেলা : এবারের জলবায়ু সম্মেলনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিট জিরো লেভেলে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন করা হবে?
আবুল কালাম আজাদ : আমরা একটি ওভারওয়াল সিদ্ধান্ত পেয়েছি কিন্তু দেশগুলোর জন্য কান্ট্রি ওয়াইজ কোনো টার্গেট নির্ধারণ হয়নি এটা একটি সংকটের বিষয়। আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার তিনগুণ বাড়াব কিন্তু সেটা কীভাবে মনিটরিং করা হবে তার জন্য কোনো পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা হয়নি। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে জ্বালানির বিষয়টি এজেন্ডা হিসেবে ছিল, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর আলোচনাটি সামনেই ছিল। কপ-২৭ এ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর যে আলোচনাটি উঠেছিল এবারের সম্মেলনে সেটি লিখিত আকারে গৃহীত হয়েছে এবং জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটাই সবচেয়ে বড় দিক।
২০৫০ সাল নাগাদ আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিট জিরোতে পৌঁছব। কিন্তু নিট জিরো এর সংজ্ঞা কী হবে সেটা নিয়ে একটি ডিবেট রয়ে গেছে। কোন লেভেলটিকে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের নিট জিরো লেভেল বোঝানো হবে সেই গাইডলাইনগুলো এখনও স্পষ্ট নয়। আমরা কার্বন ক্যাপচার টেকনোলজির কথা বলি কিন্তু সেখানেও ঠিক কোন জায়গাটিকে বোঝানো হচ্ছে বা কোন ধরনের কার্বন ক্যাপচার টেকনোলজি আমরা ব্যবহার করব সেই গাইডলাইন এখনো পরিষ্কার নয়। আমরা আশা করি সামনের জলবায়ু সম্মেলনে এই বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে এবং দেশভিত্তিক একটি টার্গেট নির্ধারিত হবে।
কালবেলা : এবারের জলবায়ু সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি বড় প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছিল। কপ-২৮ এ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাবনা ছিল কি?
আবুল কালাম আজাদ : বাংলাদেশের পক্ষ থেকে খুব স্পেসিফিক কোনো প্রস্তাব ছিল এমনটি আমার জানা নেই। তবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডিংয়ের জন্য গ্লোবাল ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ড. সলিমুল হক খুবই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের জন্য বাংলাদেশের প্রতিনিধি সাবের হোসেন চৌধুরীরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের কথা বলে আসছে। এটা বাংলাদেশের জন্য নতুন কোনো প্রস্তাব নয় বরং পুরোনো প্রস্তাব।
কালবেলা : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে প্রতিবছর আমরা অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। সেক্ষেত্রে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের অর্থ আমরা কীভাবে পেতে পারি?
আবুল কালাম আজাদ : আসতো সেটার প্রক্রিয়া খুবই ব্যুরোক্রেটিক। আর এ কারণে বাংলাদেশের মতো থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশগুলোর জন্য এই ফান্ডের অর্থ নিয়ে আসা ছিল অনেক জটিল একটি প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ দাবি করে আসছে, লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডটি যেন লস অ্যান্ড ড্যামেজ ক্যালকুলেশন করে দেশভিত্তিক সুষম বণ্টন করা হয়।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ড অপারেট করার জন্য বিশ্বব্যাংককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা বলে আসছি বিশ্ব ব্যাংক কোনোভাবেই এই ফান্ডের অপারেটর হতে পারে না। ক্লাইমেট ফান্ড অপারেট করা বিশ্ব ব্যাংকের দায়িত্ব নয়। আমরা এই ফান্ডের অর্থ বণ্টন সহজ করার দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা মনে করি এই ফান্ডটি এমন একটি বডির হাতে দিতে হবে যাতে এই ফান্ডের অর্থ খুব সহজে অপারেট করা যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো খুব সহজে এই ফান্ডের অর্থ ক্লেইম করতে পারে।
কালবেলা : বিশ্বব্যাপী জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে কোনো সম্মিলিত সহযোগিতা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে কি?
আবুল কালাম আজাদ : ২০৫০ সাল নাগাদ জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিট জিরো লেভেলে পৌঁছনোর একটি টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু দেশগুলোর জন্য কান্ট্রি ওয়াইজ কোনো টার্গেট সেটআপ করা হয়নি যা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। কারণ কান্ট্রি ওয়াইজ টার্গেট সেটাপ না করলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিট জিরো লেভেলের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা কীভাবে অর্জিত হবে, কোন দেশ কীভাবে করবে, কীভাবে এটি মনিটরিং করা হবে এবং কীভাবে একাউন্টেবল এবং ট্রান্সপারেন্ট হবে সেই বিষয়গুলো একেবারেই সামনে আসেনি।
জ্বালানি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করতে সম্মিলিত কোনো সহযোগিতা প্রস্তাব গৃহীত হয়নি তবে দেশের সঙ্গে দেশের যে পারস্পরিক সহযোগিতা সেটার সুযোগ উন্মুক্ত রয়েছে দেশগুলোর সামনে। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো একত্রিত হয়ে একটি সহযোগিতা চুক্তির জন্য অনেকদিন ধরে চেষ্টা করছি। এবারের জলবায়ু সম্মেলনেও আমরা এই বিষয়টির সামনে নিয়ে আসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। উন্নত দেশগুলো যদি তাদের উন্নত টেকনোলজি নিয়ে আমাদের মতো দেশগুলোর সহযোগিতায় এগিয়ে না আসে তবে আমাদের জন্য টার্গেট পূরণ করা চ্যালেঞ্জ হিসেবে থেকে যাবে। এজন্য উন্নত এবং থার্ড ওয়ার্ল্ড দেশগুলোর মধ্যে একটি পরিষ্কার সহযোগিতা চুক্তি প্রয়োজন যাতে প্রযুক্তি বিনিময় সহজ হয়।
কালবেলা : জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বড় ভুক্তভোগী। পরিস্থিতি উত্তরণে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ গুলো কি?
আবুল কালাম আজাদ : বাংলাদেশ ঐতিহাসিকভাবে একটি দুর্যোগ প্রবণ দেশ। দুর্যোগ মোকাবিলার ইতিহাস আমাদের হাজার বছরের। আমরা একটি উপকূলীয় দেশ হওয়ায় হাজার বছর ধরে আমরা দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে অভ্যস্ত। ফলে দুর্যোগ মোকাবিলা করে টিকে থাকতে যে ক্যাপাসিটির প্রয়োজন সেটা বংশানুক্রমে অনেকটাই রয়েছে আমাদের মধ্যে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নতুন করে আমাদের ওপর যে প্রভাবগুলো পড়ছে বিশেষ করে উপকূলীয় ও খরা অঞ্চলে সেগুলো মোকাবিলা করার জন্য হয়তো আমরা স্থানীয়ভাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করছি তবে তা অবশ্যই যথেষ্ট নয়।
লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডটির দিকে আমরা এজন্যই এতটা জোর দিচ্ছি যাতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোকে লস অ্যান্ড ড্যামেজের ক্ষেত্রে খুব পরিষ্কারভাবে এড্রেস করা হয়। লস অ্যান্ড ড্যামেজকে খুব সহজে দেখানো হয়। যেমন একজন ব্যক্তির ফসল নষ্ট হয়ে গেলে তাকে ফসলের ক্ষতিপূরণ দেওয়া। কিন্তু এই বিষয়টা এতটা সহজ নয়। ধরি একটি বাচ্চা জলাবদ্ধতার কারণে স্কুলে যেতে পারে না একটি মেয়ে বাচ্চাকে মা বাবা অল্প বয়সে বিয়ে দিতে বাধ্য হয় এই বিষয়গুলোও যে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংকটের কারণে ঘটে সেটি আমাদের বিবেচনায় আসে না। এই বিষয়গুলোকে কীভাবে মানুষের বিবেচনায় নিয়ে আসা যাবে তা আমাদের দেশে ইন্টার্নালি আলোচনা হওয়া দরকার। তাহলে আমরা বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়গুলোকে আরও শক্তভাবে তুলে ধরতে পারব।
এই ক্ষতিগুলো পরিমাপ করা দরকার। কিন্তু সেই মেকানিজম আমাদের দেশে এখনো দাঁড়িয়েছে বলে আমি মনে করি না। সুতরাং এসব দিকে আমাদের আরো বেশি ইফোর্ট দিতে হবে।
কালবেলা : জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে কীভাবে এগোনো উচিত বলে মনে করেন?
আবুল কালাম আজাদ : বৈশ্বিকভাবে কার্বন নিঃসরণে বাংলাদেশের দায় খুবই কম। অথচ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় ভুক্তভোগী। আমাদের দেশের জ্বালানি খাত ৯৭% জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর। আমরা যদি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি এবং এর প্রভাব সম্পর্কিত আমাদের দাবিগুলোকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে চাই তবে আমাদের নিজেদের অবস্থানটি আরো বেশি অ্যাকাউন্টেবল এবং ট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। আমরা নিজেরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল থেকে লস অ্যান্ড ড্যামেজের কথা বা এমিশন এর আলাপ খুব বেশি এগিয়ে নিতে পারব না। ফলে প্রথমেই আমাদের আমাদের নিজেদের দেশে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে। আমাদের জ্বালানি খাত যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর সেটাকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে পরিবর্তন করতে হবে।
আমি কারও কাছে কোনো দাবি জানাব এবং আমি নিজেই যদি সেই অপরাধটি করতে থাকি তাহলে আমার দাবিটি গ্রাহ্যের মধ্যে আসবে না। এ কারণে আমার নিজেকেই আগে পরিশুদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সেটাই করা দরকার। আগে নিজেদের পরিশুদ্ধ হওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত যে ক্ষতি বা দাবিগুলো আমাদের রয়েছে তা যেন বৈশ্বিক মঞ্চে আরও জোরের সঙ্গে তুলে ধরতে পারি এবং বৈশ্বিকভাবে এই দাবিটাকে সামনে আনতে পারি সেটার জন্য আমাদের নিজেদের প্রস্তুত হওয়া দরকার।
কালবেলা : জ্বালানি রূপান্তরে বাংলাদেশর অগ্রগতি কতটুকু?
আবুল কালাম আজাদ : আমাদের জ্বালানি রূপান্তরের অবস্থানটি এখনো পরিষ্কার নয়। আমাদের পলিসিগুলো এখনও একটির সঙ্গে আরেকটি সাংঘর্ষিক। আমাদের জ্বালানি সেক্টরে যে মাস্টার প্ল্যান রয়েছে সেখানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার যতটুকু করা হবে বলে বলা হয়েছে সেটার সঙ্গে আমাদের ক্লাইমেট প্রস্পারিটি প্ল্যান বা পঞ্চবার্ষিকী প্ল্যান বা ডেল্টা প্ল্যান কোনোটির মিল নেই। ফলে প্রথমেই আমাদের একটি পরিষ্কার পলিসির মধ্যে আসতে হবে। একটি ন্যাশনাল পলিসির মাধ্যমে শুধু আমরা এই জায়গাগুলোকে এড্রেস করতে পারি এবং সেটা করার মধ্য দিয়েই আমরা বৈশ্বিকভাবে আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি প্রশ্নটি সামনে আনতে পারি।
আমরা প্রধানত ৩টি জায়গায় ফোকাস করছি। প্রথমটি হলো ডি-সেন্ট্রালাইজেশন, দ্বিতীয়টি ডি-কার্বোনাইজেশন এবং তৃতীয়টি হচ্ছে ডি-করপোরেটাইজেশন। অর্থাৎ আমাদের জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে যাওয়ার যে ট্রানজিশন পথ সেখানে বিদ্যমান করপোরেটাইজেশনের দাপট থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বিদ্যুৎ খাতে ডিসেন্ট্রালাইজেশন হতে হবে। বিদ্যুৎ খাত কার্বন ফ্রি হতে হবে। এই ৩টা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে যদি এনার্জি ট্রানজিশন সম্ভব হয় তবেই সেটা হবে কল্যাণমুখী।
মন্তব্য করুন