জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস আজ রোববার (২২ অক্টোবর)। দেশের সড়ক-মহাসড়ক প্রতিনিয়ত তাজা রক্তে লাল হচ্ছে। কিন্তু এ পরিস্থিতি থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় কী? কী করে কমবে সড়কে প্রাণহানি?- এ বিষয়ে কালবেলার ফেসবুক পেজে (Kalbela Online) পাঠকের মতামত থেকে বাছাইকৃত মতামত প্রকাশ করা হলো।
অ্যাডভোকেট নাসরিন বেগম : সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে ট্রাফিক আইন মানা বাধ্যতামূলক করতে হবে, জনসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং প্রতিটি দুর্ঘটনার জন্য দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া সড়কে অনিয়ম বন্ধ করে ট্রাফিক পুলিশদের সততার প্রতি নিষ্ঠাবান হতে হবে৷
মো. জসিম উদ্দিন আহমাদ : আমারা চাই উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলার রাস্তাগুলো মেরামত করা হোক। আমার মতে সড়ক দুর্ঘটনা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে যারা বেশি গতিতে গাড়ি চালায় এবং নেশা করে গাড়ি চালায় তাদের ধরে কঠোর শান্তির আওতায় আনা।
আল ফুয়াদ : সরকার সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে যতটা মনোযোগী মানহীন গাড়ি বন্ধে ও অপ্রশিক্ষিত চালকদের নিয়ন্ত্রণে ততটা আন্তরিক না। এসবের সুষ্ঠু তদারকির পাশাপাশি ট্রাফিক অব্যবস্থাপনা রোধ ও পথচারীদের সচেতনতা বাড়াতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
মো. আবু বকর সিদ্দিক : বর্তমানে কিছু চালক আছেন, যাদের সরকারিভাবে লাইসেন্স নেই। তারা কোনো প্রকার ট্রেনিংপ্রাপ্ত না। এক, দুই মাস হেলপারি করে সোজা স্টিয়ারিং এ বসেছেন। আর সাধারণত কিছু মানুষও রয়েছেন, যারা একটু কষ্ট হবে বলে ওভারব্রিজ ব্যবহার করে না, তারা চান একটু ফাঁকা পেলে রাস্তার মাঝ বরাবর দৌড় দিতে। যার কারণে এসব সড়ক দুর্ঘটনা হয়ে থাকে।
এসএম সাখাওয়াত : শুধু গাড়ির জরিমানা করেই সড়কে দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়। বর্তমানে রাস্তায় দুর্ঘটনার কারণে প্রচুর মৃত্যু হচ্ছে। মৃত্যুর এই পরিমাণ ১০ বছর আগেও কম ছিল। কিন্তু মাত্র এই কয় বছরে দুর্ঘটনার পরিমাণ এত বেড়ে গেল কেন। আর এই মৃত্যুর বেশির ভাগ তরুণ। এর উত্তর যদি আমরা খুঁজি তাহলে প্রথমেই বের হয়ে আসবে, এই দেশে শিক্ষার ব্যবস্থা দিন দিন অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রথম দিকে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীদের প্রতি শাসন উঠিয়ে দেওয়া, এর পরে পরীক্ষার ব্যবস্থা বন্ধ করা, এতে শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উপভোগের সময়টা বেশি পাচ্ছে। আর এই উপভোগ হিসেবে ৮০ শতাংশ বাইকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। যার কারণে দুর্ঘটনার কবলে এই অল্প বয়সের তরুণরা বেশি পড়ছে। শিক্ষাব্যবস্থা এমন কঠোর হওয়া উচিত যাতে করে তারা পড়াশোনার দিকে সময় বেশি ব্যয় করতে হয়। আর আমাদের দেশে এক লেনের রাস্তা বেশি। তাই দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেশি। প্রতিটি রাস্তা যদি দুই লেনের করা যায়, তাহলে আশা করা যায় এই মৃত্যুর হার কমবে।
মো. আশাক আশাক : আমি মনে করি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পথচারীকে নির্ধারিত সঠিক পথে চলাচল করতে হবে। যেখানে সেখানে সড়ক পার হলে দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই সঙ্গে চালককে সাধারণ মানুষ চলাচলের জায়গায় গাড়ি দেখে শুনে চালাতে হবে। ট্রাফিক পুলিশকে আরও শক্তভাবে আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আরেকটি বিষয় আছে, সেটা হলো ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ নিয়ে যাকে-তাকে গাড়ি চালানোর সুযোগ করে দেওয়াও দুর্ঘটনার একটা কারণ। এইটা খুবই দুঃখজনক।
এইচএম হেলাল মোল্লা : বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ দক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানো হলে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।
আসতাফাজ হোসাইন : জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশুরা বা ১৮ বছরের নিচের কেউ যাতে গাড়ি চালাতে না পারে। এতে আমাদের দেশের জনগণ আরো বেশি নিরাপদ থাকবে। দেশের আইন অনুযায়ী গাড়ি না চালানোয় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে।
আরিফ উদ্দিন সাগর : ছোট গাড়ি কমাতে হবে। জনসংখ্যার চেয়ে গাড়ি বেশি মনে হচ্ছে। এটা বাংলাদেশ। এখানে সবই সম্ভব।
মেনহাজুল ইসলাম তারেক : সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধ করতে হলে সড়কে ও পরিবহনে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। ট্রাফিক আইন মানা বাধ্যতামূলক করতে হবে, জনসচেতনতা বাড়তে হবে এবং প্রতিটি দুর্ঘটনার তদন্ত, বিচার ও দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সড়ক-মহাসড়ক ও যানবাহন সংশ্লিষ্ট বহু কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠান আছে। এসব কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয় করতে হবে। তেমনি তাদের প্রত্যেকের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। এসব করা সম্ভব হলে আশা করা যায়, সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি দুটোই কমবে।
রিহান হোসাইন : জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি যুবসমাজকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
আবু তাহের রাফসানি : কয়েকটি কারণ উল্লেখ করব। সেসব হলো, সমানভাবে আইন প্রয়োগ না করা বিশেষ করে ঘুষ নেওয়া। উল্টো পথে গাড়ি চালানো। ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানো। মহাসড়কে তিন চাকার গাড়ি চালানো। ফিটনেসবিহীন গাড়ি, মহাসড়কে রাতে ডিজিটাল সাইন না থাকা, পথচারীর অসচেতনতা, যত্রতত্র হাট-বাজার বসানো ও গাড়ি পার্কিং করে রাখা, অনভিজ্ঞ, লাইসেন্সবিহীন, মাদকসেবী চালক, ত্রুটিযুক্ত সড়ক ও সরু বাঁক। এই কারণগুলোই নিরাপদ সড়কের অন্তরায়।
জেজে মমিনুল : মহাসড়কে উল্টো দিক দিয়ে রিকশা-সিএনজিসহ যেকোনো পরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হলে।
সুমাইয়া তানহা : ট্রাফিক আইন সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করা, যদিও পুলিশ ওপরের মহলের পরিচয়ে টাকার বিনিময়ে হেরে যায়। ফিটনেসবিহীন গাড়ির লাইসেন্স প্রদান না করা। সড়কের গতি নির্ধারণ।
গাজি ফারুক : রোড পারমিট নেই যেই গাড়ির সেই গাড়ি না চলতে দেওয়া।
জিয়াবুল হোসেন তারেক : নিরাপদ সড়ক দিবস পালন করা ভালো তবে সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তো ভালো নয়। সারা দেশে অদক্ষ ড্রাইভার ও শ্রমিক লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাচ্ছে। ট্রাফিক ব্যবস্থা নাজুক। যাত্রা পথে ট্রাফিকের চাঁদাবাজি দেখলে আপনার গা শিউরে উঠবে। বহির্বিশ্বের কোথাও এ রকম চাঁদাবাজি নেই। বাংলাদেশে এখনো পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চল থেকে শুরু করে সড়ক ও মহাসড়কে অনেক জায়গা নামে ২-৪-৬ লেনের সড়ক। বড় বড় মেগা প্রকল্প না করে সড়ক ও জনপদ বিভাগের উচিত ছিল, যেসব মহাসড়ক বেশি দুর্ঘটনাকবলিত সেসব সড়ককে অতি জরুরি ভিত্তিতে ২ লাইন থেকে ৪ অথবা ৬ লাইনে উন্নীত করা। সড়কের দুই পাশে ডিভাইডার দেওয়া। ফুটপাত হকার দখলমুক্ত করা।
মো. হাবিবুর রহমান হাবিব : এ জাতিকে সচেতন হতে হবে। সমাজ থেকে ঘুষ দূর করতে হবে। বিআরটিএ-তে আল্লাহ ভীরু লোক বসাতে হবে। কারণ, গাড়ি চালাতে পারি আর না পারি টাকা দিলেই লাইসেন্স মিলছে, টাকা না দিলে মিলছে না। রাস্তা বড় করতে হবে, রাস্তায় রাস্তায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, ওভারটেক সিস্টেম পরিবর্তন, ইউটার্ন সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। যাতে যে কেউ চাইলেই ওভারটেক করতে না পারে। করতে হবে জরিমানা।
শাহনুর শাহিন : সড়কে দুর্ঘটনা কমানো, শৃঙ্খলা ফেরানো ও যানজটমুক্ত করার জন্য প্রয়োজন সদিচ্ছা। কিন্তু নেতারা সেটা করছেন না। তাদের প্রয়োজন বড় বড় প্রকল্প, মেগা বাজেট। অথচ ছোট ছোট কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করলে পুরো রাজধানীকে যানজটমুক্ত করা সম্ভব। যেমন, এই শহরে এমন অনেক পয়েন্ট আছে যেখানে দুইমুখী চলাচলের পথে ৪০০-৫০০ মিটারের ব্যবধানে দুটো রাস্তা। ওই দুটো রাস্তা দিয়েই অসংখ্য যানবাহন আসা যাওয়া করে। চাইলেই সেখানে একটা রাস্তায় একমুখী চলাচল বাধ্যতামূলক করে কয়েকটা সিগনাল উঠিয়ে দেওয়া যায়। তাতে করে যানজট, ঠেলা ধাক্কা ওই পয়েন্টে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে। সেটা তারা করবে না। বরং মেগা বাজেটে পোস্টার প্রকল্প করে এই শহরটাকে ভবিষ্যৎ মৃত শহর ও ভাগাড় বানানোর প্ল্যান প্রক্রিয়া চলমান রেখেছে শাসকগোষ্ঠী। মেয়র আনিসুল হক মহাখালী বাস টার্মিনাল সরাতে চেয়েছিলেন কিন্তু বেঁচে থেকে পারলেন না তিনি। যারা আছে তারা কেউ আর সেই উদ্যোগটা নিয়ে সামনে এগোলেন না। অথচ ঈদ উৎসবের সময় একটা মানুষকে রাজধানীর এয়ারপোর্ট, উত্তরা বা আব্দুল্লাহপুর যেতে হলে প্রথমে মহাখালী আসতে হয় নগর পরিবহনে। মহাখালী নেমে অন্য একটি পরিবহনে উঠে আবার সেই ফেলে আসা পথ ঘুরে একই পথে বের হতে হয়। এই যে অপ্রয়োজনীয় ইন-আউট; এটার কারণে নষ্ট হচ্ছে সময়, শহরের মাঝখানে পরিবহনের আধিক্য, অতিরিক্ত উঠানামা হচ্ছে, এতে কী হচ্ছে? যানজট আর দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। দূর পাল্লার গাড়ি কেন ঢাকার বাইরে থাকবে না— এটা নিয়ে নগর পরিকল্পনাবিদদের ভাবনা নেই। এ ছাড়া প্রতিটা সিগনালে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশের চাঁদাবাজি এই যানজটকে বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। সময় বাঁচানোর তাড়নায় চলে অসম প্রতিযোগিতা, তৈরি হয় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। এত বড় বড় উড়ালসড়ক, রেল সড়ক না করে শহরের সব সিগনাল তুলে দিয়ে কিছু কিছু জায়গায় শুধু ওভারপাস, আন্ডারপাস করে একমুখী চলাচল ব্যবস্থাপনা চালু করলেই যানজটমুক্ত শহর গড়ে উঠতো। যানজটমুক্ত মুক্ত শহর নিশ্চিত করতে পারলেই বেঁচে যেত ৮০ ভাগ দুর্ঘটনা, সাশ্রয় হতো হাজার কোটি টাকা। সেসব না করে ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে লক্ষ-কোটির মেগা প্রজেক্ট করে শহরটাকে আরো সংকুচিত করে ফেলা হচ্ছে। এসব অনিয়ম, অপরিকল্পিত অসম উন্নয়ন, ট্রাফিক ও লাইসেন্স বিভাগে দুর্নীতি বন্ধ এবং অদক্ষতা দূর না করলে কিছুই কমবে না। কিন্তু উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে আমরা একটা সুন্দর সাবলীল এবং সচল ঢাকা পেতাম মুহূর্তের ব্যবধানে। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো সাবলীল ঢাকা তাদের প্রয়োজন হয় না। তাদের সন্তানরা বিদেশে থাকে, আর তারা চলাচলের আগে রাস্তা ফাঁকা করে নেয়। এই সব অব্যবস্থাপনা দূর করতে পারলে নিরাপদ এবং সচল ঢাকা গড়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মো. আবদুল মালেক : দুর্ঘটনা বাড়ার কারণ ছোট ছোট গাড়ি আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালন না করা। তারা টাকা ছাড়া কিছু বোঝে না। নিয়মকানুন শৃঙ্খলা বজায় রাখে না। এর কারণে দুর্ঘটনার দিকে এগোচ্ছে মানুষ। রাস্তায় দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। না হয় দুর্ঘটনা কখনো কমানো সম্ভব না। ওয়ান বাই ওয়ান রাস্তা প্রশস্ত করতে হবে। সড়ক আইন সবাইকে মেনে গাড়ি চালাতে হবে।
মো. আবু ইউসূফ : আইন সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ করা হয় না, এটাই মূল কারণ। সড়কে অবৈধ গাড়ি চলাচল, অবৈধ পাকিং ও উল্টো পথে গাড়ি চলাচল সমানভাবে দায়ী।
মেহেদি হাসান : রাস্তার জায়গা বাড়াতে হবে। কারণ বাংলাদেশের রাস্তায় অনেক গাড়ি চলাচল করে। যার তুলনায় রাস্তা ছোট।
ফারুক হোসাইন : আইনের যথাযথ প্রয়োগ এবং আইন সবার জন্য সমান হতে হবে। কাগজে কলমে আইন সবার জন্য সমান দেখালেও বাস্তবে তা ভিন্ন। বর্তমানে নেতাদের জন্য এক আইন, সাধারণ মানুষের জন্য আরেক আইন। এ ছাড়া সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের এবং তাদের বংশীও ব্যক্তিদের জন্যও আলাদা আইন। এ রকম ভেদাভেদ বাদ দিয়ে যদি সবার জন্য আইন সমান এবং এর যথাযথ প্রয়োগ করা হয় তবেই এর থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। এতে করে কেউ কারও রেফারেন্স দিয়ে ছাড় পাবে না। যার ফলে সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমতে শুরু করবে।
আবু যাকওয়ান জাওয়্যাদ : পৃথিবীর সব দেশে ওয়ান বাই ওয়ান রোড। তা যদি আমাদের দেশে করা যায় তাহলে সড়ক দুর্ঘটনা কমবে। সড়কের প্রত্যেকটা মোড়ে, পথচারী পারাপারের জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকবে, যার দ্বারা অটোমেটিকভাবে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়ে যাবে। সবচেয়ে বড় সমস্যার একটা হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশরা যদি নীতিবান হতো আর অবৈধভাবে ঘুষ খেত না, তাহলে জনগণ বাধ্য হয়ে রাস্তার আইনকানুন মেনে চলত। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রাস্তায় মন্ত্রী ও তাদের সন্তানদের জন্য এক নীতি আর সাধারণ জনগণের জন্য আরেক নীতি। সবাই যদি আইনের চোখে সমান হতো তাহলে বড় অংকের জরিমানার ভয়ে সবাই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করত না।
আবু সায়েম মো. তারেক : অস্বাভাবিক গতির চালকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং যাত্রীদের অভিযোগ জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করা।
আসাহাক হোসেন মীম সরকার : সড়ক হতে হবে মানসম্পন্ন। প্রত্যেক ড্রাইভারের বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। সরকারের উচিত ড্রাইভারদের মৌলিক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা। ওভারলোড বর্জন করা। এভাবেই কমতে পারে সড়কে প্রাণহানি।
গ্রন্থনা : আব্দুল্লাহ আল মাছুম
মন্তব্য করুন