ড. আলা উদ্দিন
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. আলা উদ্দিন

রোহিঙ্গা সংকটের ছয় বছরে কিছু শঙ্কা ও প্রত্যাশা

রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত
রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যাজনিত রোহিঙ্গা সঙ্কট শুরু হওয়ার সাত বছর অতিক্রান্ত প্রায়। নির্যাতিত এই সংখ্যালঘুদের দুর্দশা বরাবরের মতোই ভয়াবহ। ২৫ আগস্ট ২০২৩, এই চলমান ট্র্যাজেডির আরেকটি নির্মম বার্ষিকী। বিশ্ববাসী রোহিঙ্গা জনগণের অকল্পনীয় দুর্ভোগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করেছে। সহানুভূতি ও সহায়তায় করেছে; তবুও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়া দুঃখজনকভাবে অপর্যাপ্ত এবং অনুপযুক্ত। প্রলম্বিত সংকট নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা এবং রোহিঙ্গাদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সম্মিলিত অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্তকরণ ও তদনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা সঙ্কট যখন আরও একটি বছরে প্রবেশ করছে, তখন সামনের চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলো পরীক্ষা করা অপরিহার্য। এই রাষ্ট্রহীন এবং বাস্তুচ্যুত মানুষদের দুর্দশায় বিশ্ববাসী সহানুভূতি এবং উদ্বেগ জাগিয়ে চলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এর প্রতিক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করা এবং মানবাধিকার, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারকে সমুন্নত রাখে এমন টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা অপরিহার্য করে তুলেছে।

আগস্ট ২০১৭-এর নৃশংস গণহত্যার মধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেওয়ার সাত বছর অতিবাহিত হয়েছে ৷ শরণার্থীদের আকস্মিক আগমনের জরুরি প্রতিক্রিয়া হিসাবে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল (আশ্রয়, সাহায্য), সময়ান্তরে তার পরিবর্তন ঘটেছে। পরিস্থিতিও আরও প্রকট হয়েছে; মানবিক সংকটও দীর্ঘায়িত হয়েছে- রোহিঙ্গাদের জন্য, স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্যও। বিস্তীর্ণ শরণার্থী শিবিরগুলো, একসময় অস্থায়ী বসতি ছিল কিংবা আবাদ বা পশুচারণের ক্ষেত্র ছিল, তা লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের জন্য এখন আধা-স্থায়ী আবাসে পরিণত হয়েছে, যা শরণার্থী এবং স্বাগতিক সম্প্রদায় উভয়ের জন্যই অনন্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে উপস্থাপন করেছে। অত্যধিক ভিড়, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষায় সীমিত প্রবেশাধিকার এবং অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন সুবিধাগুলো অকার্যকর শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের মানবিক দুর্যোগের মুখোমুখি করেছে। বাংলাদেশ সরকার এই অরক্ষিত জনসংখ্যাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য অপরিসীম সহানুভূতি দেখিয়েছে, কিন্তু এই বোঝা বেশিদিন বহন করার সামর্থ্য দেশটির নেই। আশ্রয়দাতা দেশের জন্য এরূপ বোঝা বহন করার কোনো নজিরও নেই কোথাও। শরণার্থীদের মৌলিক চাহিদা, প্রয়োজনের পরিবর্তন ও রূপান্তর, এবং স্থায়ী সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্য ও সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তা বৃদ্ধি ও আরও বাস্তবসম্মত করতে হবে।

শরণার্থীদের জন্য অপরিহার্য সাহায্য এবং সহায়তা প্রদান গুরুত্বপূর্ণ, তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা নিশ্চিত করে এমন স্থায়ী সমাধান খোঁজার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। শুধুমাত্র জরুরি সাহায্যের উপর নির্ভর করা যথেষ্ট নয়; এটি কেবল সংকটের লক্ষণগুলোকে সম্বোধন করে, মূল কারণগুলো নয়৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলো মোকাবেলা করতে এবং পরিস্থিতি অনুকূলে রেখে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তন সহজতর করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তাৎক্ষণিক ত্রাণ তৎপরতার বাইরেও রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলোকে সমাধান করাও গুরুত্বপূর্ণ। যে জটিল ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক কারণগুলো তাদের নিপীড়নের দিকে পরিচালিত করেছিল তা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে এবং তাদের মূল সমস্যা সমাধান করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারে সংলাপ, পুনর্মিলন এবং মানবাধিকারের প্রচারে উৎসাহিত করতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

বৈশ্বিক সংহতি অবশ্যই আর্থিক সহায়তার বাইরে প্রসারিত হবে। এর জন্য প্রয়োজন রোহিঙ্গাদের মানবতা স্বীকার করা এবং তাদের কণ্ঠ হৃদয় দিয়ে শোনা। এটি তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমান সদস্য হিসাবে তাদের পরিচিতি, জন্মভূমি, ও দেশের স্বীকৃতির ব্যবস্থা করতে হবে।

রোহিঙ্গা গণহত্যা থেকে চোখ ফেরানোর পরিণতি বা নিষ্ক্রিয়তার যে কী মূল্য তা বিবেচনায় রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে রোহিঙ্গারা শত শত জীবন হারিয়েছে, অসংখ্য পরিবার ছিন্নভিন্ন হয়েছে, ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপকর্ম সংঘটিত হয়েছে। এই মানবিক দুর্যোগের জন্য দায়ীদের জবাবদিহি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতা দায়মুক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং সহিংসতার চক্রকে অব্যাহত রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। এহেন পরিণতিতে অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ না নিয়ে আরেকটি বছর পার হতে দেয়া যায় না।

জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থাগুলোকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধের স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। গণহত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের অবশ্যই একটি আন্তর্জাতিক আদালতের সামনে জবাবদিহি করতে হবে যাতে ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় এবং এই ধরনের নৃশংসতার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। রোহিঙ্গাদের উপর সহিংসতা ও গণহত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত এবং এমন পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন যেখানে রোহিঙ্গারা আবারও নিপীড়নের ভয় ছাড়াই নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই মিয়ানমারের ওপর চাপ বজায় রাখতে হবে রোহিঙ্গাদের অভিযোগের সমাধান করতে এবং জাতীয় পুনর্মিলন ও শান্তি-নির্মাণের একটি প্রকৃত প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দারিদ্র্য ও নির্ভরশীলতার চক্র ভাঙ্গার জন্য শিক্ষা ও জীবিকার সুযোগ দিয়ে রোহিঙ্গাদের ক্ষমতায়ন অত্যাবশ্যক। শিক্ষা তাদের জীবন পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করে, যখন কর্মসংস্থানের সুযোগ তাদের সমাজে অর্থপূর্ণভাবে অবদান রাখার ক্ষেত্র তৈরি করে। আন্তর্জাতিক দাতাদের উচিত শরণার্থী শিবিরের মধ্যে শিক্ষাগত সুবিধা এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করা, আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করা এবং একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশার পথ প্রশস্ত করা।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়ার জন্য বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে। সংস্থাগুলো প্রয়োজনীয় পরিষেবাসমূহ সরবরাহ করার জন্য অর্থায়নের উদ্যোগ, কাজের সুযোগ এবং মানবিক সংস্থাগুলোর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে। বেসরকারী খাতকে জড়িত করা দায়িত্ববোধ এবং সম্মিলিত পদক্ষেপের বোধ জাগিয়ে তোলে, মানবিক প্রচেষ্টার প্রভাবকে বাড়িয়ে তোলে।

শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক সংহতি প্রচার করা অপরিহার্য। বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার উচিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা যা সংলাপ, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং পারস্পরিক বোঝাপড়াকে সহজতর করে। এই এপ্রোচ শুধুমাত্র রোহিঙ্গাদের জন্যই উপকারী নয়, বরং গ্রহণযোগ্যতা ও সহানুভূতির পরিবেশ গড়ে তোলে, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের উপরও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

আমরা যখন ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট তারিখে শুরু হওয়া ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়কে স্মরণ করি, তেমনি আমাদের অবশ্যই রোহিঙ্গাদের শক্তিমত্তা ও স্থিতিস্থাপকতাকে (রেজিলিয়েন্স) সম্মান করতে হবে। অকল্পনীয় প্রতিকূলতার মুখে তাদের সাহস ও দৃঢ়তা আমাদেরকে পরিবর্তনের পক্ষে ওকালতি করতে এবং তাদের দুর্দশার কথা ভুলে না যাওয়ার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করে।

এখন সময় সম্মিলিতভাবে রোহিঙ্গা গণহত্যার সমাপ্তি এবং এমন একটি ভবিষ্যতের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার, যেখানে রোহিঙ্গাসহ সকল মানুষ তাদের নিজস্ব পরিচিতি, মর্যাদা ও সম্মানের সাথে জীবন যাপনের নিশ্চয়তা পায়। রোহিঙ্গা গণহত্যাকে স্মরণ করে ২৫ আগস্ট ২০২৩ অবশ্যই বিশ্বব্যাপী কর্ম, সংহতি এবং ন্যায়বিচারের প্রতি একটি নতুন অঙ্গীকারের সূচনা করবে। এখন এমন একটি বিশ্ব তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে গণহত্যার কোন স্থান নেই, এবং প্রতিটি জীবন মূল্যবান এবং সুরক্ষিত। বিশ্ববাসী সংশ্লিষ্টদের ভূমিকা প্রত্যক্ষ করছে। বাস্তবসম্মত কর্মোদ্যোগী কর্মপন্থার সময় এখন।

বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা সংকটের ভবিষ্যত নির্ভর করে মূল কারণসমূহ চিহ্নিত করে যথাযথভাবে মোকাবেলা করা, এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সম্মিলিত ক্ষমতার ওপর। যদিও সামনের পথ চ্যালেঞ্জিং, তবে অসম্ভব কিছু নয়। শিক্ষা, জীবিকার সুযোগ এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততায় বিনিয়োগ ও সামাজিক সংহতি গড়ে তোলার মাধ্যমে যদি ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করা সম্ভব হয়, তাহলে রোহিঙ্গারা তাদের জীবনকে মর্যাদাপূর্ণ ও আশাব্যঞ্জকভাবে পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবে। প্রলম্বিত সংকটের ন্যায় বাস্তবসম্মত ও টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণে ইতোমধ্যে অনেক বিলম্ব হয়েছে; আর দেরি নয়; রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ সকলের জন্য আরও সহানুভূতিশীল এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরি করার জন্য এখনই সময়।

ড. আলা উদ্দিন: অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাইসির মৃত্যুতে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্টের আবেগঘন স্ট্যাটাস

ইব্রাহিম রাইসি নিহত, জরুরি বৈঠকে ইরান

বিএনপির ৩ নেতা বহিষ্কার

রাইসির জন্য প্রার্থনায় বসেছিল গোটা দেশ

মেঠোপথে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে বুনো ফুল ‘পটপটি’

ব্রাজিলের কোপার স্কোয়াডে নতুন চার মুখ

রাইসির হেলিকপ্টারের যা ঘটেছিল

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

বিচারক থেকে প্রেসিডেন্ট, কে এই রাইসি

ইব্রাহিম রাইসি মারা গেছেন

১০

ইরানের প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : রাইসি ছাড়াও যারা মারা গেলেন

১১

রাঙামাটিতে চলছে ইউপিডিএফের আধাবেলা অবরোধ

১২

পায়ুপথে ব্রাশ দিয়ে কিশোরকে নির্যাতন করল বখাটেরা

১৩

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত : কোনো আরোহী বেঁচে নেই

১৪

কে হবেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট?

১৫

হবিগঞ্জে ধান সংগ্রহের শুরুতেই হযবরল

১৬

আইপিএলে প্লে-অফে কে কার বিরুদ্ধে লড়বে?

১৭

তুর্কি ড্রোনে খোঁজ মিলল রাইসির হেলিকপ্টারের

১৮

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি বেঁচে আছেন? 

১৯

খোঁজ মিলল রাইসির হেলিকপ্টারের, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২ কিমি দূরে উদ্ধারদল

২০
X