ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির
প্রকাশ : ২৪ জুন ২০২৩, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৪১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. এ বি এম রেজাউল করিম

বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন

ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির। ছবি : সংগৃহীত
ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির। ছবি : সংগৃহীত

গত ১ জুন ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বাজেটে শিক্ষা খাতে ৮৮ হাজার ১৬২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ এই অর্থের বেশিরভাগই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের মূলধারার শিক্ষা, মাদ্রাসা শিক্ষা ও কারিগরি শিক্ষা—এই ধারার শিক্ষায় ব্যয় করা হবে।

শিক্ষা খাতে ব্যয়ের প্রধান উদ্দেশ্য হলো দেশে যুগোপযোগী সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক মানবসম্পদ বা মানবিক পুঁজি গড়ে তোলা। কারণ দেশের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে যেমন আর্থিক পুঁজি প্রয়োজন; ঠিক তেমনিভাবে মানবিক পুঁজিরও প্রয়োজন। অর্থাৎ যতই আর্থিক পুঁজি বিনিয়োগ করা হোক না কেন, কোনো বাণিজ্যিক, শিল্প বা সামাজিক প্রতিষ্ঠানের অভীষ্ট উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যদি জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানবিক সম্পদ কাজ না করে তবে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে। আর্থিক পুঁজি বিনিয়োগ থেকে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। এখন প্রশ্ন হলো এই যে, জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে কি বাংলাদেশের শিক্ষা খাতে বিনিয়োগকৃত অর্থের সমপরিমাণ অভীষ্ট সুফল পাওয়া যায়? উত্তর হলো—না। কারণ জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিনিয়োগকৃত অর্থের অধিকাংশই অপব্যয় ও অপচয় হয়ে থাকে। এই অপব্যয় ও অপচয় সবচেয়ে বেশি হয়ে থেকে ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায়। এর প্রধান কারণ নিহিত রয়েছে নীতিবিবর্জিত শিক্ষানীতি, ভুল ইংরেজি শিক্ষা পরিকল্পনা ও শিক্ষা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রশাসনের বিমুখতা এবং ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থায় নিয়োজিত শিক্ষক-প্রশিক্ষকদের সঠিক শিক্ষাদানে অদক্ষতা ও অনীহা। কিন্তু দেশে মানবিক পুঁজি গঠনে সহায়ক একটি সুষ্ঠু ইংরেজি শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে শিক্ষানীতি থেকে শুরু করে শিক্ষা পরিকল্পনা, শিক্ষা প্রশাসন ও শিক্ষাব্যবস্থা মেরামতে হাত দিতে হবে। আর মানবিক পুঁজি গঠনে সহায়ক ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে দেশে কথিত অন্যান্য ভাষা শিক্ষাকে বিবেচনায় নিতে হবে। এসব ভাষার মধ্যে রয়েছে জাতীয় ভাষা বাংলা, সংস্কৃত, পালি ও ফার্সি ইত্যাদি ধ্রুপদি ভাষা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগত ভাষা। কারণ একটি দেশের সার্বিক উন্নয়নে ভাষিক উন্নয়ন অপরিহার্য। যে কারণে ভাষা বাংলা, সংস্কৃত, পালি ও ফার্সি ইত্যাদি ধ্রুপদি ভাষা, ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষা এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগত ভাষার ভাষিক উন্নয়নকে বাদ দিয়ে শুধু ইংরেজি ভাষা শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। দেশের সার্বিক ভাষিক উন্নয়নের জন্য একটি সর্বাত্মক ভাষানীতি প্রয়োজন। বিদেশি ভাষার ভাষিক উন্নয়নেও ভাষানীতি প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো ভাষানীতি নেই। সে জন্য বিদেশি ভাষার বাস্তব প্রায়োগিকতাকে বিবেচনায় নিয়ে সাময়িকভাবে বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।

বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে প্রথমেই প্রশ্ন আসবে, কোন ভাষাগুলো বিদেশি এবং বিদেশি ভাষার মধ্যে কোনগুলোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা প্রয়োজন। সমসাময়িককালে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ও আঞ্চলিক রাষ্ট্রজোটের সঙ্গে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিবেচনায় বিদেশি ভাষা শিক্ষার এই সুযোগ সৃষ্টি করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে। আমাদের দেশ স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং জনশক্তি রপ্তানিতে তৎপর রয়েছে। এই কাজে সরাসরি যুক্ত রয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শিল্পোন্নত ও বিত্তশালী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় দ্বিপক্ষীয় সভায় সংশ্লিষ্ট দেশের কূটনৈতিকদের সঙ্গে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে নিয়মিত দেনদরবার করে থাকে। বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে আরব ভাষাভাষী অঞ্চলের দেশসমূহ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া, পূর্ব এশিয়ার জাপান ও কোরিয়া এবং ইউরোপের ইতালি ইত্যাদি দেশ বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি করছে। বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি আমদানি করতে আগ্রহী দেশসমূহে অদক্ষ থেকে শুরু করে অর্ধদক্ষ ও দাপ্তরিক কাজে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু দক্ষ ও অদক্ষ উভয় ধরনের কর্মীদেরই ভাষাগত দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। ভাষাগত দক্ষতা মানবিক পুঁজির নিয়ামক বিশেষ। জনশক্তি আমদানিকারক দেশসমূহের চাহিদা বিবেচনায় এখন দেশে যেসব বিদেশি ভাষার শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, তার অন্যতম হলো আরবি, মালয়, জাপানি, কোরীয় ও ইতালীয় ইত্যাদি। উল্লিখিত বিদেশি ভাষাগুলো ছাড়াও আরও কিছু বিদেশি ভাষা শিক্ষার চাহিদা রয়েছে। কারণ দেশের যুবসমাজ এখন ব্যক্তিগত উদ্যোগে নানা দেশে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছে। সেসব দেশে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে পরস্পরের সংজ্ঞাপনে বিদেশি ভাষা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া দেশেও কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্যিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। বিদেশে ও দেশে কর্মসংস্থানের জন্য আর যেসব বিদেশি ভাষা শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো চীনা, ফরাসি, স্পেনীয়, তুর্কি, পর্তুগিজ, ফার্সি ও গ্রিক ইত্যাদি। এটি এখন বাস্তবতা যে, দেশে বিদেশি ভাষার শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যে কারণে দেশজুড়ে মান নিয়ন্ত্রণহীনভাবে এই শিক্ষার অনিয়মিত ও অপরিকল্পিত বিস্তার ঘটছে। যার ফলে দেশে বিদেশি ভাষা শিক্ষার নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে, যার অন্যতম হলো :

i) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটসমূহ

ii) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগ (যেখানে ১/২টি কোর্সের মাধ্যমে সীমিত পর্যায়ে বিদেশি ভাষার পাঠদান করা হয়)

iii) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়াধীন একাডেমিসমূহ

iv) শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ

v) জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ

vi) বিভিন্ন বিদেশি কূটনৈতিক মিশন পরিচালিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসমূহে

vii) English Medium School সমূহ

viii) বিভিন্ন শহরে বা বাজারে অবস্থিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানসমূহ

বৈদেশিক কর্মসংস্থানের কারণে দেশে বিদেশি ভাষা শিক্ষার যে চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে, তা উপরোল্লিখিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিপূরণ হচ্ছে না। কারণ এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষক, পাঠ্যসূচি ও শিক্ষাদান প্রক্রিয়া সঠিক নয়। কিন্তু বিদেশে ভাষাগত দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের চাহিদা বেশি এবং তদানুসারেও মাসিক বেতন-ভাতাও বেশি হয়ে থাকে। প্রত্যেক বিদেশগামী কর্মীর ভেতন-ভাতা যথেষ্ট হলে, তার অংশ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে ফেরত আসে। দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি পায় এবং বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ঘটে। এভাবে দেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অবদান বিবেচনায় দেশে বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বিদেশি ভাষা শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দেশে বিদেশি ভাষার শিক্ষার সুযোগ ও সুবিধা বৃদ্ধি করতে হলে ওই বিদেশি শিক্ষাকার্যক্রমে ব্যাপৃত প্রতিষ্ঠানসমূহের ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠ্যসূচি প্রণয়ন ও শিক্ষাদান প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এই উন্নয়নে অর্থ প্রয়োজন। এই দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত শিক্ষাকার্যক্রমের অর্থের জোগান জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে দেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই শিক্ষা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যয়, কোনো ব্যক্তি ও সংস্থা কর্তৃক মেটানো সম্ভব নয়। জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হলে, দেশের বিদেশি ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমে প্রাণ সঞ্চার হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিদেশগামী মানুষ বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরিপ্রাপ্তিতে প্রয়োজনীয় ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হবে। তৎপরবর্তী সময়ে বিদেশে কর্মসংস্থান হলে সেসব মানুষ দেশে উচ্চহারে রেমিট্যান্স পাঠাতে সক্ষম হবে। ফলে জাতীয় বাজেটের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত অর্থের কয়েক গুণ লাভ হিসেবে ফিরে আসবে। দেশের সার্বিক জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি ঘটবে। এভাবে বিদেশি ভাষা শিক্ষায় বিনিয়োগ প্রচুর লাভ হিসেবে দেশের মোট আয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। কাজেই চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় শিক্ষা বাজেটের অংশ হিসেবে দেশের বিদেশি ভাষা শিক্ষা উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

ড. এ বি এম রেজাউল করিম ফকির : অধ্যাপক, জাপানি ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগ। পরিচালক, আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভূতপূর্ব গবেষণা ফেলো, জাপান রাষ্ট্রভাষা ইনস্টিটিউট। ভূতপূর্ব অভ্যাগত শিক্ষক, টোকিও বিদেশবিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পরকীয়ায় জড়িয়ে ডিভোর্স বাড়ছে পাখিদেরও

অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে দাঁড়িয়ে আলোকিত করছেন ডুবন্ত সংসার

জাতির জনকের সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ

টানা তিন হোয়াইটওয়াশে যে বার্তা পেলেন জ্যোতিরা

নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতির লাশ উদ্ধার

টুঙ্গিপাড়ার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

ভোটের দিনে সংঘর্ষের ঘটনায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গুচ্ছের সি ইউনিটের পরীক্ষা আজ, প্রতি আসনে লড়বে ১১ জন

হাজার কোটি টাকায় বদলে যাচ্ছে লর্ডস

১০

শপথ নিয়েই নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করলেন পুতিন

১১

চাঁদ দেখা গেছে, আজ থেকে জিলকদ মাস শুরু

১২

মালয়েশিয়ার প্রবাসীদের সুখবর দিল হাইকমিশন

১৩

প্রধান শিক্ষকের গলা টিপে হত্যার হুমকি

১৪

চলে যাচ্ছেন পিটার হাস, আসছেন নতুন রাষ্ট্রদূত

১৫

১০ মে : নামাজের সময়সূচি

১৬

তিতাস গ্যাসের সতর্কবার্তা

১৭

টুঙ্গিপাড়ার পথে প্রধানমন্ত্রী

১৮

আগামী ৩ দিন আবহাওয়া কেমন থাকবে?

১৯

ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত যত ঘটনা

২০
X