সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম ছিল ‘জিডিপির অনুপাতে রাজস্ব বাড়ছে না, বাড়ছে সরকারি ঋণ’। এতে বলা হয়েছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে জিডিপির অনুপাত হিসেবে সরকারি রাজস্ব আয় ছিল ৯.১ শতাংশ, কিন্তু ২০২১-২২ অর্থবছরে এই অনুপাত আরও কমে মাত্র ৮.৭ শতাংশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু কর-জিডিপির অনুপাত বিবেচনা করলে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৭ শতাংশে; যা লজ্জাজনক (২০২২-২৩ অর্থবছরেও এই অনুপাত একই থাকবে)।
গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সরকারি রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত এবং কর-জিডিপি অনুপাত এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্নে ছিল। কিন্তু বর্তমান অর্থমন্ত্রী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই দুটো অনুপাত আরও কমছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে কর-জিডিপির অনুপাত ১২ শতাংশ, নেপালে ১৯.১ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ১১.২ শতাংশ ও ভুটানে ১৬.৭ শতাংশ। এমনকি পাকিস্তান ও আফগানিস্তানেও কর-জিডিপির অনুপাত বাংলাদেশের চাইতে বেশি।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে পর্যায়ে অবস্থান করছে সেখানে সরকারি রাজস্বের প্রধান উৎস হওয়ার কথা আয়কর। কিন্তু ২০২২-২৩ অর্থবছরে ‘আয়কর’ রাজস্ব আহরণের তৃতীয়-সর্বোচ্চ খাত হিসেবেই রয়ে যাচ্ছে; যা মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং সাপ্লিমেন্টারি ডিউটিসহ আমদানি-শুল্কেরও অনেক পেছনে।
১ জুন ২০২৩ তারিখে ঘোষিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে আয়কর থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালের জুনে এই ঘোষণা বাস্তবায়ন কতটুকু সফলভাবে হয়, তা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আয়কর বাড়ানোর বর্তমান ব্যর্থতার প্রধান দায়ভার নিতে হবে অর্থমন্ত্রীকেই।
বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর সরকারি বিনিয়োগ ক্রমশ বাড়ানোর উদ্যোগ জোরদার করে চলেছে। বিশেষত ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে প্রচণ্ড গতিসঞ্চার হয়েছে গত পনেরো বছরে। এমতবস্থায়, দেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত এবং কর-জিডিপি অনুপাত এত কম থাকলে এর অবশ্যম্ভাবী পরিণামে সরকারি ঋণ ক্রমশ বাড়ানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটিই ঘটছে। ক্রমেই জিডিপির শতাংশ হিসেবে সরকারের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক ঋণ প্রতিবছর বাড়াতেই হচ্ছে। ফলে ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যান মোতাবেক যেখানে বাংলাদেশ সরকারের ঋণ-জিডিপির অনুপাত ছিল ২৮.৭ শতাংশ, সেখানে ২০২৩ সালের এপ্রিলে তা বেড়ে জিডিপির ৪২.১ শতাংশে পৌঁছে গেছে। (ঋণের অনুপাত জিডিপির ৬০ শতাংশে পৌঁছালে আইএমএফ সেটাকে অর্থনীতির জন্য বিপজ্জনক বিবেচনা করে। অতএব, বাংলাদেশের ঋণ-জিডিপির অনুপাতকে পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার তুলনায় এখনো বিপজ্জনক বলা যাবে না)।
এটা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি অস্বাভাবিক রকমের বেশি হয়ে গেছে। ফলে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উভয় ধরনের ঋণের কিস্তি এবং সুদ পরিশোধ অতিসত্বর অর্থনীতির জন্য বোঝা হিসেবে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে যাবে বলে বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি প্রশাসন খাতে ব্যয়-বরাদ্দের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ শতাংশ ব্যয়-বরাদ্দ রাখতে হয়েছে সরকারি ঋণের সুদ পরিশোধ খাতে। যার মোট পরিমাণ ৮০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঋণের সুদ পরিশোধ খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব রাখা হয়েছে ৯৪,০০০ কোটি টাকা। শুধু বৈদেশিক ঋণের সুদাসলে কিস্তির পরিশোধ বর্তমান ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আনুমানিক দুই বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে হয়তো ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের এহেন উচ্চ-প্রবৃদ্ধি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছে।
সরকারের মোট ঋণের বোঝা সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়া বর্তমান পর্যায়ে খুবই গুরুত্ববহ। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের মোট ঋণের বোঝা দাঁড়িয়েছে ১৬৭ বিলিয়ন ডলারে। এক ডলারের দাম বাংলাদেশ ব্যাংক-নির্ধারিত ১০৮ টাকা ধরে হিসাব করলে টাকার অঙ্কে ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ লাখ ২৭ হাজার কোটি টাকা (৯৫.০৭ বিলিয়ন ডলার) অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত সরকারি ঋণ। আর ৭১.৯৩ বিলিয়ন ডলার হলো সরকারের বৈদেশিক ঋণ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট-ঘাটতি দেখানো হয়েছে; যা মোট বাজেটের ৩৬ শতাংশ। দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সরকার ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেবে বলে বর্তমান বাজেটে ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এই টার্গেট ব্যাংকগুলো পূরণ করতে পারবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার অভূতপূর্ব এবং অস্বাভাবিক হারে গত বছর ঋণ নিয়েছে। সরকারের রাজস্ব আহরণেও ওই বছর বড়সড় ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব-ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৩২ কোটি টাকা। এ বছর অস্বাভাবিক হারে সরকারের ঋণ বেড়ে যাওয়ার জন্য এহেন রাজস্ব-ঘাটতিই প্রধানত দায়ী।
আমরা কিছুদিন আগে আইএমএফ থেকে ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের যে ঋণ নিয়েছি, তার প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে আমাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার আগে আইএমএফ শর্ত দিয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের মধ্যেই সরকারের কর-জিডিপির অনুপাতকে ৮.৩ শতাংশে বাড়িয়ে ফেলতে হবে এবং আইএমএফ কর্তৃক ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাতকে ৯.৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্যও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিদ্যমান প্রবণতা থেকে বোঝা যাচ্ছে, এই দুটো শর্তের কোনোটাই আমরা পূরণ করতে পারব না।
কিছুদিন আগে বর্তমান অর্থমন্ত্রীকে আহসান মনসুর ‘অ্যাবসেন্ট ফিন্যান্স মিনিস্টার’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। তার এই উপাধিকে সত্য প্রমাণ করে সম্প্রতি-সমাপ্ত আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের সভায় আবারও অনুপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী মহোদয়। এমনকি ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদ্য-সমাপ্ত বৈঠকগুলোতেও তিনি ছিলেন গরহাজির, যা ছিল খুবই দৃষ্টিকটু।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বর্তমান অর্থমন্ত্রীর নিষ্ক্রিয়তা ও অদক্ষতা এবং একটি গতিশীল অর্থনীতিকে নেতৃত্ব প্রদানের অযোগ্যতা সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ-নির্ভরতাকে অপরিহার্য করে তুলছে। হয়তো আগামী নির্বাচন সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভায় কাউকে বদলাতে চাচ্ছেন না, কিন্তু পুরো আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনা সামলানোর এই ব্যর্থতা দেশের চলমান ডলার সংকট এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটকে দীর্ঘায়িত করবে।
এটাও উল্লেখযোগ্য যে ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ফরমাল চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের এপ্রিল মাসের চাইতে ১৬ শতাংশ কমে গেছে এবং মে মাসের রেমিট্যান্স আগের বছরের মে মাসের চাইতে ১০ শতাংশ কমে গেছে। যাকে দেশের অর্থনীতি এবং সরকারের বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের জন্য ‘অশনিসংকেত’ মনে করি। (অবশ্য ২০২৩ সালের জুনে ২২০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে)। রেমিট্যান্সে গেড়ে বসা হুন্ডি ব্যবস্থাকে কঠোরভাবে দমনে অর্থমন্ত্রীর ব্যর্থতা ফর্মাল চ্যানেলে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের প্রবাহকে অদূর ভবিষ্যতেও ক্ষতিগ্রস্ত করেই যাবে। উপরন্তু দেশের রপ্তানি আয়ও তেমন বাড়ছে না।
অন্যদিকে, জিডিপির অনুপাত হিসেবে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ এখনো বিপজ্জনক পর্যায়ে উন্নীত না হলেও বিভিন্ন মেগা-প্রকল্পে সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের খামখেয়ালি বিনিয়োগের স্পৃহা এখনো অব্যাহত থাকায় অতিদ্রুত বৈদেশিক ঋণ বেড়ে চলেছে। স্বল্প-প্রয়োজনীয় মেগা-প্রকল্প গ্রহণের খাসলত থেকে বর্তমান সরকারকে কোনোমতেই হটানো যাচ্ছে না! সে জন্য এখনো দেশের রাজধানীকে ঢাকার বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতিও নাকি গোপনে এগিয়ে চলেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন চালুর অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পটি গ্রহণের জন্য চীনের জোরালো লবিয়িং এর কথাও মাঝেমধ্যে শোনা যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে দেশের প্রাইভেট সেক্টরের ব্যবসায়ীদের নানা সূত্র থেকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের অদম্য আগ্রহ। যার ফলে প্রাইভেট সেক্টরের বৈদেশিক ঋণও বেড়ে ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
এসব ঋণের গ্যারান্টর হতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। এই একটি কারণে গত এক বছরে দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টসের ফাইনেন্সিয়াল অ্যাকাউন্টে বড়সড় ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতনের ধারাকে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো থামানো যাবে না।
বর্তমান ৭.৭ শতাংশ কর-জিডিপি অনুপাত বাংলাদেশের মতো দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য একেবারেই বেমানান। আয়করের প্রধান উৎস করপোরেট আয়কর হারকে বর্তমান অর্থমন্ত্রী কয়েক দফায় কমিয়ে দিয়েছেন তার ব্যবসায়ী বন্ধুদের খুশি করার জন্য। এভাবে করপোরেট আয়কর কমিয়ে দিলে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের অন্যায় সুবিধা দেওয়া হয় না? (১ জুন ঘোষিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেও করপোরেট আয়কর হার বাড়ানো হয়নি)।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত আয়কর সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য প্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত তার সময়ে যে নানা রকম আয়কর মেলা এবং প্রণোদনা নীতি ঘোষণা করতেন, সেগুলোও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর সময় অনেকখানি গুরুত্ব হারিয়েছে। উপজেলা পর্যন্ত আয়কর বিভাগ সম্প্রসারণের যে ব্যবস্থাগুলো গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছিল তাকে শ্লথ করে দেওয়া হলো কেন? দেশে বর্তমানে প্রায় এক লাখ এগারো হাজার মানুষের এক কোটি টাকার বেশি ব্যাংক-আমানত রয়েছে বলে পত্র-পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাদের আয়করের আওতায় নিয়ে আসার প্রক্রিয়া এখনো শুরু হলো না কেন?
২০১৮ সালে মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘ওয়েলথ এক্স’ ঘোষিত দেশের ২৫৫ জন অতি-ধনাঢ্য ব্যক্তির (কমপক্ষে ৩২৫ কোটি টাকার সম্পদের মালিক) কতজন এক কোটি টাকার বেশি ব্যক্তিগত আয়কর দেন? প্রয়োজনে আয়কর বিভাগে জনবল বাড়িয়ে এবং নতুন ব্যক্তি থেকে আয়কর আদায় করতে পারলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আকর্ষণীয় আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের ব্যবস্থা চালু করে আয়কর সংগ্রহে গতিশীলতা সৃষ্টি করা হোক।
দেশে প্রায় পঁচাত্তর লাখ মানুষ ই-টিআইএন নিয়েছেন বলে আয়কর বিভাগ জানিয়েছে। তাদের এক-তৃতীয়াংশকেও এখনো আয়করের আওতায় আনা গেল না। এটা কার ব্যর্থতায়? রাজস্ব খাতকে চাঙা করার লড়াইয়ে আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে সরকারের রাজস্বের প্রধান খাত হিসেবে আয়করকে প্রতিষ্ঠা করার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঘোষণা করা প্রয়োজন ছিল ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ঘোষিত বাজেটে। কিন্তু এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী কোনো ঘোষণা দেননি।
ড. মইনুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন