রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘একদফা’ দাবিতে বিএনপির এ সমাবেশ। ইতোমধ্যে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন : স্লোগানে মুখরিত নয়াপল্টনের চারপাশ
৯টি বড় ট্রাকের দুইপাশের ডালা খুলে একটির সঙ্গে আরেকটি একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে মহাসমাবেশের অস্থায়ী মঞ্চ। বিছানো হয়েছে লাল কার্পেট। উত্তরমুখী এই মঞ্চে নেতাদের জন্য রয়েছে শতাধিক চেয়ার। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য রাখা হয়েছে দুটি আলাদা চেয়ার। মঞ্চের এক পাশে রয়েছে বিশাল আকারের ডিসপ্লে বোর্ড। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বেঁধে দেওয়া সীমানায় ফকিরাপুল, পল্টন, কাকরাইলসহ আশপাশে টাঙানো হয়েছে দেড় শতাধিক মাইক।
গণমাধ্যম এবং সংস্কৃতি কর্মীদের জন্য দুটি বড় ট্রাক একত্রিত করে তৈরি করা হয়েছে আলাদা দুটি মঞ্চ। শুক্রবার দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসমাবেশের কার্যক্রম শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন : ‘রাতের ভোটের কারণে একজন ওসিও এমপিদের কথা শোনে না’
সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ‘একদফা’ দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা জোট ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল শুক্রবার যুগপৎভাবে আলাদা আলাদাভাবে মহাসমাবেশ-সমাবেশ করছে। গত ১২ জুলাই শুরু হওয়া এক দফার আন্দোলনের এটি দ্বিতীয় কর্মসূচি। এর আগে তারা ১৮ ও ১৯ জুলাই সারা দেশে মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা করেছে। মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়া পল্টনের দুই পাশের সড়কই যান চালাচল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।
সকাল থেকেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে শুরু করেছে। মঞ্চে আশপাশে নেতাকর্মীর ভিড় বাড়ছে। সাদা, নীল, লাল, সবুজ ও হলুদ টুপি মাথায় হাজার হাজার নেতাকর্মী মুহুর্মুহু করতালি দিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। মানুষের ভিড় ও চাপ বাড়তে থাকায় সকাল থেকে নয়াপল্টনের দুই পাশের সড়কই যান চলাচল পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন : সরকারের পদত্যাগ ছাড়া রাজপথ ছাড়ব না : সমমনা জোট
মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলে আসছিলাম ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। এর কোনো সীমানা নেই। এই জনস্রোতকে কোনো সীমানাই দিয়ে রোখা যাবে না। এই সকালে নয়া পল্টনে তার প্রমাণ দিয়েছে অধিকারহারা মানুষরা।
মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, এখন যে মানুষজন দেখছেন এদের বেশিভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা। নয়াপল্টনের সড়কে দাঁড়ানোর তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। ঢাকার ওয়ার্ডগুলো থেকে মানুষজন আসা শুরু করলে এই জনস্রোত মতিঝিল, শান্তিনগর, বিজয়নগর ছাড়িয়ে যাবে।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে আসা যুবদলের নেতা আখতারুল ইসলাম, মো. মহসীন ও সুমন বলেন, নানা ধরনের বাধা মোকাবিলা করে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়েছি। আমরা অবিলম্বে এই আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ চাই।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো যুগপৎভাবে এক দফার ঘোষণা দেয়। এই একদফার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠান। একদফা দাবিতে গত ১৮ ও ১৯ জুলাই সারা দেশে মহানগর ও জেলায় পদযাত্রার পর ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি করছে।
মন্তব্য করুন