আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নেতারা বলেছেন- দেশদ্রোহী একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী দেশের বিভিন্ন জেলায় বিশেষত : ফেনী দাগনভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুশ ও বিভিন্ন দ্বীনি স্থাপনায় হামলা এবং একজন শান্তিপ্রিয় আহলে সুন্নাত কর্মীকে শহীদ করেছে।
একইসঙ্গে তারা বলেন, দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পরবর্তী এরা মসজিদ-মাদ্রাসা দখল, মাজার ভাংচুর, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্যায়ভাবে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো গর্হিত কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। ধর্মীয় আবরণে এদের এহেন অবাঞ্ছিত আস্ফালন শান্তির ধর্ম পবিত্র ইসলামকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যা ক্রমাগত দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা ও সুস্থতা- স্থিতিশীলতা বিনষ্টসহ দেশ-জাতিকে পারস্পরিক হানাহানি এবং নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিবে বলে নেতারা আশা প্রকাশ করেন।
সর্বস্তরের সুন্নী জনতার উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (সা.) জুলুস এবং বিভিন্ন দ্বীনি স্থাপনায় ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মুরাদপুর চত্বরে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
এক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততা জনমনে ক্রমাগত ক্ষোভের সঞ্চার করছে বলে মন্তব্য করে আরও বলেন- কোনো কারণে যদি ছাত্র জনতার সফল অভ্যূত্থানের চেতনা ভূলুন্ঠিত হয়, তাহলে জনরোষ থেকে কেউ রেহাই পাবে না।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এসব ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আল্লামা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবাইর রিজভীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- আল্লামা কাজী মইনউদ্দীন আশরাফী, আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর, এস এম ফরিদ উদ্দীন, আশরাফুজ্জামান আলকাদেরী, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, এম রফিক কোম্পানি, এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর, নাছির উদ্দীন মাহমুদ, আব্দুন নবী আল কাদেরী, মাওলানা মাইনুদ্দীন চৌধুরী হালিম, মাওলানা আব্দুন নবী হাক্কানী, মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ, মুহাম্মদ হাসান আজহারী, সোলায়মান আলী রজভী, মাওলানা শফিউল আযম আলকাদেরী, মহিউদ্দীন তাহেরী, মাওলানা মাসুমুর রশিদ, জয়নুল আবেদীন কাদেরী, এনাম রেজা, মাওলানা বেলাল উদ্দীন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে বিশালে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে ২নং গেইটে গিয়ে শেষ হয়।
মন্তব্য করুন