ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় আহত গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে হাসপাতালে দেখতে যান জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুরকে দেখতে যান তিনি। ভিপি নুরের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খোঁজখবর নেন সমমনা জোটের এই সমন্বয়ক।
এ সময় ড. ফরহাদের সঙ্গে জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম শাহাদাত, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ঘটনাটি (হামলার) পরিষদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হোক কিংবা আনুষঙ্গিক অন্য কারণে হোক–তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘নুরের ওপর হামলার’ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, যখনই নুর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান, তার আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সংগঠনের টাকায় নিজের ব্যাংক-ব্যালান্স নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে, বিকাশে টাকা নেওয়া অথবা প্রবাসী অধিকার পরিষদের মাধ্যমে অর্থ নেওয়া– প্রভৃতি বিষয় ঘটে, তার ইমেজ সংকট তৈরি হয়, তখনই মার খাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণযোগ্য।
এ ছাড়া অতিউৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কর্মীও যদি তাতে জড়িত থাকে, তাহলে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
আরও পড়ুন: ভিপি নুরের ওপর হামলায় জামায়াতের নিন্দা
গত বুধবার (২ আগস্ট) ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে টিএসসি যান নুর। এ সময় তাদের মিছিলে বাধা, তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে একপর্যায়ে তাদের মারধর করেন একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এ সময় নুরকে রিকশায় তুলে হাসপাতাল নেওয়ার সময়ও কয়েকজন তাকে দৌড়ে মারতে যান। এ সময় ২৫ থেকে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
মন্তব্য করুন