বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে লাইলাতুল আদালতে রায় দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় ক্ষমতাসীন দলকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের নো বলে কিংবা এলবিডব্লিউ দিয়ে আউট করব না। বরং মিডল স্টাম্প উড়িয়ে দিয়ে পতন ঘটানো হবে।’
বিএনপি নো বলে আওয়ামী লীগকে আউট করতে পারবে না মর্মে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। মানববন্ধনে বক্তারা তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণীর বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন : একদফা দাবিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতেই তারেক রহমানের রায়: ফখরুল
রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রিত আদালত কর্তৃক দেওয়া রায়ে আমি বিস্মিত নই। কারণ চাঁদাবাজ কাউকে মসজিদের ইমাম বানালে চাঁদাবাজির কাজই বেশি হবে। সন্ত্রাসী কাউকে স্কুলের শিক্ষক বানালে সেখানে গণিত, ইংরেজির দিকে গুরুত্ব থাকে না। কারণ দেশ চালাচ্ছে কারা?’
তিনি বলেন, ‘এই শেখ হাসিনা তো রাতের প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। মানুষ বলাবলি করেন লাইলাতুল ইলেকশন করেছেন। এখন লাইলাতুল আদালত কর্তৃক রায় দেওয়া হচ্ছে। সাগর রুনির বিচারের শুনানি ৯৯ বার পেছানো হয়েছে। আর তারেক রহমানের রায় তো দ্রুতগতিতে দেওয়া হয়েছে। সেই রায় আগেই লেখা ছিল। সেজন্যই আমি বিস্মিত নই।’
রিজভী বলেন, ‘তারেক রহমান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তিনি তো গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর তার দুর্বল জায়গা তার সহধর্মিণী। সেজন্যই তাদের বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা ক্যালকুলেটেড ফ্যাসিস্ট। যারা ফ্যাসিস্ট তাদের কাছে ভালো কিছু আশা করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে টার্গেট নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি এভাবে তার পায়ের নিচের মাটি সরিয়ে ফেলেছেন। জনগণ কিন্তু এগুলো আর ভালোভাবে নেয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকারের অনুসারী কোনো লোক বিচারের দায়িত্বে থাকলে তার কাছে তো ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। তিনি তো সরকারের নির্দেশে রায় দিবেন।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ড্যাবের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, অধ্যাপক ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. এএসএইচ পারভেজ, অধ্যাপক ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. আবুল কেনান, ডা. শহিদুল ইসলাম বাবুল, ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু, ডা. নিয়াজ শেখ রানা, ডা. আদনান হাসান মাসুদ, ডা. এরফানুল হক সিদ্দিকী, ডা. মো. ইয়াহিয়া, ডা. আবু নাসের, ডা. এম এ কামাল, ডা. এসএম মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কাদের গণি চৌধুরী, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের অধ্যাপক লুৎফর রহমান, বিএমএ’র সাবেক সভাপতি ডা. একেএম আজিজুল হক, সাবেক মহাসচিব ডা. গাজী আব্দুল হক, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যাবের কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা সিদ্দিকী, তাঁতীদলের কাজী মনিরুজ্জামান মনির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন